আজকাল ওয়েবডেস্ক: মণিপুরের ইম্ফল উপত্যকা এবং তার আশপাশের এলাকাগুলিতে প্রবল বৃষ্টি ও বন্যা জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী ‘অপারেশন জল রাহাত-২’ নামক অভিযান চালিয়ে ত্রাণ বিলি করছে এবং উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

৩১ মে থেকে সেনা একাধিক বন্যাক্রান্ত এলাকায় নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। এখন পর্যন্ত ১৫৬০ জনকে মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ওয়াংখেই এলাকা থেকে ৫৮৪ জন এবং জেএনআইএমএস হাসপাতাল থেকে ৫৬৯ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়াও, খিতাই চিংগাংবাম লাইকাই এলাকা থেকে ১১০ জন, লাইশরাম লাইকাই থেকে ১১৫ জন, লামলং এলাকা থেকে ৬৫ জন এবং হেইনজাং থেকে ৭৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। হেইনজাং এলাকায় ইম্ফল নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় উদ্ধারকাজ চালাতে কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হচ্ছে সেনাকে।

সেনার সঙ্গে উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে, অসম রাইফেলস, এনডিআরএফ (জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী), এসডিআরএফ (রাজ্যবিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী) এবং বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে কাজ করে চলেছেন।

প্রবল বৃষ্টির ফলে ভূমিধ্বসে ক্ষতিগ্রস্ত উত্তর সিকিমও সেখানেও পরিস্থিতি সামাল দিতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় সেনা। ভূমিধ্বসের ফলে উত্তর সিকিমের প্রধান পর্যটনেরকেন্দ্র লাচেন গ্রাম সম্পূর্ণভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সেনাবাহিনী পায়ে হেঁটে যাওয়ার রাস্তা তৈরি করে গ্রামটির সঙ্গে সংযোগ পুনঃস্থাপন করেছে। সেখানে আটকে থাকা ১১৩ জন পর্যটকের কাছে পৌঁছেছে। খুব শীঘ্রই তাঁদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। সেনা ইতিমধ্যেই হেলিকপ্টারের সাহায্যে ৩০ জন পর্যটককে লাচেন থেকে উদ্ধার করেছে।

অন্যদিকে, চাটেন অঞ্চলের একটি সেনা শিবিরে ভূমিধ্বসের পর নিখোঁজ ছয় জনকে খুঁজে বার করার জন্য জরুরি ভিত্তিতে তল্লাশি অভিযান চলছে। সেনাবাহিনী বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দল এবং উন্নত সরঞ্জাম ব্যবহার করেছে উদ্ধারকাজে। তবে খারাপ আবহাওয়া, অস্থিতিশীল জমি এবং দুর্গম পার্বত্য অঞ্চল উদ্ধারকাজ চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে।