আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাবা ও মায়ের মধ্যে অশান্তি এবং সেখান থেকে বিচ্ছেদ। অবসাদে ভুগতে থাকে একমাত্র মেয়ে। অবসাদ থেকে আর বেরোতে পারেনি। শেষপর্যন্ত গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় সে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া থানার দাঁইহাটে। শহরের বুকলতলায় নিজের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ। জানা গিয়েছে, মায়ের সঙ্গে এই বাড়িতে থাকতেন মেয়ে। মৃতা তৃষিতা চক্রবর্তীর বয়স আঠেরো এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ। দ্বাদশ শ্রেণীর একজন মেধাবী ছাত্রী হিসেবেই তাঁর পরিচিতি রয়েছে স্কুল ও এলাকায়।
জানা গিয়েছে, তৃষিতার বাবা তরুণ চক্রবর্তী কাটোয়ার মাকালতোড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। মা তনুকা গৃহবধূ। মায়ের সঙ্গে দাঁইহাটে থাকতেন তিনি। সেখানেই থাকতেন তরুণ। তরুণ বলেন, করোনার সময় থেকে তাঁর সঙ্গে স্ত্রীর মনোমালিন্য শুরু হয়। বিষয়টি চরম পর্যায়ে পৌঁছলে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে দুজনেই আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেন। চলতি বছরের ৪ জুন তাঁদের বিচ্ছেদ ঘটে। তারপর থেকে মায়ের সঙ্গে মেয়ে থাকতে শুরু করে মেয়ে।
তরুণ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, মায়ের সঙ্গে থাকলেও তাঁর সঙ্গে মেয়ের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। এ দিন সন্ধ্যেয় ফোনে ঘটনার কথা জানতে পেরে কাটোয়া হাসপাতালে গিয়ে মেয়ের দেহ দেখেন। তিনি তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে মেয়ের উপর মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ তুললেও পুলিশ জানিয়েছে, এই নিয়ে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।
