আজকাল ওয়েবডেস্ক: বর্ষা এলেই মানচিত্র থেকে মুছে যায় বস্তারের এই গ্রামগুলো। হাসপাতালে যাওয়া তো দূরস্থ! তাও চলে যায় জলের তলায়। যানবাহন! সে সব ভুলে যান।
 
 একেবারেই অবাস্তব নয়। বাস্তব চিত্র দেখা যায় ছত্তিশগড়ের নারায়ণপুর শহর থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে আবুঝামাদ অঞ্চলের গুমিয়াবেদা, জিউলাপাদার, ঝারাওয়াহি, ডুমনার এবং কোরমেটার মতো গ্রামগুলিতে। প্রতিবছর বর্ষার সময় এই গ্রামগুলি যেন দ্বীপে পরিণত হয়। বর্ষায় যেখানে চলাচলের জন্য থাকে না কোনও নৌকা। নেই সেতুও। রয়েছে কেবলমাত্র একটি নদী। আর তাই বর্ষা এলে ফুলে ফেঁপে ওঠে। একেবারে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় গ্রামগুলি।
 
 বর্ষার সময় এই গ্রামগুলিতে নদী পার করতে হলে সাঁতার কাটা ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু যাঁরা সাঁতার জানেন না তাঁদের উপায় কী? প্লাস্টিকের চাঁদর খালি কাপড়ে বেঁধে তা জড়িয়ে এগিয়ে যেতে হয়। স্থানীয়দের কথায়, ‘প্রতিবছর বর্ষা এলে এভাবেই আমাদের যাতায়াত করতে হয়।’ যেখানে শহরে যেতে হলে নদী পার হওয়া ছাড়া উপায় নেই। আর কেউ অসুস্থ হলে? গ্রামবাসীদের কথায়, ‘কোনওমতে নদী পার করে হাসপাতালে ছুটতে হয়।’ আর এইভাবে যাতায়াত করতে গিয়ে বর্ষায় এই গ্রামের অনেক বাসিন্দাই মারা গেছেন। তবু হুঁশ নেই প্রশাসনের।
 
 গ্রামে যে স্কুল রয়েছে সেটিও বর্ষায় জলে ডুবে যায়। পড়াশুনো হয়ে যায় একপ্রকার বন্ধ। বর্ষার মরসুম এলে থাকে না বিদ্যুৎ। ফোন চার্জ দেওয়া হয়ে যায় দুষ্কর। যোগাযোগের ন্যূনতম মাধ্যমটুকুও যায় থেমে। জেলাশাসক অবশ্য আশ্বস্ত করেছেন চলতি বছরের মধ্যেই পরিস্থিতি শুধরে যাবে।
 
 শুধরোবে কী? বর্ষা এলেই বাড়ে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, ডায়রিয়ার দাপট। প্রসূতিদের সমস্যা তো তীব্র আকার ধারণ করে! 
