আজকাল ওয়েবডেস্ক: রূপোর গয়না কিনতে আগ্রহী? তাহলে এই প্রতিবেদন আপনার জন্য খুবই গুরুত্বরূপূর্ণ। সরকার আজ, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ থেকে সোনার মতো রূপোর গয়নার জন্য হলমার্কিংয়ের নিয়ম চালু করেছে। তবে রূপোর জন্য হলমার্কিং বাধ্যতামূলক নয়। ক্রেতা চাইলে দোকানদারের কাছ থেকে হলমার্ক করা রূপো চাইতে পারেন।

এছাড়াও, আপনি হলমার্ক ছাড়াও রূপো কিনতে পারেন। হলমার্কিংয়ের নিয়ম অনুসারে, রূপোর একটি ছয় সংখ্যার অনন্য এইচইউআইডি (HUID) কোডও থাকবে। এর মাধ্যমেই বোঝা যাবে যে, আপনি যে রূপো কিনছেন তা কতটা খাঁটি। 

রূপোর গয়না এবং অন্যান্য রূপোর জিনিসের উপর হলমার্কিং কীভাবে সনাক্ত করা যাবে?

রূপোর হলমার্কিং কীভাবে সনাক্ত করবেন?
ভারতীয় মান ব্যুরো (BIS) রূপোর বিশুদ্ধতার জন্য ছয়'টি নতুন মান নির্ধারণ করেছে। এগুলি হল- ৮০০, ৮৩৫, ৯০০, ৯২৫, ৯৭০ এবং ৯৯০। বিআইএস অনুসারে, রূপোর গয়নাতে হলমার্কিংয়ে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে। প্রথমত, বিআইএস চিহ্ন থাকবে এবং এর সঙ্গে 'SILVER' লেখা থাকবে। এর ঠিক পাশেই, রূপোর গ্রেড লেখা থাকবে- ৮০০, ৮৩৫, ৯০০, ৯২৫, ৯৭০ এবং ৯৯০ এর মতো। 

এই গ্রেডটি আপনি যে রূপো কিনছেন তা কতটা খাঁটি তা নির্দেশ করবে। ৯৯০ গ্রেডের রূপো হল সবচেয়ে বিশুদ্ধ। হলমার্কিংয়ের শেষ এবং তৃতীয় জিনিসটি হবে ছয় সংখ্যার আলফানিউমেরিক কোড। এই কোডটি সংখ্যা, বর্ণমালা বা উভয়ের সংমিশ্রণ হতে পারে।

রূপো কেনার সময় সাধারণ মানুষকে জালিয়াতি থেকে রক্ষা করার জন্য সরকার হলমার্কিংয়ের নিয়ম শুরু করেছে। অনেকেই অভিযোগ করেন যে, তাঁরা যে রূপোর গয়না কিনেছেন তাতে ভেজাল রয়েছে। দোকানদাররা গ্রাহকদের কাছ থেকে খাঁটি রূপোর জন্য টাকা নিয়ে ভেজাল রূপো দিয়ে তৈরি গয়না বিক্রি করে। হলমার্কিং করলে আপনার কেনা রূপো কতটা খাঁটি এবং কতটা ভেজাল তা স্পষ্ট হয়ে যাবে। জেনে রাখা প্রয়োজন যে, রূপার গয়নায় তামা এবং নিকেলের মতো ধাতু মেশানো থাকে।

আরও পড়ুন-  সেপ্টেম্বরের শুরুতেই উলটে গেল হিসেব! এক ধাক্কায় কতটা বদলে গেল সোনার দর, জানুন এখনই