আজকাল ওয়েবডেস্ক: কোচবিহার গভর্নমেন্ট এঞ্জিনিয়ারিং কলেজ চত্বর থেকে এক ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃত ছাত্রীর নাম অন্বেষা ঘোষ (২১)। বাড়ি বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরে। কলেজের হস্টেলে থাকতেন তিনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার গভীর রাতে অন্বেষার সহপাঠীরা তাঁকে দীর্ঘ সময় ধরে ফোন ও মেসেজ করেও কোনো উত্তর পাননি। সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা তাঁর কক্ষের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখেন তিনি গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছেন। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় কলেজ কর্তৃপক্ষ ও পুলিশকে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে কোচবিহার এম জে এন মেডিক্যাল কলেজ ও হসপিটালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুয়া: 'যেখানকার কুকুর, ফিরিয়ে দেওয়া হবে সেখানে', প্রবল বিক্ষোভে রায় বদল শীর্ষ আদালতে, দেওয়া হল বিশেষ নির্দেশ...

অকাল মৃত্যুতে কলেজ ক্যাম্পাসে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সহপাঠীরা এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না চঞ্চল স্বভাবের অন্বেষা এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। অন্বেষা প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন বলে কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে। তিনি পড়াশোনায় বরাবরই ভাল ছিলেন। তবে হঠাৎ কেন তিনি এমন পদক্ষেপ নিলেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে তার পিছনে পড়াশোনার চাপ, মানসিক অবসাদ নাকি অন্য কোনো কারণ রয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। অন্বেষার মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ফোনটির কল রেকর্ড, মেসেজ ও সোশ্যাল মিডিয়ার চ্যাট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি সহপাঠী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে তদন্ত চালাচ্ছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।

এদিকে ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই অন্বেষার বাড়িতেও নেমে এসেছে শোকের ছায়া। দুর্গাপুরের বাসিন্দা অন্বেষার পরিবার ইতিমধ্যেই কোচবিহারে রওনা দিয়েছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অন্বেষা বাড়ির সবার খুবই প্রিয় ছিলেন। তাঁর হঠাৎ মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা।

কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ছাত্রীর অকাল মৃত্যুর ঘটনায় তাঁরা মর্মাহত। পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে আরও বেশি নজর দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

ঘটনার তদন্ত চলছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান এটি আত্মহত্যা হলেও, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।