আজকাল ওয়েবডেস্ক: শনিবার উত্তাল হয়েছিল লন্ডন। ক্ষোভ সরকারের নীতির বিরুদ্ধে। মূল ক্ষোভ বিভিন্ন দেশের মানুষ, যাঁরা সে দেশের বাসিন্দা হয়েছেন, তাঁদের একাংশের বিরুদ্ধে। বেশকিছু এমন দেশ, যেগুলি একসময় ইংরেজদের উপনিবেশ ছিল, সেই দেশের মানুষ এখন ইংরেজদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে, কিছুক্ষেত্রে কয়েক কদম এগিয়ে। তা থেকেই ক্ষোভের সঞ্চার এবং অভিবাসন নীতি নিয়ে বিক্ষোভ। তবে বেশকিছু স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে আরও একটি তথ্য। তাতে হাসির রোল রীতিমতো।

?ref_src=twsrc%5Etfw">September 13, 2025

তথ্য সূত্র একটি ফুটেজ। যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আজকাল ডট ইন। তবে স্থানীয় এবং একাধিক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, লন্ডনের পথে নেমে বিক্ষোভ দেখানোর সময় সে দেশের পতাকা ধরে থাকা এক ব্যক্তি, মাঝে এক ভারতীয় দোকানে থেমে 'পেয়াঁজ ভাজি' কিনছেন এবং খাচ্ছেন। ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল। কেউ কেউ বলছেন, 'কী আয়রনি'। ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওর ব্যাকগ্রাউন্ডেও এক ব্যক্তিকে বিষয়টি নিয়ে মজা করতে শোনা গিয়েছে। সম্ভবত তিনিই ওই মুহূর্ত ফ্রেমে ধরেছেন। 

কেন উত্তাল লন্ডন?

লন্ডনের এই বিক্ষোভ মূলত শনিবারের। যার অন্যতম হোতা ছিলেন টম রবিনসন। তিনি অতি-দক্ষিণপন্থী নেতা হিসেবেই পরিচিত। তাঁর এক ডাকেই নাকি হাজার হাজার মানুষ ঘর ছেড়ে পথে নেমেছিলেন। স্লোগান দিয়েছেন, 'আমাদের দেশ আমাদের ফিরিয়ে দাও'। নিজেদের দেশে দাঁড়িয়ে কেন এই স্লোগান ইংরেজদের গলায়? জানা গিয়েছে ক্ষোভ মূলত অভিবাসন নীতি নিয়ে। অভিযোগ, দিনে দিনে বাড়তে থাকা অবৈধ অভিবাসনের ফলে, দিনে দিনে যেন তাঁরা নিজেদের দেশেই সংখ্যালঘু হয়ে যাচ্ছেন। অন্যান দেশের লোকজন, বিশেষ করে যেসব দেশ কোনও এক সময়ে ইংরেজদের উপনিবেশ ছিল, সেখানকার বাসিন্দারা লন্ডন দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন অনায়াসে।

এই বিষয়ে ক্ষোভ নতুন নয়। বারে বারে অল্প-বিস্তর ক্ষোভের প্রকাশ ঘটেছে। তবে শনিবারের প্রকাশের আকার ছিল বিশাল। তথ্য, শনিবার লক্ষাধিক মানুষ অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে পথে নেমেছিলেন। আবার একইদিনে নীতির সমর্থনেও বহু মানুষ একেবারে পালটা কর্মসূচি নিয়ে পথে নামেন। দুই পক্ষ মুখোমুখি হতেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে যায় বলে তথ্য স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে।

আরও পড়ুন: 'নেপাল এখন নর্মাল', প্রবল বিক্ষোভ থিতু হতেই পর্যটকদের ডাকছে হিমালয়ের দেশ!...

 

জানা গিয়েছে, তারপরেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নামে পুলিশ। তাতে বিক্ষোভকারীরা পুলিশকেই লাথি-ঘুষি মারেন বলে জানা গিয়েছে। ইউনাইট দ্য কিংডম নামের ওই কর্মসূচির বিক্ষোভকারীদের প্রতি অভিযোগ তেমনটাই। জানা গিয়েছে, বিক্ষোভ সামলাতে গিয়ে অন্তত ২৬জন পুলিশ কর্তা আহত হয়েছেন। তার মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর। কারও নাক ভেঙেছে, কারও দাঁত। কারও আঘাত শিরদাঁড়ায়। ইতিমধ্যে ঘটনায় ২৫জনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।

সহকারী কমিশনার ম্যাট টুইস্ট এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বহু মানুষ যেমন নিজেদের বৈধ বিক্ষোভ দেখানোর অধিকার নিয়ে পথে নেমেছিলেন, তেমন অনেকেরই লক্ষ্য ছিল সহিংসতা। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, এর আগেও উত্তাল হয়েছিল লন্ডন। সেখানকার এক একটি শহরতলিতে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীর উপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত এক ইথিওপীয় ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের পর সাম্প্রতিককালে আশ্রয়প্রার্থীদের আবাসস্থলে থাকা হোটেলগুলির বাইরে অসংখ্য অভিবাসী-বিরোধী বিক্ষোভের সাক্ষী থেকেছে লন্ডন।