আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতজুড়ে কোথাও ধর্ম-বর্ণ-জাত-পাতের বিবাদ, কোথাও আবার গোবর গোমূত্র নিয়ে চর্চা। ঠিক সেই সময়েই দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ আমেরিকা এবং চিন এগিয়ে যাচ্ছে উন্নত ভবিষ্যতের দিকে। এবার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জগতে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ করল দুই দেশ। চীন ও মার্কিন বিজ্ঞানীরা মিলে তৈরি করেছেন এমন এক প্রোটোটাইপ ৬জি চিপ, যার গতি প্রতি সেকেন্ডে ১০০ গিগাবিটস (জিবি)-এর চেয়েও বেশি। অর্থাৎ বর্তমান ৫জি চিপের সর্বোচ্চ গতির প্রায় ১০ গুণ দ্রুত ইন্টারনেট পরিষেবা দিতে সক্ষম এই চিপ। ব্যবহারিক দিক থেকে ৫ জি চিপের মোট ক্ষমতার মাত্র কয়েক ভগ্নাংশ সমান গতিবেগ মেলে আজকের দিনে। নতুন চিপ বাজারে এলে ব্যবহারকারীরা এখন যে গড় গতি পান, তার প্রায় ৫০০ গুণ দ্রুত ইন্টারনেট পরিষেবা পাবেন।
আরও পড়ুন: মধুচক্র চালানোয় অভিযুক্ত অভিনেত্রী অনুষ্কা দাস! সেক্স র‍্যাকেট থেকে উদ্ধার বাংলা সিরিয়ালের আরও ২ নায়িকা! তুলকালাম মহারাষ্ট্রে

চীনের পিকিং ইউনিভার্সিটি, সিটি ইউনিভার্সিটি অব হংকং এবং আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, সান্তা বারবারার গবেষকদের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে এই চিপ। নতুন এই চিপের খুঁটিনাটি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞান পত্রিকা নেচার জার্নালে। গবেষণাপত্রে প্রকাশিত তথ্য জানাচ্ছে, চিপের চমক এখানেই শেষ নয়, মাত্র ১১ বাই ১.৭ মিলিমিটার আকারের এই ক্ষুদ্র চিপ একাই সামলাতে পারে ০.৫ গিগাহার্জ থেকে ১১৫ গিগাহার্জ পর্যন্ত এক বিস্তৃত ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড। বর্তমানে সাধারণত এই বিপুল কম্পাঙ্ক সামলানোর জন্য আলাদা আলাদা কম্পোনেন্ট ও রেডিও ব্যান্ডের প্রয়োজন হয়। নতুন চিপটি সেদিক থেকে একাই একশ।

চিপটির এই অভাবনীয় ক্ষমতার উত্তর লুকিয়ে আছে এক অভিনব ইলেক্ট্রো-অপটিক মডুলেটরে, যা রেডিও সিগন্যালকে অতি দক্ষতার সঙ্গে রূপান্তর করে অপটিক্যাল সিগন্যালে। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অপটোইলেকট্রনিক অসিলেটর, যা পুরো আল্ট্রা-ওয়াইড স্পেকট্রামে সিগন্যাল পুনর্গঠন করতে সক্ষম। এই যুগলবন্দিই এনে দিয়েছে ৬জি-র অকল্পনীয় গতি।
আরও পড়ুন: মধুচক্র চালানোয় অভিযুক্ত অভিনেত্রী অনুষ্কা দাস! সেক্স র‍্যাকেট থেকে উদ্ধার বাংলা সিরিয়ালের আরও ২ নায়িকা! তুলকালাম মহারাষ্ট্রে

“৬জি উন্নয়নের নানা চ্যালেঞ্জ এখনই মোকাবিলা করা জরুরি,” জানিয়েছেন পেকিং ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ওয়াং শিংজুন। তাঁর কথায়, “চিপ সংযুক্ত ডিভাইসের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে, তাতে আগামী প্রজন্মের নেটওয়ার্ককে বিভিন্ন ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডের শক্তি কাজে লাগাতে হতে পারে। মিলিমিটার-ওয়েভ কিংবা টেরাহার্টজের মতো উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড বিপুল ব্যান্ডউইথ আর অতি-নিম্ন লেটেন্সি দিতে সক্ষম। সহজ ভাষায় বললে এই প্রযুক্তির গুণে ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি কিংবা শল্যচিকিৎসার মতো ক্ষেত্র আমূল বদলে যেতে পারে।”

৫জি বনাম ৬জি-র তুলনার করলে ব্যাপারটি আরও স্পষ্ট হবে। এখন ৫জি নেটওয়ার্ক সর্বোচ্চ ১০ জিবিপিএস গতিতে পৌঁছতে পারে। তাও আদর্শ পরিস্থিতিতে। বাস্তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে ব্যবহারকারীরা পান ১৫০ থেকে ৩০০ এমবিপিএস গতি। সেখানে নতুন এই চিপ প্রমাণ করছে, ৬জি আসলে তা এই যোগাযোগ ব্যবস্থাকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যাবে। আল্ট্রা-এইচডি স্ট্রিমিং, মেটাভার্সে  নিমজ্জিত থাকার অভিজ্ঞতা কিংবা এআই-ভিত্তিক পরিষেবার মতো উচ্চমাত্রার ডেটা-নির্ভর অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারে খুলে দেবে বিপুল সম্ভাবনা।
আরও পড়ুন: মধুচক্র চালানোয় অভিযুক্ত অভিনেত্রী অনুষ্কা দাস! সেক্স র‍্যাকেট থেকে উদ্ধার বাংলা সিরিয়ালের আরও ২ নায়িকা! তুলকালাম মহারাষ্ট্রে

বিশেষজ্ঞদের মতে, পূর্ণাঙ্গ ৬জি নেটওয়ার্ক চালু হতে এখনও অন্তত ২০৩০-এর দশক পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে এই ধরনের প্রোটোটাইপই ভবিষ্যতের ইকোসিস্টেম গড়ার পথ প্রশস্ত করছে। ডেটা চাহিদা যেভাবে বাড়ছে, তাতে এই ক্ষুদ্র অথচ শক্তিশালী চিপ হতে পারে আগামী প্রজন্মের বেতার বিপ্লবের মূল চালিকাশক্তি।