আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফের ডিজিটাল অ্যারেস্ট। এবার টানা ১৪৪ ঘন্টা ডিজিটালি অ্যারেস্টেড হয়ে রইলেন কেন্দ্রীয় সরকারের এক অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। সেইসঙ্গে সাইবার প্রতারকদের হাতে খোয়ালেন ১ কোটি ৩ লক্ষ টাকা। অভিযোগ পেয়ে আসানসোল কমিশনারেটের গোয়েন্দারা কলকাতা ও দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার করেছেন ৯ জন সাইবার অপরাধীকে। ধৃতদের মধ্যে সুকৃতি চৌধুরী নামে এক মহিলাও আছে। তাকে কলকাতার হরিদেবপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, এই মহিলাই মাস্টারমাইন্ড। 

চঞ্চল বন্দ্যোপাধ্যায় নামে অবসরপ্রাপ্ত ওই কর্মী পুলিশের কাছে জানিয়েছেন, গত ১০ জানুয়ারি থেকে ১৬ জানুয়ারি তিনি ডিজিটালি অ্যারেস্টেড ছিলেন। যেই সময়ে তিনি তাঁর ফোন, ল্যাপটপ ব্যবহার করতে পারেননি। কারা যেন ভার্চুয়ালি বেঁধে রেখেছিল তাঁকে। তাঁর কথায়, ১০ জানুয়ারি তাঁর কাছে ক্যুরিয়ার সার্ভিস কোম্পানির নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ কল এসেছিল। যেখানে তাঁকে বলা হয়, তাঁর আঁধার নম্বর ব্যবহার করে বেশ কয়েকটি পার্সেল ব্যাঙ্কক পাঠানো হয়েছে। যার মধ্যে অবৈধ জিনিস আছে। এরপরেই দিল্লি পুলিশ ও সিবিআইয়ের নাম করে অডিও ও ভিডিও কল আসে। ভিডিও কলে চঞ্চল দেখতে পান বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী দাঁড়িয়ে আছেন। তারা জানায়, চঞ্চলকে ডিজিটাল অ্যারেস্ট করা হয়েছে। 

এরপর নানা মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে দুষ্কৃতীরা তাঁর থেকে টাকা হাতিয়ে নেয় বলে চঞ্চলের অভিযোগ। এরপর ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ শিলিগুড়ির একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পায়। সেই অ্যাকাউন্টের সূত্র ধরে একটি মোবাইল নম্বর এবং নম্বরের সূত্রে হরিদেবপুর ও জগদ্দল থেকে ওই মহিলা-সহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনজন ধরা পড়ে দিল্লি থেকে। অভিযুক্তদের সঙ্গে বিদেশেও এই ধরনের গ্যাংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ আছে বলে পুলিশের অনুমান। সকলকেই নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। উল্লেখ্য, আসানসোলে এই প্রথম ডিজিটাল অ্যারেস্ট-এর ঘটনা ঘটল এবং প্রথমবারের তদন্তেই সাফল্য পেল পুলিশ।