আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ দল ইতিমধ্যেই সুপার ফোরে পৌঁছে গেছে। তাই শুক্রবার ওমান ম্যাচে টিম ইন্ডিয়ার প্রথম একাদশে বেশ কিছু বদল হতে পারে। সম্ভবত বুমরাকে বিশ্রাম দেওয়া হবে। ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের কথা ভেবে।


এশিয়া কাপে দুই ম্যাচে তিন উইকেট পেয়েছেন বুমরা। হয়ত আহামরি নয়। কিন্তু স্ট্রাইক রেট দুর্দান্ত। দলের সেরা বোলারকে বেছে বেছে ম্যাচে খেলাতে চায় ভারত। ওমান ম্যাচের সেভাবে কোনও গুরুত্ব নেই ভারতের কাছে। তাই বুমরাকে বিশ্রাম দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। কারণ রবিরার সুপার ফোরে ভারতের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ ফের পাকিস্তান। সেই ম্যাচে বুমরাকে তরতাজা অবস্থায় চায় দল। তাই ওমান ম্যাচে তাঁকে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে।


সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, প্রথম একাদশে একটাই বদল হবে। বুমরা খেলবেন না। বাকি দল নাকি অপরিবর্তিতই থাকবে। অর্থাৎ ওমান ম্যাচেও দলে জায়গা হবে না রিঙ্কু সিংয়ের। তবে বুমরার জায়গায় সুযোগ পেতে পারেন অর্শদীপ সিং। তবে হর্ষিত রানার নামও টিম ম্যানেজমেন্টের ভাবনায় রয়েছে।

 

আরও পড়ুন:‌ এবার বিসিসিআইয়ের জাতীয় নির্বাচক কমিটিতে আসতে চলেছেন দেশের এই দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার, তারা কারা জানুন...


এদিকে, জানা গেছে বুধবার ভারতীয় দল অনুশীলন করবে না। তাদের বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। বোর্ডের তরফে সাংবাদিকদের বার্তা পাঠিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বুধবার অনুশীলন হবে না। কেউ কথাও বলবেন না। ওই দিন ক্রিকেটারদের পুরোপুরি বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার অনুশীলন করবে ভারত। ওই দিন প্রাক ম্যাচ সাংবাদিক বৈঠকও রয়েছে। শুক্রবার ভারত খেলবে ওমানের বিরুদ্ধে।


এটা ঘটনা, সুপার ফোরের আগে ভারতীয় ক্রিকেটাররা যাতে তরতাজা থাকেন তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। মঙ্গলবার প্রায় তিন ঘণ্টা অনুশীলন করেছে ভারত। ব্যাটার থেকে বোলার, প্রত্যেকেই দুবাইয়ের গরমে নিজেদের নিংড়ে দিয়েছেন। তাঁদের উপর আর অতিরিক্ত চাপ দেওয়া হচ্ছে না।
অনুশীলনে অভিষেক শর্মা, শুভমান গিলদের দেখা গিয়েছে বড় শট খেলতে। তেমনই জসপ্রীত বুমরা, হার্দিক পাণ্ডিয়ারা শান দিয়েছেন বোলিংয়ে। একটি নির্দিষ্ট লেংথে বল করার চেষ্টা করেছেন তাঁরা। ব্যাট করতে দেখা গিয়েছে অর্শদীপ সিং, কুলদীপ যাদবকে।

 

আরও পড়ুন:‌ টানা তিনটি অলিম্পিকে জিতেছিলেন ১০০ মিটারে সোনা, সেই বোল্টই এখন সিঁড়ি ভাঙতে পারছেন না!‌...


মঙ্গলবার ভারত এবং পাকিস্তান পাশাপাশি দু’টি মাঠে প্রায় এক ঘণ্টা অনুশীলন করেছে। ভারতের অনুশীলন শেষ হওয়ার আগেই দু’দলের সাজঘর এবং অনুশীলনের মাঝের অংশে একটি সাদা কাপড় টাঙিয়ে দেওয়া হয়। ফলে দু’দেশের ক্রিকেটাররা একে অপরকে দেখতে পাননি।


ভারতের অনুশীলন শেষ হওয়ার পর তারা পাকিস্তানের অনুশীলন মাঠের পাশ দিয়েই বেরিয়ে যান। এক মুহূর্তের জন্য তাকালেও কোনও ভারতীয় ক্রিকেটার থেমে গিয়ে অনুশীলন দেখেননি। আগে আমিরশাহি বা ওমান অনুশীলন করার সময় ভারতীয় ক্রিকেটারদের কয়েক জনকে দাঁড়িয়ে পড়ে অনুশীলন দেখতে দেখা গিয়েছিল। পাকিস্তানের জন্য কেউ দাঁড়াননি। পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের মধ্যেও ভারতীয়দের নিয়ে কোনও আগ্রহ দেখা যায়নি। তাঁরা নিজেদের মতো অনুশীলন চালিয়ে গিয়েছেন।