আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতের হুমকির জেরে ভয় পেল পাকিস্তান। পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার পর কড়া অবস্থান ঘোষণা করেছে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তাই এবার সতর্ক হল পাকিস্তানও।


দেরি না করে পাকিস্তান লাইন অফ কন্ট্রোলে হাই অ্যালার্ট জারি করে দিল। একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যম সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালে বালাকোট এবং ২০১৬ সালের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ নিল পাকিস্তান।


বুধবার রাজনাথ সিং বলেন, এই ভয়াবহ হামলায় যারা দায়ী সেই সংগঠন, ব্যক্তিদের কিছু সময়ের মধ্যেই, দেশবাসীকে আশ্বস্ত করছেন।  প্রতিরক্ষামন্ত্রী দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, 'আমরা কেবল তাদের কাছেই পৌঁছবো না যারা আমাদের উপর আক্রমণ করেছে, আমরা তাদের কাছেও পৌঁছবো যারা ভারতের বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র চালানোর জন্য পর্দার আড়ালে লুকিয়ে ছিল। আক্রমণকারী এবং তাদের মাথা উভয়কেই লক্ষ্যবস্তু করা হবে।' এর আগে তিন সেনা প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজনাথ। মোদির বৈঠকেও উপস্থিত থাকবেন রাজনাথ সিং, সূত্রের খবর তেমনটাই। 


বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেখা করেন শোকগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে। মঙ্গলবার রাতেই জম্মু-কাশ্মীরে গিয়েছিলেন অমিত শাহ। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। এদিন তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সেখানে গিয়ে কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে সেনার উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গেও। 


প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওতে এই জঙ্গি হামলার ঠিক এক সপ্তাহ আগেই পাকিস্তান আর্মি চিফ জেনারেল আসিম মুনিরের একটি বক্তব্য সকলের নজরে এসেছে। ইসলামাবাদে এসে তিনি একটি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘কাশ্মীর তাঁদের দেহের একটি অংশ। এখানে পাকিস্তানের বক্তব্য একেবারে পরিষ্কার। কাশ্মীরকে তারা কখনই ভুলতে পারবেন না। কাশ্মীরের ভাইদের ঐতিহাসিক যুদ্ধকে তারা ভুলতে পারেন না।’ এই বক্তব্যটি মুনির রেখেছিলেন ১৬ এপ্রিল। 


মুনিরের এই বক্তব্যের তীব্র বিরোধীতা করেছিল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। তারা মুনিরের এই বক্তব্যের বিরোধীতা করে বলেছিল তিনি কীভাবে এমন একটি মন্তব্য করতে পারেন। কাশ্মীর ভারতের একটি অংশ। তবে এবার মুনিরের এই বক্তব্য ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা জল্পনা।


কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে যে জঙ্গি হামলা হয়েছে তার দায় স্বীকার করেছে টিআরএফ। এরা পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর ই তৈবার একটি অংশ। এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে লস্কর ই তৈবার কমান্ডার সৈফুল্লাহ কাসুরি এবং আলিস খালিদের নাম উঠে এসেছে।  


নিহতদের দেহ ইতিমধ্যেই তাঁদের নিজ নিজ রাজ্যে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পর্যটকদের সহায়তার জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক বিমান সংস্থাগুলিকে ভাড়ার উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে অনুরোধ করেছে।