ব্রণর সমস্যায় নাজেহাল অনেকেই। দুই গালে তো বটেই, অনেকেরই কপালে, থুতনিও ব্রণয় ভর্তি থাকে। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই কখনও না কখনও এই সমস্যায় পড়েছেন। বিশেষ করে ত্বক ত্বকের কয়েকটি অংশে যেমন কপাল এবং গালে ব্রণর হতে দেখা যায়। এছাড়াও মুখের আরও বিভিন্ন অংশেও ব্রণ উৎপাত থাকে। যা থেকে রেহাই পেতে অনেকেই বাজারচলতি প্রসাধনী থেকে শুরু করে ঘরোয়া টোটকা, কোনও কিছুর ব্যবহার বাদ রাখেন না। কিন্তু তাও ব্রণর হাত থেকে মেলে না মুক্তি। আসলে শুধু বাহ্যিক পরিচর্যা নয়, শরীরের আভ্যন্তরীণ সমস্যার লক্ষণ হতে পারে ব্রণ। আসলে যে কোনও অসুখই শরীরে রোগ বাসা বাঁধলে তার লক্ষণ বিভিন্ন অঙ্গে ফুটে ওঠে। মুখের ব্রণও একাধিক শারীরিক সমস্যার উপসর্গ হতে পারে। যা সঠিক সময়ে চিকিৎসা করলে সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব। 

* কপালে ব্রণঃ অনেকেরই কপালে ব্রণ হতে দেখা যায়। চিকিৎসকদের মতে, শরীরের হজমের সমস্যা হলে মুখের এই অংশ ব্রণ হতে পারে। একইসঙ্গে ক্যাফিন জাতীয় পানীয় বেশি খেলে কিংবা শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিক মতো না হলেও কপালে ব্রণ হতে পারে। 

আরও পড়ুনঃ পায়ের এই সব লক্ষণ গোপন রোগের পূর্বাভাস হতে পারে! অবহেলা করলেই বিপদে পড়বেন

* কানে ব্রণঃ অন্যান্য অঙ্গের মতো প্রথমেই কিডনির ক্ষতির আঁচ বাইরে থেকে পাওয়া যায় না। ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কিডনির সমস্যায় চিকিৎসায় দেরি হয়ে যায়। কিডনি যদি ধীরে ধীরে কাজ করা বন্ধ করে দেয়, তখন শরীর নানা সংকেত দিতে শুরু করে। সেক্ষেত্রে কানে ব্রণ কিডনির সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। 

*  নাকে ব্রণঃ নাকে ব্রণ বেশ অস্বস্তি তৈরি করে। অনেক সময়ে গোটা মুখে ব্রণ নেই, কেবল নাকেই উঁকি দেয় ব্রণ। যা হৃদরোগের কারণ হতে পারে বলে মনে চিকিৎসকেরা। তাই নাকে ব্রণ হলে হার্ট সুস্থ আছে কিনা খেয়াল করুন। আবার রক্তচাপ বাড়লেও নাকে ব্রণ হতে পারে। 

* খুতনিতে ব্রণঃ শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হলে থুতনিতে ব্রণ হতে পারে। এছাড়াও চিনি দেওয়া চা, মিষ্টিজাতীয় খাবার বেশি খেলে থুতনিতে ব্রণ হতে পারে। 

* গালে ব্রণঃ কম বয়সে তৈলাক্ত ত্বকের গালে ব্রণ হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু এর পিছনে ফুসফুসজনিত সমস্যা লুকিয়ে থাকতে পারে। তাই গালের ব্রণকে কখনও অবহেলা করা উচিত নয়। 

* ভুরুর মধ্যে ব্রণঃ ভুরুর মধ্যে ব্রণ হওয়া যদিও খুব একটা স্বাভাবিক নয়। তবে খুশকির সমস্যা থাকলে এমনটা হতেই পারে। চিকিৎসকদের মতে, লিভারজনিত সমস্যা হলেও কিন্তু ভুরুর মধ্যে ব্রণ হতে পারে।