আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিশ্বের অন্যতম ভয়ানক সাপের তালিকায় ওপরের দিকে থাকে কিং কোবরা। এরা লম্বায় প্রায় ১০ থেকে ১২ ফুটের হয়ে থাকে। দক্ষিণ এবং দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়াতে এই সাপ বেশি দেখা যায়। এই সাপের বেশ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সেখান থেকে একে বাকি সাপেদের থেকে আলাদা করা যায়।


কিং কোবলা প্রায় ১০ থেকে ১২ ফুট লম্বা হয়ে থাকে। এর ওজন থাকে প্রায় ২০ পাউন্ড। ফলে আপনার সামনে যদি এই সাপ ফনা তোলে তাহলে সেখান থেকে সেটি একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের চোখের সমান উঠতে পারে। কোথাও এই সাপকে ১৮ ফুটেরও দেখা গিয়েছে। বিশ্বের সবথেকে বড় সাপ হল পাইথন। এটি লম্বায় হয়ে থাকে প্রায় ২০ ফুট।


কিং কোবরার প্রধান খাবার হল অন্য সাপ। এদের বিষ এতটাই বেশি থাকে যে বাকি সাপেরা এদের পাল্লায় পড়লে একেবারে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। তখন তাদের অতি সহজেই সাবাড় করে দেয়। যেকোনও সাপ এদের সামনে দিয়ে যেতে ভয় পায়। একবার নজরে এলেই তাকে খেয়েই দম ফেলবে কিং কোবরা। তবে সাপ ছাড়া এরা গিরগিটি, পাখি এবং ছোটো প্রাণীদেরও খেয়ে নেয়। এদের হজমশক্তি অতি ভাল। ফলে সেখান থেকে এরা যা খাবে তাকে হজম করতে বেশি সময় নেবে না। এরা প্রায় এক সপ্তাহ না খেয়ে থাকতে পারে।


এরা অতি সহজে জলে সাঁতার কাটতে পারে। জল লাগার পরও এদের বিষ কমে না। যদি কমে যায় তাহলে সেখান থেকে সেই বিষ অতি সহজে তৈরি হয়ে যায়। এরা গাছে চড়তেই অতি পটু। ফলে সেখান থেকে লাফ দিয়ে নিজের শিকারকে এরা কায়দা করে ফেলে। কিং কোবরা খুব ভাল বাসা তৈরি করতে পারে। এরা একবারে ২০ থেকে ৫০ টি ডিম দিতে পারে। প্রায় ৬০ থেকে ৮০ দিন পর সেই ডিম থেকে বাচ্ছা বের হয়। 

আরও পড়ুন: কুকুর অতি সহজেই মানুষ চিনতে পারে, কোথা থেকে পেল এই শক্তি


এর এক ছোবলে মানুষ এক ঘন্টার মধ্যে মারা যেতে পারে। পাশাপাশি দেহের বিভিন্ন অংশ পঙ্গু হয়ে যেতে পারে। এর বিষ অতি আগ্রাসী যা সহজে কোনও ওষুধে কমে না। অতি বুদ্ধিমান সাপ বলে পরিচিত এই সাপটি বুঝে নিয়ে তারপর নিজের বিষ প্রয়োগ করে। পরিবেশকে এরা ভাল করে কাজে লাগাতে পারে।


এরা প্রকৃতিকে পছন্দ করে। প্রায় ২০ বছর ধরে একটি কিং কোবরা বেঁচে থাকে। এরা দীর্ঘদিন ধরে খাবার এবং জল না খেয়েও বেঁচে থাকতে পারে। তবে জঙ্গল যদি কেটে দেওয়া হয় তাহলে সেখান থেকে কিং কোবরার অস্তিত্ব সঙ্কট হয়ে যাবে। এদের চামড়া, মাংস এবং বিষের বিরাট চাহিদা রয়েছে।
কিং কোবরা বিশ্বের একমাত্রা সাপ যে নিজের বাসা তৈরি করে। সেখান থেকে সাপের বাচ্চা ফুটে বের হলে তাদেরকে ছেড়ে মা সাপ চলে যায়। ছোটো থেকেই এরা শিকারে পটু হয়ে থাকে। ফলে তাদেরকে আলাদাভাবে কোনও প্রশিক্ষণ দিতে হয় না।