আজকাল ওয়েবডেস্ক: দিনের শুরু। সকালে অন্যান্য দিনের মতোই স্কুলে গিয়েছিল পড়ুয়ারা। বই খুলে বসেওছিল। কিন্তু তার মাঝেই ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা। আচমকা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল স্কুলবাড়ি। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, রাজস্থানের মনোহর থানার পিপলোদি সরকারি বিদ্যালয়ের এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অন্তত সাত পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। 

 

সকাল ৮.৩০টার দিকে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা যায়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, একতলা ওই স্কুল বাড়িটি ভেঙে পড়ার সময়, সেখানে শিক্ষক ও কর্মচারী ছাড়াও প্রায় ৪০ জন শিশু বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিল।

আরও পড়ুন: রাতভরের বৃষ্টিতে ভাসছে কলকাতা, শুক্রতেও জেলায় জেলায় চরম দুর্যোগ, সবটা জানিয়ে দিল হাওয়া অফিস

প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত জানা গিয়েছে, প্রাণ গিয়েছে চার শিশুর। ভেঙে  পড়া স্কুলবাড়ির নীচে এখনও চাপা পড়ে রয়েছে বহু পড়ুয়া। জানা গিয়েছে, বাড়িটি ভেঙে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই স্থানীয় বাসিন্দারা আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে সহায়তা করার জন্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। একই সঙ্গে জানা গিয়েছে জেলা প্রশাসন এবং দুর্যোগ ত্রাণ দলকে উদ্ধার অভিযানের জন্য ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।

তথ্যও, ওই স্কুলবাড়িটি এমনিতেই জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিল। এর আগেও একাধিকবার স্কুলবাড়িটির স্বাস্থ্য নিয়ে অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। যদিও তাতে কোনও কাজ হয়নি।

 

দিন কয়েক আগেই সামনে এসেছিল আরও এক ঘটনা। জানা যায়, ভোপালের বারখেদা পাঠানিতে পিএম শ্রী স্কুলে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটেছে। দিন কয়েক আগে ভরা ক্লাসরুমে ভেঙে পড়ে আস্ত সিলিং ফ্যান। ফ্যানটি ভেঙে পড়ে পড়ুয়াদের উপরেই। অনেকেই আতঙ্কে পালাতে পারলেও, কয়েকজন তাতেই চাপা পড়ে। তার জেরে ঘটে বিপত্তি।স্কুলের তরফে জানা গেছে, ঘটনার দিন প্রায় সকল পড়ুয়াই উপস্থিত ছিল। ফলে ফাঁকা ছিল না ক্লাসরুম। মনোযোগ দিয়ে সকলেই পড়া বুঝছিল। ক্লাসে ছিলেন একজন শিক্ষিকা‌। বোর্ডে লিখে পড়া বোঝাচ্ছিলেন তিনি। মাঝ পথেই বিকট শব্দ শুনতে পান তিনি। মাথা তুলে উপরে তাকাতেই দেখেন, প্লাস্টার খসে পড়ছে। এর কয়েক মিনিটের মধ্যেই চলন্ত সিলিং ফ্যানটি পড়ুয়াদের উপরে ভেঙে পড়ে। 

 

এর দিন কয়েক আগে, জুলাই মাসের শুরুতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে আরও একটি স্কুলের অংশ। ঘটনাটি ঘটে  বলাগড়ের নিশ্চিতপুর জুনিয়ার বেসিক স্কুলে।  আচমকা ঘরের ছাদ ভেঙে পড়ল হুড়মুড় করে। স্বাধীনতার আগে তৈরী হয় স্কুলটি। যত্নের অভাবে স্বাস্থ্য খারাপ হয়েছে। সংস্কারের কাজ হয়নি অনেক দিন হয়ে গিয়েছে। স্কুলের তরফে জরাজীর্ণ স্কুল বাড়ি সংস্কারের আবেদন জানানো হয়েছে শিক্ষা দপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট সব জায়গায়।

অভিযোগ এসছে কোনও কাজ হয়নি এখনও। বাকুলিয়া ধোবাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নিশ্চিতপুর জুনিয়া বেসিক স্কুল।  ছাদ ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া মাত্রই স্কুলে গিয়েছিলেন বলাগড় বিডিও ও শিক্ষা দপ্তরের এস আই। সকলেই রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অভিভাবকেরা প্রশাসনের কর্তাদের সামনে পেয়ে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দেন। স্কুল ভেঙে পড়া প্রসঙ্গে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছিলেন, 'গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হওয়ায় স্কুল ঘরের ভেতরে জল পড়ছিল। তাই ওই ঘরে কোন ক্লাস নেওয়া হচ্ছিল না। এদিন স্কুল চলাকালীন হঠাৎ করে ছাদ ভেঙে পড়ে। প্রশাসনের সমস্ত দপ্তরে আগে থেকেই স্কুল বাড়ির বেহাল দশার বিষয়টি জানানো ছিল। প্রশাসনের তরফে আশ্বস্ত করা হয়েছে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'