আজকাল ওয়েবডেস্ক: উদ্ভিদের প্রাণভোমরা জল, কিন্তু জানেন কি এই জলই অনেক সময় হয়ে ওঠে গাছের মৃত্যুর কারণ? বিশেষ করে যাঁরা শহরের ফ্ল্যাটে টবে গাছ লাগান, তাঁদের কাছে বর্ষাকাল একই সঙ্গে আশীর্বাদ ও অভিশাপ। বর্ষার জল একদিকে যেমন চারা গাছকে চনমনে করে তেমনই অতিবৃষ্টি হলে টবে জল জমে যায়। ফলে গাছের শিকড় পচে যেতে পারে, পোকামাকড়ের উপদ্রব বাড়ে, এমনকী গাছ একেবারে শুকিয়েও যেতে পারে। তাই বর্ষার শুরুতেই কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত, যাতে গাছ সতেজ, সবুজ এবং প্রাণবন্ত থাকে।
 
 
 আরও পড়ুন: ১২ জন স্ত্রী! বাচ্চা করাই নেশা! ১০২ সন্তানের বাবা হয়ে অবশেষে থামলেন ৬৮-র মুসা, কেন ক্ষান্ত দিলেন? কী বললেন এ যুগের ধৃতরাষ্ট্র?
 
 আরও পড়ুন: শুক্রাণু দান করে কত টাকা আয় হয়? ভারতে বীর্য দাতা হতে গেলে কোন কোন নিয়ম জানতে হবে?
 
 
 ১. টবের তলায় জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করুন। অতিবৃষ্টির সময় টবে জল জমে যাওয়া সবচেয়ে বড় সমস্যা। অতিরিক্ত জল জমলে মাটিতে বায়ু চলাচল করতে পারে না, ফলে শিকড়ে অক্সিজেন পৌঁছয় না এবং শিকড় পচে যায়। তাই প্রতিটি টবের নিচে অবশ্যই যেন খোলা ড্রেনেজ হোল থাকে, তা বারবার খতিয়ে দেখতে হবে। চাইলে একাধিক ছিদ্র রাখতে পারেন। সেই সঙ্গে টবের নিচে ছোট পাথর বা ইটের টুকরো দিয়ে বেস তৈরি করুন, যাতে অতিরিক্ত জল বেরিয়ে যাওয়ার জায়গা থাকে।
 
 ২. প্লাস্টিক কভার বা ছাউনি দিন। অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে ছাদ বা বারান্দায় রাখা গাছগুলিকে কিছুটা আড়ালে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ। এই কাজে পারমিয়েবল শেড বা প্লাস্টিক শিট ব্যবহার করতে পারেন। এর ফলে আলোও ঢোকে কিন্তু অতিরিক্ত জল জমার সুযোগ থাকে না। বারান্দার রেলিংয়ের কাছে রাখা গাছগুলিকে সাময়িক ভাবে একটু ভেতরের দিকে টেনে আনতে পারেন।
 
  ৩. বৃষ্টি থেমে গেলে টব পরীক্ষা করুন। প্রতিটি টব আলাদা করে খতিয়ে দেখুন। যদি দেখেন জল জমে রয়েছে বা মাটি খুব বেশি স্যাঁতসেঁতে হয়ে আছে, তবে একটু শুকনো মাটি দিয়ে দিন বা টবটি কিছুক্ষণ রোদে রাখুন। অনেক ক্ষেত্রেই জমা জলে শিকড় নরম হয়ে যায়, এই বিষয়টি দ্রুত লক্ষ্য না করলে গাছ বাঁচবে না।
৩. বৃষ্টি থেমে গেলে টব পরীক্ষা করুন। প্রতিটি টব আলাদা করে খতিয়ে দেখুন। যদি দেখেন জল জমে রয়েছে বা মাটি খুব বেশি স্যাঁতসেঁতে হয়ে আছে, তবে একটু শুকনো মাটি দিয়ে দিন বা টবটি কিছুক্ষণ রোদে রাখুন। অনেক ক্ষেত্রেই জমা জলে শিকড় নরম হয়ে যায়, এই বিষয়টি দ্রুত লক্ষ্য না করলে গাছ বাঁচবে না।
 
 ৪. দৈনিক জল দেওয়া ও সার প্রয়োগের পরিমাণ কমিয়ে দিন। বর্ষাকালে যেহেতু প্রাকৃতিকভাবে জল আসছে, তাই আলাদা করে জল দেওয়া একেবারে বন্ধ রাখুন বা ২-৩ দিনে একবার করে জল দিন। তেমনি এই সময় নিয়মিত সার প্রয়োগও বন্ধ রাখা উচিত। অতিরিক্ত সার বর্ষার স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে শিকড়ের ক্ষতি করতে পারে।
 
 ৫. ছত্রাক ও পোকা নিয়ন্ত্রণে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করুন। বর্ষাকালে টবের গাছে ছত্রাক বা ফাঙ্গাস হওয়া খুবই স্বাভাবিক। পাতায় দাগ পড়া, গন্ধ বেরোনো বা পাতা ঝরার প্রবণতা বাড়লে সঙ্গে সঙ্গে ছত্রাকনাশক স্প্রে ব্যবহার করুন। রাসায়নিক কীটনাশক ওষুধ না দিতে চাইলে নিম তেলও ব্যবহার করতে পারেন। এটিও এই সময় দারুণ কার্যকর।
সবমিলিয়ে শহরবাসীর কাছে টবের গাছ শুধু শখ নয়, অনেক সময় মানসিক শান্তি বজায় রাখার উপায়ও বটে। তাই অতিবৃষ্টিতে যাতে প্রিয় গাছগুলি বিপন্ন না হয়, তার জন্য তৈরি থাকা জরুরি। একটু যত্ন, একটু সচেতনতা থাকলেই ভাল থাকবে গাছ।
