সংবাদ সংস্থা মুম্বই: চেয়েছিলেন বিমানচালক হতে কিন্তু পাকেচক্রে বলিউডের নায়িকা হয়ে গিয়েছিলেন নিক্কি আনেজা ওয়ালিয়া। সম্প্রতি, এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান 'মিঃ আজাদ' ছবির শুটিংয়ের সময় প্রযোজক ও সেন্সর বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারপার্সন পহলাজ নিহালনির কারণে অস্বস্তিকর পরিবেশের সম্মুখীন হয়েছিলেন তিনি।
মার্কিন মুলুকের টেক্সাসে পাইলট প্রশিক্ষণ কোর্স করছিলেন নিক্কি। কিন্তু নারায়ণ আনেজা যখন সেই প্রশিক্ষণ কোর্সের ফি দিতে অস্বীকার করেন তখন উপায় না পেয়ে মডেলিংকে কেরিয়ার হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন নিক্কি, তুতো ভাই তথা অভিনেতা পরমীত সেথির পরামর্শে। এরপরেই তিনি চোখে পড়েন পহলাজ নিহালনির। এরপরেই আসে 'মিঃ আজাদ' ছবির প্রস্তাব। নিক্কির দাবি, ছবিতে মুখ্যভূমিকায় অনিল কাপুর ছিলেন বলেই তিনি রাজি হয়েছিলেন তাতে অভিনয় করতে। সেই সময়ে তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৯।
নিক্কি জানালেন, সেটের মধ্যেই তাঁর শরীরকে কেন্দ্র করে নানান আপত্তিকর মন্তব্য আসত। "যা ব্যবহার করা হত আমার সঙ্গে, আজও ভুলিনি। সেই সময়ে বলিউডে কাস্টিং কাউচের রমরমা। আমাকে 'কম্প্রোমাইজ' করার পরামর্শও দেওয়া হত। ছবির পরিবেশকদের সঙ্গে একান্তে খাবার খেতেও বলা হয়েছিল আমাদের। আর আমার সেসবে ঘোর আপত্তি ছিল। ছবির প্রযোজক পহলাজ নিহালনিকে জিজ্ঞেসও করেছিলাম। আমাকে উনি পাল্টা বলেছিলেন, 'ছবিটা বিক্রি করতে হবে তো নাকি? তাঁদের মনোভাব ছিল, আমাকে সেসব করতে হবে মানে করতে হবেই!" একথা শোনার পর নিক্কি প্রশ্ন তুলেছেন তৎকালীন সময়ে অনিল কাপুরের মতো এত বড় একজন তারকা ছবিতে থাকা সত্বেও কেন ছবির বিক্রির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে?
কথাশেষে নিক্কি জানিয়েছেন, এরপর 'ইয়েস বস' ছবিতে শাহরুখ খানের সঙ্গে কাজ করার অনবদ্য অভিজ্ঞতা হয়েছিল তাঁর। এটি একটি প্রধান কারণ যে কারণে ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে চলে যাননি নিক্কি।
