
রবিবার ০১ জুন ২০২৫
মিল্টন সেন, হুগলি: আবারও বিভাজনের সুর বিজেপির নেতৃত্বের গলায়। জাত-ধর্মের পর এবার বিজেপির বর্ণ বিভাজনের রাজনীতি প্রকাশ্যে। বিজেপি মুখপাত্রের মুখে প্রকাশ্য সভায় শোনা গেল ঘটি-বাঙ্গাল বিভাজনের কথা। পাল্টা তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া, হিন্দু-মুসলিমে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা সফল হয়নি বিজেপির। তাই এ বার ঘটি-বাঙালেও বিভাজন করতে চাইছে।
সোমবার সন্ধ্যায় বিজেপির এক কর্মসূচিতে যোগ দিতে চুঁচুড়ায় এসে প্রকাশ্যে পূর্ববঙ্গ থেকে পশ্চিমবঙ্গে আসা মানুষদের তীব্র কটাক্ষ করেন বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। সভায় বিজেপি মুখপাত্র তথা সাংসদ শমীক বলেন, "শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ওপার বাংলার মানুষ ছিলেন না। তিনি পিওর ঘটি ছিলেন। তিনি কট্টর মোহনবাগান সমর্থক ছিলেন। তার জন্যই পশ্চিমবঙ্গ আছে, যে মাটিতে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী এখন কথা বলেন।" একইসঙ্গে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে উদ্দেশ্য করে বলেন, "ওপার বাংলা থেকে চলে এল কেন? ওপার থেকে যারা এসেছে তারা বলে এত নারকেল বাগান আছিল। পুকুরে রুই, কাতলা ঘুরতো, নাকে নোলক পড়া। ওখানে উইঙ্কেল টুইঙ্কেল হয়নি। ওখানে সিনেমার মত হয়নি। ওখানে ব্রাত্যজনেরা রুদ্ধ সংগীত বানাতে পারেনি। ওখানে বোমা ফাটাতে পারেনি। তাহলে এরাজ্যে এলেন কেন?"
প্রসঙ্গত, কাশ্মীরের পহেলগাঁও ঘটনার পর বিজেপি নেতৃত্বকে বারবার বলতে শোনা যাচ্ছে, ''যারা পূর্ববঙ্গ থেকে এসেছিলেন, তাঁরা কেন এসেছিলেন। সেটা তাঁরা বলুক। পূর্ববঙ্গের মুসলিমদের অত্যাচারের ফলেই তাঁরা ভিটেমাটি ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন।''
বিজেপি নেতৃত্বের মুখে মুখে প্রচারিত এই তথ্য সম্পর্কে জেলার রাজনৈতিক মহলের ধারণা বিজেপির এই বক্তব্যের মধ্যে, একটা দয়া করে জায়গা দেওয়া হয়েছে এমন মনোভাব ব্যক্ত হচ্ছে। যেটা মোটেই অভিপ্রেত নয়। পূর্ববঙ্গ পশ্চিমবঙ্গ বিভাজনের সময় বিজেপি দলটার কোনও অস্তিত্ব ছিল কি না, জানা নেই। তাহলে ওদের দয়া করার প্রসঙ্গ উঠছে কেন।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের হুগলি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরিন্দম গুঁইন বলেছেন, "বিজেপি সব সময় বিভাজনের রাজনীতি করে। আগে হিন্দু মুসলিম বিভেদের চেষ্ঠা করেছে। সফল হয়নি। এবার ঘটি-বাঙাল বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তাই যাঁরা পূর্ববঙ্গ থেকে আসতে বাধ্য হয়েছেন, তাঁদের নিয়ে এই ধরনের মন্তব্য করছে। যেন তেন প্রকারে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতা আসার জন্য ডিভাইড অ্যান্ড রুল পলিসি নিয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, "রাজ্যের মানুষ প্রমাণ করেছেন, তাঁরা জাতি- ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে রয়েছে। কারণ, তিনি মানুষের জন্য কাজ করেন। জাতি-ধর্ম-বর্ণ দেখেন না। আর বিজেপি কখনও ধর্মের নামে, কখনও বর্ণের নামে বিভেদ তৈরি করে চলেছে। ওরা গন্ডগোল, দাঙ্গা লাগিয়ে পরিবেশ অশান্ত করে যে কোনও উপায়ে ক্ষমতায় আসতে চায়। ওদের এই চক্রান্ত সফল হবে না। বাংলার মানুষ সেটা হতে দেবে না।"
ছবি পার্থ রাহা।
শান্তিনিকেতনে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঐতিহ্যবাহী বাড়ি, উপেক্ষিত পৌরসভার নিষেধাজ্ঞা
জামাই আদর নয়, শ্বশুরবাড়ি থেকে খালি পেটেই ফিরে গেল ৯ ফুটের দানব
নারায়ণ পুজোর প্রসাদ খেয়ে অসুস্থ ৫০, খাবারের নমুনা সংগ্রহ করল স্বাস্থ্য দপ্তর
ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে গেলেও দিন কাটছে ভারতেই, শিলিগুড়ি থেকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার দুই আফগান মহিলা
আলিপুরদুয়ার থেকে দিঘার বাসে দুর্গাপুজো পর্যন্ত ২৫% ছাড়, ঘোষণা চেয়ারম্যানের
মাত্র ২০ মিনিটেই সাফ বাড়ির আলমারি, লক্ষাধিক টাকার গয়না চুরি, মাথায় হাত গৃহস্থের
অমিল পদ্মার ইলিশ, বাজার ছেয়ে যাওয়া বার্মা ইলিশেই হবে এবারের জামাইষষ্ঠী!
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে তিস্তার গতিপথে পরিবর্তন, শীঘ্রই পলি তোলার কাজ শুরু করবে রাজ্য সরকার
সিঁদুর নিয়ে ছেলেখেলা বিজেপি কর্মীদের, দায়ের হল মামলা, চুঁচুড়ায় তৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিল
কয়েক মিনিটের তুমুল ধস্তাধস্তি, চা শ্রমিকের সঙ্গে লড়াইয়ে হার মানল চিতাবাঘ!
মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পরেই 'সিঁদুর' নিয়ে বিক্ষোভ, পুলিশকে সিঁদুর পড়িয়ে দিলেন বিজেপি কর্মীরা, তুমুল বিতণ্ডা চুঁচুড়ায়
সিকিমে পর্যটক উদ্ধারে নামল সেনা, তুমুল বৃষ্টিতে বাড়ল তিস্তার জলস্তর, বন্ধ রাখা হল উদ্ধারকাজ
উৎকর্ষ বাংলা কেন্দ্রে সফলভাবে সম্পন্ন কোর্স, পড়ুয়াদের হাতে তুলে দেওয়া হল নিয়োগপত্র
স্বামীকে বাঁচিয়ে দেবেন কবিরাজ, মৃতদেহ আগলে বসে স্ত্রী, শেষে যা ঘটল!
গৃহপরিচারিকা না অন্য কেউ! ঘরে সাজানো থরে থরে টাকা, তদন্তে গিয়ে 'থ' বহরমপুর থানার পুলিশ