আজকাল ওয়েবডেস্ক: উত্তাল নেপালের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এখন। নির্বাচন-সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা চালাচ্ছেন সুশীলা কারকি। ইতিমধ্যেই তাঁর মুখে ভারতের কথা শোনা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কথা বলেছেন নেপালের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান সুশীলা কারকির সঙ্গে।
সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৃহস্পতিবার কথা বলেছেন কারকির সঙ্গে এবং সাম্প্রতিক বিক্ষোভের মধ্যে দেশে মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। ১৯ সেপ্টেম্বর নেপালের জাতীয় দিবস, প্রধানমন্ত্রী নেপালের জাতীয় দিবসে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন মোদি নিজে।
বৃহস্পতিবার মোদি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন কথোপকথন প্রসঙ্গে। তিনি সেখানে লেখেন, 'নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি সুশীলা কারকির সঙ্গে কথা হয়েছে। সাম্প্রতিক মর্মান্তিক প্রাণহানির জন্য আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছি এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারে তাঁর প্রচেষ্টার প্রতি ভারতের অবিচল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছি।'
Had a warm conversation with Mrs. Sushila Karki, Prime Minister of the Interim Government of Nepal. Conveyed heartfelt condolences on the recent tragic loss of lives and reaffirmed India’s steadfast support for her efforts to restore peace and stability. Also, I extended warm…
— Narendra Modi (@narendramodi)Tweet by @narendramodi
একইসঙ্গে মোদি ওই পোস্টে লিখেছেন, 'এছাড়াও, আগামিকাল তাদের জাতীয় দিবসে আমি তাঁকে এবং নেপালের জনগণকে শুভেচ্ছা জানাই।' জেন জি-দের বিক্ষোভে গত কয়েকদিনে উত্তাল হয়েছিল নেপাল। রবিবার থেকে যে বিক্ষোভের সূচনা হয়, সোম এবং মঙ্গলবারে হাতের বাইরে যায় পরিস্থিতি।
সোমবার নেপালে প্রাণ যায় বহু বিক্ষোভকারীর। সোমবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলেও, বিক্ষোভের আঁচ কমেনি। উলটে পরিস্থিতি এমন দিকে যায়, প্রবল চাপের মুখে পড়ে পদত্যাগ করেন নেপালের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ওলি। সরকার পড়ে যাওয়ার পরে, বুধবার, জেন জি-রা জানান, তাঁরা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চাইছেন কারকিকে। পরে যদিও কুলমন ঘিসিংয়ের নামও উঠে আসে। যদিও নেপালের অন্তবর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রীর কুরশিতে বসেন নেপাল সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি।
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, তাঁর রয়েছে ভারত-যোগ। তথ্য, সুশীলা বিরাটনগরের মহেন্দ্র মোরাং কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করার পর, উত্তরপ্রদেশের বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি (বিএইচইউ) থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭৫ সালে বেনারস থেকে তিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। কারকি পরে নেপালের ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেন। ওই পর্বের পড়াশোনা শেষ হয় ১৯৭৮ সালে। বুধবার এক সংবাদ সাক্ষাৎকারে কারকি জানিয়েছেন, তিনি জেন জি-দের আবেদন মেনে, এই দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত। একইসঙ্গে তিনি তাঁর বিএইচইউ শিক্ষার কথা স্মরণ করেছেন। জানান, তিনি এখনও তাঁর প্রয়াত শিক্ষক এবং বন্ধুদের স্মরণ করেন ভিন দেশে বসেও। তাঁর মনে পড়ে গঙ্গার কথা, নদী তীরে হস্টেলের কথাও।
শনিবার নেপাল অন্তবর্তী সরকারের প্রধান সুশীলা কারকি ঘোষণা করেছেন, ২০২৬-এর মার্চ মাসেই সে দেশে নির্বাচন হবে। সরকার ভেঙে যাওয়া, অর্থাৎ ওলির পদত্যাগের পরেই, রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দেন। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, সুশীলা শনিবারেই জানিয়েছেন, আগামী বছরের ৫ মার্চ, নেপালের ভোট।
