আজকাল ওয়েবডেস্ক: মারাত্মক ঘটনা। পরনে ব্লিঙ্কিট এবং সুইগির ইউনিফর্ম। ডেলিভারি এজেন্টরা সটান ঢুকে পড়লেন গাজিয়াবাদের একটি জুয়েলারি দোকানে। দোকানের কর্মীর তখন মনে হয়েছিল যে, বোধহয় খাবার বা প্রয়োজনীয় জিনিস দিতে দোকানে ঢুকেছে ডেলিভারি এজেন্টরা। কিন্তু তারপরই টেন পেলেন আসল সত্য। তখন হাড়হিম হওয়ার জোগাড়।

ডেলিভারী এজেন্টের ছদ্মবেশে দু'জন মাত্র ছয় মিনিটে বন্দুক বের করে গয়েনার দোকানে লুটপাঠ চালায়। প্রচুর রুপো ও সোনা নিয়ে চম্পট দেয়। জানা গিয়েছে, দুষ্কৃীতিরা ২০ কেজি রূপা, ১২৫ গ্রাম সোনা এবং ২০,০০০ টাকা নগদ লুট করেছে।

সেই সময়ে দোকানে মাত্র একজন কর্মচারী ছিলেন। তাঁর চোখের সামনেই চলে লুট। পুরো ঘটনাটি ধরা পড়েছে দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরায়। সেখানে দেকা গিয়েছে মোটরবাইকে করে দুশ্কৃতীরা দোকানে এসেছিল। ঘটনাটি গাজিয়াবাদের ব্রিজ বিহার কলোনির মানসী জুয়েলার্সে ঘটেছে।

?ref_src=twsrc%5Etfw">July 25, 2025

 

দোকানের মালিক কৃষ্ণ কুমার বর্মা যখন দুপুরের খাবার খেতে গিয়েছিলেন। দোকান সামলাচ্ছিলেন কর্মী শুভম। তখনই এই ঘটনা ঘটেছিল। চুরির পর শুভম মালিককে ফোনে খবর দেন, এরপর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়।

আরও পড়ুন-  তিন বছরের এফডি: প্রবীণদের সুদের হার কত? এই চার ব্য়াঙ্কে আট লাখ টাকা বিনিয়োগে কত মিলবে?

ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ জানান, "অভিযোগকারী জানিয়েছেন, দু'জন অজানা ব্যক্তি বাইকে করে এসে তাঁর গয়নার দোকানে ঢুকে বন্দুক দেখিয়ে ২০ কেজি রুপো ও ২৫ গ্রাম সোনা লুট করে পালায়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মামলা রুজু করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ছয়'টি তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে।" ঘটনার পর গাজিয়াবাদের পুলিশ কমিশনার জে রবীন্দ্র গৌড়, ট্রান্স হিন্ডন জোনের ডিসিপি-সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

তবে এই ডাকাতির সময় যে কর্মচারী দোকানে উপস্থিত ছিলেন, তাঁর ভূমিকা নিয়েও তদন্ত চলছে। দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।