আজকাল ওয়েবডেস্ক: আফগানিস্তানের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ সতর্ক করে দিয়েছেন যে, পাকিস্তানের ভাঙন শুরু হয়েছে। একদিন আগেই পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে অসামরিক নাগরিকদের উপর বোমা হামলার জন্য পাকিস্তান সরকারের সমালোচনা করেছিলেন সালেহ, পশতু জনগণকে অবহেলার শিকার বলে অভিহিত করেছিলেন আফগান ভাইস প্রেসিডেন্ট। সালেহ সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ লিখেছেন, "পাকিস্তানি বিমান বাহিনী যদি পাঞ্জাবের কোথাও ২৩ জন অসামরিক নাগরিককে হত্যা করত তাহলে কী হত?" তিনি খাইবার পাখতুনখোয়ার পাহাড়ি অঞ্চলে সাধারণ নাগরিকদের উপর বোমা হামলায় ৩০ জন নিহত হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন।

সালেহ লিখেছেন, "পূর্ববর্তী ফাটা (উপজাতি অঞ্চল) অঞ্চলের মানুষ সবসময়ই পাকিস্তানি সমাজের একটি অবহেলিত অংশ ছিল। আমি নিশ্চিত নই যে পাকিস্তানের মূলধারার উর্দু বা ইংরেজি মিডিয়া এই আক্রমণটি তুলে ধরছে কিনা।" তাঁর প্রশ্ন, "এটা কি পাকিস্তানের ভাঙনের শুরু নয়? আমি অবশ্যই মনে করি এটাই ভাঙনের শুরু।"

সোমবার ভোরে পাকিস্তান বিমান বাহিনী খাইবার পাখতুনখোয়ায় তিরাহ উপত্যকার একটি গ্রামে বোমা হামলা চালিয়ে প্রায় ৩০ জনকে হত্যা করে। পাকিস্তান বিমান বাহিনী চীনের তৈরি জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে বোমা ফেলে। সংবাদ সংস্থা এপি জানিয়েছে যে, পাকিস্তান বিমান বাহিনী তিরাহ উপত্যকার মাতরে দারা গ্রামে টিটিপি বোমা তৈরির একটি কারখানায় হামলা চালিয়েছে। 

তবে স্থানীয়রা বলছেন যে হামলাটি সন্ত্রাসবাদীদের আস্তানায় নয় বরং সাধারণ নাগরিকদের বাড়িঘরে হামলা চালানো হয়েছে। পাকিস্তান বলেছে যে, টিটিপি তাদের মাটিতে ক্রমাগত আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, পাকিস্তানি সৈন্য এবং অসামরিক নাগরিকদের হত্যা করছে। পাকিস্তান আফগান তালেবানদের টিটিপি-কে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করেছে।

এদিকে, তালেবানের শত্রু আমরুল্লাহ সালেহ- আফগান তালেবান এবং টিটিপিকে পাকিস্তানে তৈরি বিষ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। সালেহ বলেছেন যে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কাছে এই বিষের প্রতিষেধক আছে, কিন্তু তারা এফ-১৬ থেকে বেসামরিক নাগরিকদের উপর বোমা ফেলছে। তাঁর কথায়, "আমি আশা করি পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এই নোটটি পড়বেন। ২০২০ সালে তালিবান এবং সন্ত্রাসবাদের প্রশংসা করে তাঁর উদ্ধত বক্তব্যের জন্য আফগান জনগণের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত।"