আজকাল ওয়েবডেস্কঃ আজকাল ওজন বেড়ে যাওয়া নিয়ে বেড়েছে সচেতনতা। মেদ ঝরাতে অনেকেই বেশ কসরত করেন। কেউ দৌড়ান ট্রেডমিলে, কেউ বা ক্যালোরি মেপে মুখে তুলছেন খাবার। আবার সময়ের অভাবে ‘শর্টকাট’ পন্থাও নিচ্ছেন অনেকেই। যদিও দ্রুত ওজন কমানো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। পুষ্টিবিদদের মতে, চটজলদি ওজন কমাতে গিয়ে অনেকেই বড় সড় ভুল করে ফেলেন। মোটামুটি ওজন বেড়ে যাওয়া নিয়ে সকলেই যে চিন্তিত তা পরিষ্কার। আসলে আজকাল অনিয়মিত জীবনযাপন, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস, শরীরচর্চার অভাব, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা সহ একাধিক কারণে যেমন ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিচ্ছে, তেমনই স্থূলতার কারণে শরীরে থাবা বসাচ্ছে নানা জটিল রোগ। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যে জরুরি তা বলাই বাহুল্য! ওজন একবার বেড়ে গেলে তা কমানো সহজ নয় বটে। মেদ ঝরানোর জন্য শুধু কড়া ডায়েট নয়, মেনে চলতে হয় কয়েকটি সহজ নিয়ম। জেনে নিন সেই 'ম্যাজিক' টিপসের বিষয়ে-
* খাওয়াদাওয়ায় পদ্ধতিতে নজরঃ ওজন কমাতে হলে সবার আগে নজর দিতে হবে খাওয়াদাওয়ার উপর। শুধু স্বাস্থ্যকর খাবার খেলেই হবে না, কী পরিমাণে এবং কীভাবে খাচ্ছেন তাও খেয়াল রাখা জরুরি। অর্থাৎ বেশি পরিমাণে স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে ওজন বাড়তে পারে। সঙ্গে ধীরে ধীরে চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
* উপোস নয়ঃ দ্রুত ওজন কমাতে উপোস করতে যাবেন না। এতে হিতে বিপরীত হবে। কিছুদিনের মধ্যে ফের ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সঙ্গে শরীরে দেখা দিতে পারে আরও অনেক সমস্যা। বেশিক্ষণ খালি পেটে থাকলে শরীরে ফ্যাট জমতে শুরু করে।
আরও পড়ুনঃ কিছু খেলেই পেট ফুলে ওঠে? শুধু গ্যাস নয়, নেপথ্যের এই সব জটিল রোগ না বুঝলে বিপদে পড়বেন
* মেটাবলিসম- সকলের শরীরে মেটাবলিসম এক রকম হয় না। জিনগত কারণেই কারও কারও বিপাকহার কম থাকে। আবার বয়সের সঙ্গেও কমে বিপাকহার। এছাড়াও আরও বেশ কিছু কারণে মেটাবলিসম কম থাকতে পারে। যেমন শরীরে মেদ বেশি থাকলে, সুগঠিত পেশি থাকলে, একেবারেই কম খেতে থাকলেও বিপাকহার কমে যায়।
* কম ঘুমঃ ওজন কমানোর জন্য ঘুম খুবই জরুরি। কম ঘুমালেও বিপাকহার কমে যায়। বিভিন্ন শারীরিক ক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটে। রোজ ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমালেই তা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
* রাতে খাওয়ার পরই ঘুম নয়ঃ খাওয়ার পরপরই ঘুমিয়ে গেলে ওজন কমাতে আশানুরূপ ফল পাবেন না। ঘুমের অন্তত দুই-তিন ঘণ্টা আগে খাওয়াদাওয়ার পালা সেরে ফেলা প্রয়োজন।

* সঠিক ব্যায়ামঃ মেদ ঝরাতে শরীরচর্চা করছেন বটে, তবে সঠিক ব্যায়াম করা জরুরি। অনেকেই ভাবেন, কার্ডিও করলে দ্রুত ঝরে মেদ। তেমনটা কিন্তু নয়, বরং সব ধরনের এক্সারসাইজ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে করা উচিত। একইসঙ্গে সারাদিন শরীরের নড়াচড়া প্রয়োজন।
* রোগ- কিছু রোগের কারণে ওজন কমাতে মুশকিলে পড়তে পারেন। যেমন থাইরয়েড, পলিসিস্টিক ওভারি, হরমোনের তারতম্য, স্লিপ অ্যাপনিয়া, ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি ইত্যাদি।
* ওষুধ- কিছু ওষুধের কারণেও কিন্তু ওজন কমানোতে সমস্যা হতে পারে। যার মধ্যে অন্যতম জন্মনিয়ন্ত্রণ ওষুধ। এছাড়া খিঁচুনি, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, অ্যালার্জি এবং মানসিক সমস্যায় ব্যবহৃত কিছু ওষুধ সেবনের কারণেও ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকে।
