আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২০২৪ সালে তাঁর কোচিংয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সের সাজঘরে আইপিএল খেতাব এসেছিল। কিন্তু গতবার আইপিএলে হতশ্রী ফলাফল করে শাহরুখ খানের ফ্র্যাঞ্চাইজি। 

২০২৪ সালের নেতা শ্রেয়স আইয়ারের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছিন্ন করে কলকাতা। মেন্টর গৌতম গম্ভীর শুভমান গিলদের হেডস্যর হওয়ায় নাইট রাইডার্স শিবির ছেড়ে চলে যান জাতীয় দলে। 

গতবার তাই কলকাতা ব্রিগেড ব্যর্থ হয় আইপিএলে। গতবার ছিল আইপিএলের ১৮-তম বছর। নাবালকত্ব থেকে সাবালক হওয়ার বছর। মেগা টুর্নামেন্টে পা হড়কায় কলকাতা নাইট রাইডার্স। 

আরও পড়ুন: ওভালে ভারতের হয়ে অভিষেক হবে এই তারকার, চোট সারিয়ে তিনি এখনও পুরোদস্তুর সুস্থ

এবারের আইপিএল শুরু হতে এখনও ঢের দেরি। তার আগেই কলকাতা থেকে সরে গেলেন হেড কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত। কেকেআরে এখন সম্পর্কচ্ছেদের হাওয়া। নাইট রাইডার্সের শিবিরে আর দেখা যাবে না হেড কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত ও বোলিং কোচ ভরত অরুণকে।  

সূত্র অনুয়ায়ী খবর, ভরত অরুণ চেন্নাই সুপার কিংসের বোলিং কোচ হয়েছেন। যদিও চেন্নাই সুপার কিংসের এক শীর্ষকর্তা এই খবরের সত্যতা স্বীকার করেননি। 

কলকাতা নাইট রাইডার্সের তরফ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় জানানো হয়, ''নতুন সুযোগ পেয়ে অন্যত্র যাচ্ছেন পণ্ডিত। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে তিনি আর কাজ করবেন না। ২০২৪ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পিছনে পণ্ডিতের অবদান ছিল। তাঁর লিডারশিপ ও শৃঙ্খলা দলের উপরে প্রভাব ফেলে গিয়েছে। ভবিষ্যতের জন্য চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতকে শুভেচ্ছা।'' 

 

ঘরোয়া ক্রিকেটে চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের সুনাম রয়েছে। ২০২৩ সালে কলকাতার দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। ২০২৪ সালে কেকেআর চ্যাম্পিয়ন হয় তাঁরক কোচিংয়ে। কিন্তু গতবার নাইট রাইডার্স অষ্টম স্থানে শেষ করে। 

চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত সরে যাওয়ায় নাইট রাইডার্স শিবিরে হেড কোচের চেয়ার খালি অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেই শূন্যস্থান পূরণ করার জন্য কে আসবেন সেটাই এখন দেখার।  

?ref_src=twsrc%5Etfw">July 29, 2025

ঘরোয়া ক্রিকেটে পণ্ডিতের সুনাম থাকলেও, তাঁকে নিয়ে অভিযোগও কম নয়। দিল্লির হয়ে নজর কেড়ে নেওয়া আশুতোষ শর্মা কেকেআরে প্রাক্তন হয়ে যাওয়া কোচের বিরুদ্ধে বড়়সড় অভিযোগ এনেছিলেন আগে। চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের জন্য তিনি অবসাদে চলে গিয়েছিলেন। 

সেই সময়ে আশুতোষও ছিলেন মধ্যপ্রদেশের খেলোয়াড়। পডকাস্টে দেওয়া সেই সাক্ষাৎকারে পণ্ডিতের নাম উচ্চারণ করেননি তিনি। কিন্তু পণ্ডিতের জন্য যে ক্রিকেট প্রায় ছাড়তে চলেছিলেন, মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন, সেই প্রসঙ্গ উত্থাপ্পন করে আশুতোষ বলেন, ''আমি জিমে যেতাম আর তার পরে হোটেলের ঘরে সময় কাটাতাম। মাঠে যাওয়ার অধিকার ছিল না আমার।  মানসিক অবসাদ গ্রাস করেছিল আমাকে।  কেউ আমাকে আমার দোষ বলে দেয়নি। মধ্যপ্রদেশের নতুন কোচের পছন্দ-অপছন্দ বেশি ছিল। ট্রায়াল ম্যাচে ৪৫ বলে ৯০ রান করেও আমাকে দল থেকে বাদ পড়তে হয়েছিল।'' 

আরও পড়ুন: ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণের জোয়ারে ভেসে গেল বেহালা এস এস, ডার্বির পরের ম্যাচে হাফ ডজন গোলে জয় লাল-হলুদের ...