আজকাল ওয়েবডেস্ক: লস অ্যাঞ্জেলেসে অভিবাসীদের উপর ফেডারেল 'ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট' (ICE)-এর সাম্প্রতিক অভিযানের প্রতিবাদে টানা তৃতীয় দিন জোরদার বিক্ষোভ দেখা গেল রবিবার। এই বিক্ষোভ কেন্দ্র করে শহর কার্যত "বারুদের স্তুপ" হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন মেয়র কারেন ব্যাস।

ICE জানিয়েছে, তারা গত সপ্তাহে লস অ্যাঞ্জেলেসে অভিযান চালিয়ে ১১৮ জন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। এরপর থেকেই লস অ্যাঞ্জেলেস, প্যারামাউন্ট ও কম্পটন শহরে প্রতিবাদ শুরু হয়। রবিবার একটি ডিটেনশন সেন্টারের সামনে বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও পেপার স্প্রে ব্যবহার করে।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই পরিস্থিতিতে ২,০০০ জন ন্যাশনাল গার্ড সেনা মোতায়েনের ঘোষণা করেন এবং বিক্ষোভকারীদের "র‌্যাডিক্যাল লেফট" এবং "প্ররোচনাদাতা" বলে অভিহিত করেন। ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসাম এই পদক্ষেপকে "অপ্রয়োজনীয় ও উত্তেজক" বলে অভিহিত করে ট্রাম্পের সমালোচনা করেন।

রবিবার রাতেই লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ ১০ জন এবং হাইওয়ে পেট্রোল ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করে। শহরের বিভিন্ন জায়গায় গাড়ি পোড়ানোর ঘটনাও ঘটে। প্যারামাউন্টের একটি হোম ডিপোয় মুখোমুখি সংঘর্ষে পুলিশ ফ্ল্যাশ ব্যাং ও টিয়ার গ্যাস ছোড়ে।

ট্রাম্প আরও জানান, প্রয়োজনে অন্যান্য শহরেও সেনা পাঠানো হবে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের সংঘাত নতুন মাত্রা পেয়েছে। ডেমোক্র্যাট গভর্নররা এক যৌথ বিবৃতিতে ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে "ক্ষমতার অপব্যবহার" বলে অভিযোগ তুলেছেন।

মেয়র ব্যাস বলেন, "এই সেনা মোতায়েন ইচ্ছাকৃতভাবে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চাওয়া। আমি চাই না লস অ্যাঞ্জেলেস আবার ১৯৯২ সালের মতো দাঙ্গার শিকার হোক।"

সার্বিক পরিস্থিতিতে আগামী দিনগুলোতে সংঘর্ষ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পর্যবেক্ষকরা।