আজকাল ওয়েবডেস্ক: কঠিন পরিস্থিতিতে মহিলাদের সহায়তা করার জন্য সরকার নতুন পেনশন নিয়ম চালু করেছে। বিবাহবিচ্ছিন্না কন্যাদের আর্থিক সহায়তার বিষয়টি সহজ করাই এই নয়া নিয়মের উদ্দেশ্য। নয়া নিয়মে বিবাহবিচ্চিন্নারা কীভাবে উপকৃত হবেন?
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন যে, নতুন নিয়ম অনুসারে একজন বিবাহবিচ্ছিন্না কন্যা সন্তানদের আর পারিবারিক পেনশন দাবি করার জন্য আইনি লড়াইয়ের ফলাফলের জন্য অনির্দিষ্টকাল অপেক্ষা করতে হবে না। যদি একজন পেনশনভোগীর জীবদ্দশায় বিবাহ বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়, তাহলে ২০২৫ সালের ১৬ মার্চতারিখের পিআইবি সার্কুলার অনুসারে, এই মহিলা এখন আদালতের চূড়ান্ত রায়ের অপেক্ষা না করেই পারিবারিক পেনশনের সুবিধা দাবি করতে পারে।
একনজরে পেনশন নিয়মের মূল পরিবর্তনগুলি-
যেসব কন্য়া সন্তানদের পেনশনভোগী বাবা-মা মারা গিয়েছেন তাঁরা এখন আদালতের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা না করেই সরাসরি পারিবারিক পেনশন দাবি করতে পারবেন। যদি পেনশনভোগী জীবিত থাকাকালীন কন্য়া সন্তানের বিবাহবিচ্ছেদের প্রক্রিয়া শুরু হয়, তবে তিনি ওই সময়কালেও পারিবারিক পেনশনের সুবিধা পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
পেনশনপ্রাপ্ত একজন মহিলা যদি বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন অথবা পারিবারিক হিংসা থেকে নারী সুরক্ষা আইন বা যৌতুক নিষিদ্ধকরণ আইনের অধীনে মামলা করেন, তাহলে তিনি এখন তাঁর স্বামীর পরিবর্তে তাঁর সন্তানদের পারিবারিক পেনশনের জন্য মনোনীত করতে পারবেন।
নতুন নিয়ম অনুসারে একজন নিঃসন্তান বিধবা পুনর্বিবাহ করতে পারবেন এবং তাঁর প্রয়াত প্রথম স্বামীর পেনশন পাওয়ারও যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। তবে এই সুবিধা ততক্ষণই মিলবে যতক্ষণ তাঁর মোট আয় ন্যূনতম পেনশন সীমার নিচে থাকে।
এই পরিবর্তন কেন গুরুত্বপূর্ণ?
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং এই সংস্কারগুলির গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে বলেন, "আমরা পরিবর্তিত সামাজিক পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বেশ কয়েকটি সংস্কার চালু করতে সক্ষম হয়েছি।" তিনি জাতি গঠনে মহিলাদের বৃহত্তর ভূমিকার উপরও জোর দেন এবং বলেন, "ভারতের উন্নয়নের ক্ষেত্রে মহিলারা সমান অংশীদার।"
