আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভাগ্যলক্ষ্মী আর সহায় হল না। কীভাবে মুম্বইয়ের অটোচালকরা লাখপতি হন, সেই খবর ভাইরাল হতেই তাঁদের উপার্জনের পথ বন্ধ হল। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল সেই খবর। জানা গিয়েছিল, শুধুমাত্র মার্কিন দূতাবাসের বাইরে অটো রেখেই মাসে পাঁচ থেকে আট লক্ষ টাকা উপার্জন করেন অটোচালকরা‌‌। সেই খবরের ভিত্তিতে এবার অটোচালকদের কড়া বার্তা মুম্বই পুলিশের। মার্কিন দূতাবাসের বাইরে আর অটো রাখা যাবে না বলেই সাফ জানিয়েছে তারা। 

 

মুম্বই পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মার্কিন দূতাবাসের আশেপাশে আঁটসাঁট নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে। সেখানে গাড়ি পার্কিং করাও নিষিদ্ধ। অটো রাখাও নিষেধ। মার্কিন দূতাবাসের বাইরে অটো রেখে, জিনিসপত্র রেখে টাকা উপার্জন করা বেআইনি। নিরাপত্তার কারণেই সেখানকার অটোচালকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আর সেখানে অটো রাখা যাবে না। এমনকী জিনিসপত্র রেখে উপার্জন করারও যাবে না। 

 

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এক যুবক মুম্বইয়ের এই ধনী অটোচালকের কাহিনি ভাগ করে নিয়েছেন। রাহুল রুপানি নামের যুবক জানিয়েছেন, তিনি দিন কয়েক আগে মার্কিন দূতাবাসে গিয়েছিলেন পাসপোর্টের জন্য। সেখানে প্রবেশ করার আগে নিরাপত্তাকর্মী জানান, ব্যাগ বাইরে রেখে ঢুকতে হবে। দূতাবাসে ব্যাগ নিয়ে প্রবেশ করা নিষিদ্ধ। বাইরে কোথায় ব্যাগ রাখবেন ভাবতে ভাবতেই এক অটোচালক হঠাৎ এসে উপস্থিত হন। 

 

তখনই অটোচালক বলেন, তাঁর কাছে নিশ্চিন্তে ব্যাগ রেখে দূতাবাসে গিয়ে কাজ সারতে পারেন। প্রথমে হকচকিয়ে গেলেও, অটোচালকের কথা শুনে রীতিমতো হতবাক হয়ে যান যুবক। অটোচালক বলেন, রোজ তাঁর অটো দূতাবাসের উল্টোদিকের রাস্তায় দাঁড় করানো থাকে। যাঁরাই কাজে আসেন, তাঁরা অটোতে ব্যাগ রেখে নিশ্চিন্তে কাজে যান। 

 

প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ জন তাঁর কাছে ব্যাগ রাখেন। এর জন্য জনপ্রতি এক হাজার টাকা উপার্জন করেন তিনি। দিনে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা উপার্জন করেন। মাসে পাঁচ থেকে আট লক্ষ টাকা উপার্জন। অটোচালক জানান, তাঁকে এই কাজে এক পুলিশ আধিকারিক সাহায্য করেন। ফলে ব্যাগগুলি নিরাপদেই রাখা থাকে। অটো না চালিয়েও, এভাবেই মাসে লাখপতি হন তিনি।