আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্ত্রীকে বাঁচাতে নিজের কিডনি দান করেছিলেন—এই মানবিক কাহিনি এক সময় নেটিজেনদের চোখে জল এনেছিল। কিন্তু সেই কাহিনির মোড় ঘুরেছে চমকপ্রদভাবে। বহুদিন পর সামনে এল স্বামী মোহাম্মদ তারেকের (৩৮) বক্তব্য, যেটি সম্পূর্ণ উল্টো চিত্র তুলে ধরেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় যখন তারেকের প্রতি চলছে কড়া সমালোচনা—‘এক নারী নিজের কিডনি দিল, আর পুরুষটি করল বিশ্বাসঘাতকতা’, তখন সেই তারেকই সংবাদমাধ্যমে জানালেন, “আমার স্ত্রী টুনি (৩২) কিডনি দিয়েছিল ঠিকই, কিন্তু সেটা নিঃস্বার্থভাবে নয়। সে শর্ত দিয়েছিল—আমার বাড়ির দোতলার মালিকানা চাই। আমি ৬০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি তার নামে রেজিস্ট্রি করে দিই। তারপরেই সে কিডনি দিতে রাজি হয়।”

আরও পড়ুন: এক বউ, দুই বর! সিমলায় ভাইয়ের সঙ্গে ভাইয়ের বিয়ে—এ যেন এক জ্যান্ত 'দ্রৌপদী প্রথা'

তারেক বলেন, “তখন আমাদের সম্পর্ক খুব ভালো ছিল। ওর মা আর বোন কিডনি দেওয়ার বিরোধিতা করছিলেন, তবুও ও এগিয়ে যায়। কিন্তু অপারেশনের কয়েক মাস পর থেকেই ওর ব্যবহার পাল্টাতে থাকে। ফোনে সারাক্ষণ সময় কাটানো, টিকটকে অতিরিক্ত আসক্তি, একের পর এক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক—সব মিলিয়ে সংসার ভেঙে পড়ে।” বিস্ফোরক অভিযোগ করে তারেক জানান, “একজন থাই নাগরিকের সঙ্গে টুনির সম্পর্ক হয়, এমনকি সেই লোকটি তার স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সও করে। এছাড়া আমাদের বাড়ির তৃতীয় তলার ভাড়াটে রাজিবের সঙ্গেও ওর সম্পর্ক ছিল। এক রাতে, প্রায় রাত ১০টার সময় টুনিকে কোথাও খুঁজে পাচ্ছিলাম না। বিউটি পার্লার, ছাদ—সব জায়গায় খুঁজে দেখি। শেষমেশ রাজিবের ফ্ল্যাটে ঢুকে দেখি—আমার স্ত্রী ওর সঙ্গে শুয়ে আছে। আমি নিজেকে সামলাতে পারিনি। কয়েকবার ওকে চড় মেরেছিলাম, রাজিব পালিয়ে যায়।”

তারেকের দাবি, টুনির পরিবার এই ঘটনা জানলেও কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। এই নাটকীয় মোড় নেটমাধ্যমে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কেউ বলছেন, “সত্যের বহু দিক থাকে—আগেই বিচার করা ঠিক নয়।” আবার কেউ বলছেন, “যে সত্যই হোক, দুজনের জীবনেই গভীর সংকট স্পষ্ট।” ঘটনার পূর্ণ তদন্তের দাবি উঠেছে নানা মহলে। সমাজের বিভিন্ন স্তরে সম্পর্কের জটিলতা ও কিডনি দানের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের নেপথ্য বাস্তবতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।