নিজস্ব সংবাদদাতা: ‘ভূতপূর্ব’ এক রাতের তিনটি গল্প৷ তিনজন কথক, আর এক অভিন্ন রহস্যের গল্প। ষাটের দশকের শেষভাগে, এক বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যায় বিভূতিভূষণের বাড়িতে হাজির হয় দুই অচেনা ব্যক্তি—নীলকণ্ঠ ও শশীধর।তিনজনের আড্ডা জমে ওঠে, আর সেই আড্ডার মধ্যেই খুলে যায় তিনটি ভিন্ন কাহিনির পাতা।
‘মণিহারা’, ‘তারানাথ তান্ত্রিক’ এবং ‘শিকার’। সময়কাল ১৯৬০-এর দশকের শেষ ভাগ। বিভূতিভূষণের বাড়িতে বসে গল্প বলছেন নীলকণ্ঠ ও শশীধর, আর তাঁদের বর্ণনায় একে একে উঠে আসে অতীতের ভয়, রহস্য ও অতৃপ্ত আত্মার উপস্থিতি।
 
 ‘মণিহারা’ গল্পে থাকছে ফণীভূষণ ও তাঁর স্ত্রীর করুণ পরিণতি; ‘তারানাথ তান্ত্রিক’-এ তুলে ধরা হয়েছে মাতু পাগলীর রহস্যময় অধ্যায়। আর ‘শিকার’ গল্পে প্রতিফলিত হয়েছে পূর্ণেন্দু ভট্টাচার্যের জীবনের ছায়া। অভিনয় করেছেন রূপাঞ্জনা মিত্র, সন্দীপ্তা সেন, সুহোত্র মুখোপাধ্যায়, সত্যম ভট্টাচার্য, সপ্তর্ষি মৌলিক, অমৃতা চট্টোপাধ্যায় ও বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী। 
সাহিত্যের পাতা থেকে উঠে এসে রুপোলি পর্দায় এবার প্রাণ পেল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মনোজ সেনের সৃষ্টি। কাকলি ঘোষ ও অভিনব মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় আসছে ‘ভূতপূর্ব’—একটি সাহিত্য-ভিত্তিক হরর অ্যান্থলজি, যার ঝলক স্পষ্ট টিজারেই মিলেছে।
 
 প্রতিটি গল্পই প্রথমে আলাদা মনে হলেও, শেষ পর্বে এসে তাদের মধ্যে সূক্ষ্ম এক সংযোগ ধরতে পারবেন দর্শক।
