স্লিম-ফিট চেহারা পেতে কে না চায়! শুধু বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়, স্থূলতা অনেক রোগকেও কারণও হয়ে ওঠে। তাই আজকাল ওজন নিয়ে সচেতনতা বেড়েছে। কড়া ডায়েট থেকে ঘণ্টা পর ঘণ্টা ঘাম ঝরানো, কোনও কিছুতেই ঘামতি নেই। তবুও অনেক সময়ে কাঙ্খিত ফল মেলে না। আসলে মেদ ঝরানো সকলের জন্য সহজ হয় না। অনেকের জন্যই ওজন কমানো বেশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে। সেক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন করলেই সুফল পাওয়া যায় বলে মত পুষ্টিবিদদের। কিছু উপায় অবলম্বন করলে দ্রুত ওজন কমতে পারে। যেমন গবেষণা বলছে, প্রতিদিন মাত্র এক মুঠো আমন্ড বাদাম খাওয়া ওজন কমানোর একটি প্রাকৃতিক এবং কার্যকর উপায় হতে পারে।

আমন্ড খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভাল, একথা মোটামুটি সকলেরই জানা। সকালে খালি পেটে আমন্ড খাওয়ার নিয়ম মানেন স্বাস্থ্যসচেতনরা। শুকনো আমন্ডের পরিবর্তে অনেকে জলে ভিজিয়ে রাখা আমন্ড খোসা ছাড়িয়েও খান। বিশেষজ্ঞদের মতে, আমন্ডে রয়েছে উচ্চমাত্রায় প্রোটিন, ফাইবার এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। এই উপাদানগুলো দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি রাখে এবং খিদের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। ফলে বারে বারে খাওয়া প্রবণতা কমে যায়। 

 

আরও পড়ুনঃ এক মুঠো বাদাম খেলেই হবেন স্লিম-ফিট! কোন বাদামের ম্যাজিকে ঝরবে কিলো কিলো ওজন? জেনে নিন

 

ওজন কমাতে আমন্ড কেন উপকারী

* আমন্ড মেটাবলিজমকে সক্রিয় করেল অর্থাৎ আপনার শরীর বেশি দ্রুত ক্যালোরি পোড়াতে পারে।
* আমন্ডের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম, যা রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। 
* আমন্ডে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন ই এবং ম্যাগনেশিয়াম শরীরের সার্বিক সুস্থতাও বজায় রাখে।

কীভাবে খাবেন

প্রতিদিন সকালে ভেজানো ৫–৭টা বাদাম খাওয়া সবচেয়ে ভাল। স্ন্যাকস হিসেবেও ফাস্ট ফুড বা চিনিযুক্ত খাবারের পরিবর্তে আমন্ড বাদাম খেতে পারেন। 

সাবধানতা

বাদাম ক্যালোরি সমৃদ্ধ, তাই অতিরিক্ত খেলে উল্টে ওজন বাড়াতে পারে। পরিমিত খাওয়াই শ্রেয়। পুষ্টিবিদদের মতে, আমন্ডের খোসায় ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে। এই উপাদানটি রক্তে বাড়তি শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়া এতে পলিফেনল নামক প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টও রয়েছে। যা শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, খোসা ছাড়ানো আমন্ড হজম করা সহজ। তাই যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে তাঁদের খোসা ছাড়িয়ে কাঠবাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। পেটের সমস্যা থাকলে খোসা ফেলে দিয়ে আমন্ড খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। 

আমন্ডের খোসার মধ্যেও অনেক গুণ রয়েছে। তাই ফেলে না দিয়ে এই বাদামের খোসাও খেতে পারেন। যেদিন সকালে খাবেন তার আগের দিন রাতে আমন্ড জলে ভিজিয়ে দিন। পরের দিন সকালে খাওয়ার সময় আমন্ডের খোসা ছাড়িয়ে নিন। কিন্তু ফেলবেন না। বরং ওই খোসা শুকিয়ে ভালভাবে গুঁড়ো করে খেতে পারেন। কুকিজ, কেক, মাফিন বাড়িতে বানালে সেখানেও বেশ অন্য রকম স্বাদ আনতে আমন্ডের খোসার গুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন।

এছাড়াও ওজন কমাতে হলে পরিমিত পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। রোজকার ডায়েটে যেন প্রোটিন ও ফাইবারের পরিমাণ ঠিক থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সঙ্গে নিয়মিত শরীরচর্চা, পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক চাপমুক্ত থাকাও প্রয়োজন।