আজকাল ওয়েবডেস্ক: ৬৫ বছর বয়সেও ঝলমলে সৌন্দর্যে ও সুগঠিত শরীরে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ফিটনেস ট্রেনার লেসলি ম্যাক্সওয়েল। ৬০-এর ওপর বয়স সত্ত্বেও তিনি একেবারেই থেমে নেই তাঁর জীবনে। বরং খোলাখুলি জানাচ্ছেন, অপেক্ষাকৃত তরুণ ও ফিট পুরুষরাই তাঁর কাছে বেশি আকর্ষণীয়। অবাক করার মতো বিষয় হল, ৬৫ বছরের লেসলিকে প্রায়ই তাঁর ২১ বছরের নাতনি টিয়ার বোন ভেবে ভুল করেন অনেকে। কারণ, বয়সের ছাপ তাঁর শরীর ও মুখে প্রায় নেই বললেই চলে।

লেসলি জানিয়েছেন, বেশি বয়সের পুরুষদের সঙ্গে সম্পর্কে তিনি আগ্রহী নন, কারণ তাঁদের অনেকেই ‘আলসে’। বরং তরুণদের প্রাণশক্তি, স্বতঃস্ফূর্ততা ও জীবনের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিই তাঁকে টানে। তিনি বলেন, ‘বিশের কোঠার পুরুষদের মধ্যে এনার্জি থাকে, স্বতঃস্ফূর্ততা থাকে এবং তারা এমন নারীকেই ভালোবাসে, যে জানে সে কী চায়।’ লেসলি মনে করেন, তরুণ পুরুষরা কেবল জিমেই নয়, জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রেও জিমের তাঁর গতি ধরে রাখতে পারেন। 

অন্যদিকে, বয়স্ক পুরুষরা জীবনের নানা সমস্যার ভারে জর্জরিত থাকেন। তাঁর মতে, আত্মবিশ্বাস, ফিটনেসের প্রতি আগ্রহ এবং রসবোধ, এই তিনটি গুণ থাকলেই তিনি কোনও পুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হন। তাঁর মতে, সম্পর্কের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বিষয় হল কেমিস্ট্রি। লেসলির কথায়, ‘যদি কেমিস্ট্রি না থাকে, সম্পর্ক কোনওদিনই দীর্ঘস্থায়ী হবে না।’ লেসলি জানান, তিনি একবার একজন সফল রিয়েল এস্টেট এজেন্টের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ালেও কেমিস্ট্রির অভাবে মাত্র তিন দিনের মধ্যেই সম্পর্ক শেষ করে দেন।

তবে লেসলি একা নন। মেলবোর্নের অ্যান নামের এক নারীও ডিভোর্সের পর কম বয়সি এক পুরুষের প্রেমে পড়েছিলেন। তবে সমাজের পক্ষপাতিত্বের মুখোমুখি হতে হয়েছিল তাঁকেও। অ্যানের অভিজ্ঞতায়, ‘একজন বয়স্ক পুরুষ যদি তরুণী সঙ্গিনীর সঙ্গে হাঁটেন, কেউ কিছু বলে না। কিন্তু আমি যখন এক তরুণ পুরুষের সঙ্গে হাঁটছিলাম, তখন রাস্তায় আমাকে হেনস্থা করা হয়েছিল।’ বয়স নিয়ে সমাজের এই দ্বিমুখী মানসিকতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন এই দুই মহিলা। তাঁদের বার্তা স্পষ্ট, ভালবাসার কোনো বয়স নেই, মানসিকতা এবং বোঝাপড়াটাই আসল।