নিজস্ব সংবাদদাতা | | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ০৫ জানুয়ারী ২০২৪ ০৭ : ৫৯

কথা ছিল ৫ জানুয়ারি নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের আগামী ছবি ‘আমার বস’-এর শুট শুরু হবে। সেই অনুযায়ী ৩ জানুয়ারি রাখি গুলজার কলকাতায়। কারণ, তিনি এই ছবির মধ্যমণি। আজকাল ডট ইনের কাছে খবর, নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট সময়ে সেক্টর ফাইভের একটি প্রথম সারির অফিসে শুট শুরু হয়েছে। প্রথা মেনে শুভ মহরৎ নিজের হাতে সেরেছেন ছবির নায়ক এবং অন্যতম পরিচালক শিবপ্রসাদ। টিম উইন্ডোজ শুটিং ফ্লোরে পৌঁছে গিয়েছেন সকাল সাতটার মধ্যে। তখন কুশায়া সরিয়ে প্রযুক্তি নগরী আড়মোড়া ভাঙছে। রাখির কলটাইম সকাল ১০টায়। ততক্ষণে পুরোদমে কর্মব্যস্ত সেই অফিস।

সকাল সকাল স্নান সারা। ঘাড় ছোঁয়া চুল হাল্কা ভিজে। সাদা পোশাকের উপরে ধূসর আর কালোয় বোনা শীতপোশাক। চোখে সাদা ফ্রেমের চশমা। শান্ত, স্নিগ্ধ রাখি ধীর পায়ে গাড়ি থেকে নেমে যখন সেটে তখন ১০টা বাজতে ১৫ মিনিট বাকি! পরিচালক জুটি, জিনিয়া সেন, প্রযোজনা সংস্থার সবাই এবং ডিজাইনার অভিষেক রায় উপস্থিত। সবাইকে নিয়ে তিনি লিফটে। সেখানে ১০ জন উঠতে পারবেন। সেই অনুযায়ী, একেবারে নির্দিষ্ট ফ্লোরের বোতামে চাপ। কিন্তু হঠাৎই মাঝপথে একটি ফ্লোরে থমকে যায় লিফট। দরজা খুলতেই অফিসের এক কর্মী ভিতরে প্রবেশ করতে চান। তিনিও তাঁর কর্মস্থলে যাবেন, তাই। রাখি বা নন্দিতা-শিবপ্রসাদ— কাউকেই তিনি চিনতে পারেননি। কিন্তু ভিতরে জায়গা নেই। তাই তাঁকে নেওয়া সম্ভব হয়নি। ব্যাপার দেখে প্রবীণ অভিনেত্রী দারুণ বিব্রত। তিনি বারেবারে জিজ্ঞেস করেন, তাঁর জন্য কোনও ভাবে অফিসকর্মীদের সমস্যা হচ্ছে না তো? প্রকৃত ঘটনা জানার পরে আশ্বস্ত।



আপাতত টানা ১৫ দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এখানেই শুট চলবে। মোট এক মাস লাগবে পুরো শুট শেষ হতে। এদিন শিবপ্রসাদ এবং রাখির বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্য নেওয়া হচ্ছে। প্রথম দিনে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় নেই। এটা শুটিংয়ের গল্প। দুপুরের খাবারে কী থাকছে পর্দার ‘বস’-এর পাতে? জানা গিয়েছে, রাখি ভীষণভাবে মাছে-ভাতে বাঙালি। ঝরঝরিয়ে বাংলা বলেন, পড়েন, লেখেনও। তাই তাঁর পছন্দের তেমনই কিছু খাবার থাকবে। কলকাতায় পা রেখেই তাঁর প্রিয় শাড়ির দোকান, ফুচকার স্টলের খোঁজ নিয়েছেন। সে সব কি আগের মতোই আছে? কৌতূহল তাঁর। সুযোগ পেলে হয়তো ঢুঁ মারবেনও কিছু জায়গায়।

অনেক বছর পরে তিনি আবারও ক্যামেরার সামনে। বিশেষ প্রস্তুতি?

খবর, শুটের আগের দিন অর্থাৎ, ৪ জানুয়ারি তিনি সারাদিন কাটিয়েছেন প্রযোজনা সংস্থার অফিসে। সবার সঙ্গে আলাদা করে আলাপ সেরেছেন। নিজের চরিত্র সম্বন্ধে খুঁটিয়ে জেনেছেন। পরিচালকেরা কী চান তাঁর থেকে? সবিস্তার বুঝে নিয়েছেন নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদের থেকে। নিজেকে পরিশ্রমী শিক্ষার্থীর মতো গুছিয়ে নিয়েই রাখি গুলজার আরও একবার বাংলা ছবির আঙিনায়। যিনি খুব বিব্রত না হলে জোরে কথা বলেন না। সব সময় তাঁর জৌলুসে তাই প্রশান্তি ছটা।