আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্ত্রীর হাবভাব দেখে তাঁর মনে হয়েছিল যে সে অন্য কারও সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে। সেই সন্দেহের বশে স্ত্রীকে নির্মম অত্যাচার করার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। পরকীয়ার সন্দেহে দুই দিন স্ত্রীকে ঘরের মধ্যে আটকে রাখার অভিযোগ উঠল ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, ওই মহিলার অভিযোগ তাঁর স্বামী গোপনাঙ্গে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দেন এবং তাঁর ঊরুতে গরম লোহা দিয়ে ছেঁকাও দেন। পুলিশ ওই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে।

পুলিশের কাছে অভিযোগে নির্যাতিতা আরও জানিয়েছেন, এই অত্যাচারে ক্ষান্ত থাকেনি তাঁর স্বামী শত্রঘ্ন রাই (৪০)। তাঁকে বিদ্যুতের শক দিয়ে অত্যাচার করা হয় এবং কোনও রকম খাবার বা জল ছাড়া একটি ঘরে দু’দিন আটকে রাখা হয়েছিল।

ঘটনাটি ঘটে ১৩ জুন বিহারের মুজাফফরপুর জেলায়। মহিলাটি জানান, তাঁর যন্ত্রণাদায়ক চিৎকার সত্ত্বেও প্রতিবেশীরা ভয়ে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি। ১৫ জুন তাঁর ভাই বাড়িতে আসার পর তাঁকে উদ্ধার করা হয়। প্রথমে তাঁকে পারু প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার ডাক্তাররা তাঁকে শ্রী কৃষ্ণ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করেন।

১৬ জুন নির্যাতিতা মহিলা তাঁর স্বামী, শাশুড়ি দুঃখি দেবী (৪৫), ভগ্নিপতি সুমেশ রাই (৩০) এবং ননদ পুষ্পা দেবীর (২৬) বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। তাঁর স্বামীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হলেও, অন্য সদস্যরা পলাতক।

একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে ওই মহিলা জানান, এই বছরের শুরুতে তাঁর স্বামী এবং পরিবার তাঁর উপর বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ আনার পর থেকে অত্যাচার শুরু হয়েছিল। মহিলাটি ১০ বছর ধরে বিবাহিত এবং এই দম্পতির তিনটি সন্তান রয়েছে। তিনি বলেন, "গত ছয় মাস ধরে, আমার স্বামী এবং তাঁর পরিবার আমায় সন্দেহ করছে। যখন আমি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য একটি শারীরিক পরীক্ষা করানোর প্রস্তাব দিই তখন তাঁরা আমাকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন। তারপর তাঁরা এমন কিছু করেছিলেন যা পশুরাও করবে না।"

এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “মামলাটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সকল অভিযোগ গার্হস্থ্য হিংসার। অভিযান চলছে বাকি অভিযুক্ত পাকড়াও করার জন্য।“