আজকাল ওয়বেডস্ক: সমস্তিপুরকে গর্বিত করেছেন বৈভব সূর্যবংশী! তাঁর আগেও কিন্তু এই সমস্তিপুর থেকে উঠে এসে আইপিএলে নজর কেড়েছিলেন আরেক ক্রিকেটার। তিনি অনুকূল রায়।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের সদস্য তিনি। আর পাঁচজনের মতো অ্যাকাডেমি বা কোচিং ক্যাম্পে তিনি বোলিংয়ের পাঠ নেননি। গ্রামে লোকজনের দিকে ইট-পাথর ছুড় তিনি বোলিংয়ের সহপাঠ আয়ত্ত করেছিলেন সেই ছোট বয়সে। বড় হওয়ার পরে ছোটবেলার সেই শিক্ষা কাজ লাগছে তাঁর।
বাঁ হাতি স্পিনার। কিন্তু ছেলেবেলায় তাঁর দুষ্টুমিতে গ্রামের মানুষ তিষ্ঠোতে পারতেন না। পাথর-ইট ছুড়তেন অনুকূল। ছোট্ট অনুকূলকে যে বকাঝকা করতেন, তাঁকেই টার্গেট করতেন এখনকার নাইট ক্রিকেটার।
গ্রামের মানুষ বহুবার গিয়ে অনুকূলের দাদু-ঠাকুমার কাছে নালিশ জানিয়েছেন। কিন্তু তখন কি কেউ বুঝতে পেরেছিলেন, লোকজনের দিকে পাথর-ইট ছুড়ে মারা একদিন অনুকূলকে এনে দেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
অনুকূলের ঠাকুমা পবন রেখা দেবি স্মৃতিচারণ করে বলছিলেন, ''অনকূল ছোটবেলায় খুব দুষ্টু ছিল। ঘরে সবার থেকে ছোট ছিল। ফলে সবার ভালবাসার জন ছিল অনুকূল। আমরা সবাই ওকে খুব ভালবাসতাম। সেই কারণেই হয়তো দুষ্টুমি বেশি করত।''
নামজাদা খেলোয়াড় হয়ে গেলেও অনুকূল কিন্তু পরিবারের সংস্কার ভোলেননি। এখনও বাড়িতে এলেই দাদু-ঠাকুমার পা ধরে প্রণাম করেন। অনুকূলের সাফল্যের পরে সমস্তিপুরে ক্রিকেটের প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যায়। বৈভব সূর্যবংশীর মতো ক্রিকেটার উঠে এসেছেন। আইপিএলের মঞ্চে অবাক করে দিয়েছেন নিজের প্রতিভা দিয়ে। ছক্কা হাঁকিয়ে আইপিএল অভিযান শুরু করেছিলেন সূর্যবংশী। পরে সেঞ্চুরিও করেন তিনি। সমস্তিপুর ক্রিকেটের মানচিত্রে উঠে আসে।
