শনিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
দেবস্মিতা | ১৬ অক্টোবর ২০২৪ ২৩ : ৫৯Debosmita Mondal
আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। খালি দোলাচলে থাকেন। এটাও একটা গুরুতর মানসিক সমস্যা জানাচ্ছেন, বিশেষজ্ঞরা। এর নাম ডিসাইডোফোবিয়া।
ছোট বিষয় নিয়ে অনেকে সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন। সেটা হতে পারে একটা সিনেমা বাছাই করা, হতে পারে একটা রেস্তোরার বাছা কিংবা হতে পারে কোনও পোশাক বা বই নির্বাচনের মত খুব সাধারণ বিষয়ও। এই রোগের মূল বিষয়ই হচ্ছে যে কোনও বিষয়ে অযৌক্তিক ভয় পাওয়া।
কিন্তু বুঝবেন কী ভাবে আপনি ডিসাইডোফোবিয়ায় ভুগছেন? এই শব্দটি হার্ভার্ডের একজন অধ্যাপক এবং দার্শনিক ওয়াল্টার কফম্যান ১৯৭৩ সালের তাঁর বই, উইদাউট গিল্ট অ্যান্ড জাস্টিস: ফ্রম ডিসাইডোফোবিয়া -তে প্রথম উল্লেখ করেছিলেন।
এর লক্ষ্মণগুলির মধ্যে রয়েছে, প্যানিক অ্যাটাক হওয়া, হঠাৎ হার্টবিট বেড়ে যাওয়া, শ্বাস নিতে অসুবিধা হওয়া, বমি বমি ভাব, কাঁপুনি দেওয়া, বুক বা পেটে ব্যথার মতো উপসর্গগুলি। এটি হয় তার কারণ যদি কোনও ভুল হয়ে যায় এই ভয় থেকে। সব কিছুতেই একটা অনিশ্চয়তা ঘিরে ধরে।
নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস কমে গেলে এটা হতে পারে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এর ফলে প্রভাব পড়বে সম্পর্কে। রোগীর সিদ্ধান্তহীনতা প্রিয়জনকে সমস্যায় ফেলবে। ফলে সম্পর্কের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি বাড়বে। নিজের থেকে বেশি অন্যদের কথা শুনে চলার প্রবণতা রয়েছে এই ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে। পাশাপাশি খুব ছোট বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত ভাবেন এইসব রোগীরা।
কীভাবে উপশম পাবেন এইসব রোগীরা? চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বিভিন্ন ধরনের থেরাপির মাধ্যমে ডিসাইডোফোবিয়ার চিকিৎসা করা যেতে পারে। খুব কাছ থেকে রোগীর আচরণ বুঝে সেইমত সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। এছাড়া, আরেকটি কার্যকর পদ্ধতি হল এক্সপোজার থেরাপি। যেগুলোতে সে ভয় পায় এগুলোই তার সামনে বেশি বেশি করে তুলে ধরা। যাতে ভয় কাটানো যায়। তবে এই ধরনের রোগীদের খুব গুরুত্বের সঙ্গে হ্যান্ডেল করতে হবে পরিচিতজনেদের এমনটাই সাবধানবাণী বিশেষজ্ঞদের।