আজকাল ওয়েবডেস্ক: সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন। সেখানেই সংসদে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। রবিবার এমনটাই জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজুজু। তবে এই আলোচনা যেন সংসদের মধ্যে সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখে সেদিকেও জোর দিয়েছেন তিনি।
 
 রবিবার এক সর্বদলীয় বৈঠকের পর বেরিয়ে এসে রিজুজু বলেন, অপারেশন সিঁদুর নিয়ে সংসদে আলোচনা করা হবে। এবিষয়ে প্রতিটি বিরোধী দলের প্রশ্নের উত্তর দিতে তৈরি সরকার। এরপর তাকে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এবিষয়ে যা বলার সংসদে বলা হবে। বাইরে নয়। তিনি জানান যখনই দরকার হয়েছে সংসদে উপস্থিত থেকে প্রধানমন্ত্রী সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। এবারেও তার ব্যতিক্রম হবে না। 
 
 তিনি আরও যোগ করেন চলতি বাদল অধিবেশনে সংসদে ১৭ টি বিল নিয়ে আলোচনা করা হবে। সেখানে বিরোধীদের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে সরকার তৈরি রয়েছে। এদিনের সর্বদলীয় বৈঠকে মোট ৫১ টি বিরোধী দল উপস্থিত ছিল। 

 
 অপারেশন সিঁদুর শুরু হওয়ার ৩০ মিনিট পর পাকিস্তানকে জানিয়েছিল ভারত। কয়েকদিন আগে সংসদীয় পরামর্শদাতা কমিটিকে এই কথা জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। তিনি জানান, যে ভারত পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) নয়টি সন্ত্রাসী শিবির লক্ষ্য করে অপারেশন সিন্দুর শুরু করার ৩০ মিনিট পরে ইসলামাবাদকে সতর্ক করে।  
 
 ৬ মে রাতে পহেলগাঁও হামলার জবাব দিতে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছিল। এছাড়াও দুই দেশের মহাপরিচালকদের (DGMO) স্তরে সরাসরি যোগাযোগের পর দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়, যা ইসলামাবাদের উদ্যোগে শুরু হয়েছিল। যদিও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছিলেন, যে সরকার অপারেশন সিঁদুর সম্পর্কে পাকিস্তানকে আগে থেকেই জানিয়েছিল, এটিকে ‘অপরাধ’ বলে অভিহিত করার পর রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হওয়ার কয়েকদিন পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই সাফাই সামনে এসেছে। 

 
 বিদেশ বিষয়ক সংসদীয় পরামর্শদাতা কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জয়শংকর। সেখানেই সব দলের প্রতিনিধিদের সামনে অপারেশন সিঁদুর এবং পাকিস্তান থেকে উদ্ভূত আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে জয়শঙ্কর সদস্যদের আশ্বস্ত করেছেন, যে ভারত কেবল সন্ত্রাসবাদি পরিকাঠামো লক্ষ্য করে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে, এবং উত্তেজনা এড়াতে তাৎক্ষণিকভাবে পাকিস্তানকে বিষয়টি অবহিত করেছে।

 
 বিদেশী হস্তক্ষেপ, বিশেষ করে যুদ্ধবিরতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা সম্পর্কে বলতে গিয়ে, বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের অবস্থান দশটি শব্দে তাঁরা জানিয়েছেন: ‘তারা গুলি চালায়, আমরা গুলি চালাই। তারা থামায়, আমরা থামাইֹ। জয়শঙ্কর আরও যোগ করেন, ‘যখন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে জানান যে পাকিস্তান বৃহৎ আকারে প্রতিশোধ নিতে পারে, তখন ভারত  দৃঢ়ভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলে ‘যদি পাকিস্তান উত্তেজনা বাড়ায়, আমরাও একইভাবে জবাব দিতে প্রস্তুত।’
আরও পড়ুন: কয়েক মিনিটেই বদলে গেল জীবন, প্রিয় পোষ্য বাঁচাল মালিকের জীবন
 
 কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছিলেন যে সরকার অপারেশন সিন্দুর সম্পর্কে পাকিস্তানকে আগে থেকেই জানিয়েছিল, এটিকে “অপরাধ” বলে অভিহিত করার পর রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হওয়ার কয়েকদিন পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই স্পষ্টীকরণ এসেছে।
