সংবাদসংস্থা মুম্বই: ২০১৪ সালে উত্তরাখণ্ডের প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের আয়ুষ শর্মাকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ে করার চার বছর পর ‘লভযাত্রী' ছবিতে অভিষেক হয় আয়ুষের। প্রথম থেকেই সমালোচনার মুখে ছিল আয়ুষ-অর্পিতার প্রেম। এও শোনা গিয়েছে, বলিউডে পাকাপাকি ভাবে জায়গা করে নেওয়ার উদ্দেশ্যেই নাকি প্রথম সারির অভিনেতার বোনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন আয়ুষ। যদিও সে সব সমালোচনা পেরিয়ে দুই সন্তানের বাবা-মা তাঁরা। কিন্তু চর্চা এখানেই থেমে থাকেনি।
বলিপাড়ার গুঞ্জন, এক ছাদের তলায় থেকেও নাকি আলাদা ঘরে থাকেন অর্পিতা-আয়ুষ! এটাই নাকি চলছে বিয়ের প্রথম দিন থেকে। অর্পিতা ও আয়ুষ সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাঁদের দাম্পত্য জীবনের একটি অজানা দিক প্রকাশ করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁরা এক বাড়িতে থাকলেও আলাদা ঘরে থাকেন।
আয়ুষ বলেন, "আমার একটি গোপন ঘর আছে। যা অর্পিতা আগে কখনও দেখেনি। বিয়ের প্রথমদিন থেকেই এভাবেই থাকছি আমরা।" আয়ুষের কথায় সায় দিয়ে অর্পিতা জানান, সম্পর্কের প্রথম দিন থেকেই তাঁরা নিজেদের মতো করে ব্যক্তিগত পরিসর বজায় রেখে চলেন, যাতে একে অপরের প্রতি সম্মান ও ভালবাসা আরও গভীর হয়।
আয়ুষ আরও জানান, তাঁদের দু'জনের পছন্দ-অপছন্দ, ঘুমের সময়, এমনকী জায়গার ব্যবহারও আলাদা। তিনি নিজে রাতে দেরিতে ঘুমন, সিনেমা দেখেন, কখনও শুটিংয়ের প্রস্তুতি নেন- এগুলোর জন্য ব্যক্তিগত পরিসর খুবই দরকার। অন্যদিকে, অর্পিতা সময় মতো ঘুমিয়ে পড়েন ও সকালে তাড়াতাড়ি ওঠেন।
তিনি আরও জানান, এই অভ্যাস তাঁদের মধ্যে কোনও দূরত্ব তৈরি করেনি বরং সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে। তাঁরা বিশ্বাস করেন, একটি স্বাস্থ্যকর সম্পর্কে 'স্পেস' অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন দম্পতির সবকিছু একসঙ্গে করা মানেই ভালবাসা নয় বরং একে অপরের স্বাধীনতাকে সম্মান করাই ভালবাসার প্রকৃত রূপ। তাঁদের মতে, এই ব্যতিক্রমী দৃষ্টিভঙ্গি আজকের যুগে অনেকের কাছেই উদাহরণ হতে পারে- যেখানে অনেক সম্পর্ক ভেঙে যায় অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা বা নিঃশ্বাস ফেলার জায়গার অভাবে।
