বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
RB | ০৬ জুলাই ২০২৩ ১৮ : ৩২Rishi Sahu
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ঘরে ঘরে সর্দিকাশি, জ্বর।
হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতি ১০ জনের মধ্যে তিনজন রোগী এই সমস্যা নিয়ে আসছেন। গত এক সপ্তাহ ধরে এই রোগীদের সংখ্যাটা হঠাৎ করে বেড়ে গেছে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। সেইসঙ্গে ফুসফুসের সমস্যা বা যারা ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি)–এর রোগী, তাঁদের ক্ষেত্রে সমস্যা আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন তাঁরা।
কেন এটা হচ্ছে? উত্তরে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের চেস্ট অ্যান্ড রেসপিরেটরি বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ডা. সব্যসাচী চৌধুরী বলেন, ‘যে ভাইরাসের কারণে এই রোগ হয় সেগুলি খুব গরম বা ঠাণ্ডায় থাকে না। কিন্তু আবহাওয়ার এই হঠাৎ পরিবর্তনের জন্য সেগুলো আবার প্রকট হয়ে পড়েছে। যার জন্য এই সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।’
সাধারণ রোগীদের সঙ্গে সমস্যা তৈরি হতে পারে হাঁপানি বা সিওপিডিতে ভুগছেন তাঁদের ক্ষেত্রে সমস্যা আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। ডা. সব্যসাচী চৌধুরীর মতে, ‘এই রোগীদের সমস্যা এই সময় জটিলও হয়ে উঠছে। বর্ষা বাড়লে এটা আরও একটু বাড়বে।’
যদিও আরেক চিকিৎসক এবং স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের প্যাথলজি বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. প্রণবকুমার ভট্টাচার্য বলেন, ‘প্রতি বছরই এই ঋতু পরিবর্তনের সময় এই রোগের প্রকোপটা বাড়ে। খুব একটা বিরাট কিছু চিন্তার বিষয় নয়। সতর্ক থাকা এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়াটাই এখানে মূল বিষয়।’
সতর্কতা হিসেবে ডা. সব্যসাচী চৌধুরী বলেন, ‘শিশু বা বয়স্ক, অসুবিধা হচ্ছে মনে হলে সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। গলায় ব্যথা হলে দেরি না করে গার্গল করা বা ‘স্টিম’ নিতে হবে। জ্বর এলে অন্য কোনও ওষুধ না খেয়ে প্যারাসিটামল খেতে হবে। বর্জন করতে হবে ফ্রিজের জল। অফিস বা বাড়িতে বাইরে থেকে এসেই শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বা এসি ঘরে ঢুকে পড়া যাবে না।’