মঙ্গলবার ০১ জুলাই ২০২৫

সম্পূর্ণ খবর

কলকাতা | Kumartuli: পুজোর মরশুমে কুমোরটুলিতে আসেন হাজার পাঁচেক পরিযায়ী শিল্পী

Riya Patra | ১৭ নভেম্বর ২০২৩ ১৮ : ৩৮Riya Patra


রিয়া পাত্র

শীতঘুমের মতোই শীতের কটা মাস ভিড় একটু কম উত্তরের ঘিঞ্জি, ভ্যাপসা, স্যাঁতসেতে এবং আদ্যপান্ত রঙিন গলিটায়। কিন্তু ওই জৈষ্ঠ্য মাস থেকে কার্তিক মাস গোটা একটা পাড়ার সময় পেরিয়ে যায় উর্ধশ্বাসে। এই সময়টুকু ছাড়া বাকি কয়েকমাস কুমোরটুলির গলি, শাখা গলি যতটা ফাঁকা থাকে, বাকি সময়ের ছবি একেবারেই বিপরীত। ভিড়, কর্মব্যস্ততা নিয়ে কখন যে এক একটা দিন পেরিয়ে যায় ঠাওর করা যায় না। এই নির্দিষ্ট সময়ে কুমোরটুলি গেলে দেখা যাবে কোথাও প্রতিমায় রঙ করছেন বছর ৩০-এর হেমন্ত সরদার, কোথাও প্রতিমার সিঁথি কেটে ছড়িয়ে দিচ্ছেন এক পিঠ কালো চুল বছর ৫০-এর হারাধন পাল, কোথাও শিবের জটার জন্য লাল চুল পাকিয়ে আঠা দিচ্ছেন বিষ্ণুপদ, অন্যদিকে রাস্তার ওপর যে মূর্তি শুকোচ্ছে, তার পায়ের কাছের হাঁস, শেয়াল কিম্বা সিংহে রঙ করছেন শান্তিপুরের প্রসেনজিৎ। কুমোরটুলির গলিতে ভিজে কাদা-মাটি পায়ে নিয়ে কয়েকদিন ঘুরলেই টের পাওয়া যায়, পাল শিল্পীদের ঠাকুরের গোলায় বা কারখানায় প্রতিবছর শান্তিপুর, কৃষ্ণনগর, দুই চব্বিশ পরগণা, বর্ধমান সহ একাধিক জেলা থেকে কয়েক হাজার মানুষ নির্দিষ্ট একটা সময়ের জন্য আসেন। ঘুপচি ঘরে দিন কাটান, সময় করে ছোট্ট হাড়িতে ভাত চড়ান, আর বাকি সময় মন দিয়ে, তিলে তিলে গড়ে তোলেন এক একটি অসামান্য প্রতিমা। পাড়ার ক্লাব, বনেদি বাড়ি পুজোর বায়না দেয় কোনও না কোনও পাল শিল্পীর কারখানায়। এই হেমন্ত-হারাধনরাই তখন হয়ে ওঠেন শিল্পীর দশহাতের এক একটি হাত। কেউ কাঠামো বানান, কেউ মাটি মাখেন, কেউ গড়ে তোলেন প্রতিমার অবয়ব, কেউ করেন রঙ, কেউ আঁকেন চোখ, কেউ পরান গয়না। হাতে হাতে প্রধান শিল্পীর দিকে এগিয়ে দেন এক এক উপকরণ। কাজ শেষে তফাতে গিয়ে দাঁড়ান, তাকিয়ে দেখেন, এবছর কতখানি শিখলেন, গড়লেন কতখানি। নিজেদের ফোনে ছবি তুলে রাখেন কেউ কেউ। হিসেব বলছে, কুমোরটুলিতে অন্তত ২০০ বা তার বেশি প্রতিমা শিল্পীর কারখানা রয়েছে। তার প্রতিটিতে অন্তত ২০ থেকে ৫০ জন করে কাজ করতে আসেন ফি বছর। কম করে ৫ হাজার, কেউ বলে সংখ্যা ছাড়িয়ে যাবে ১০ হাজার অনায়াসে।  কথা বলা গেল তাঁদের কয়েকজনের সঙ্গে। গত ৫ বছর ধরে কৃষ্ণনগর থেকে আসছেন তন্ময় । তাঁর দাদা বিনয় এই বছর নিয়ে ১২ বছর ধরে আসছেন। কেন আসছেন? জীবিকা অর্জন? উত্তর অবশ্যই ‘হ্যাঁ।‘ তবে সেটাই একমাত্র নয়। ২৫ এবং ৩০ বছরের দুই ভাইয়ের কুমোরটুলিতে এসে নেশা ধরে গিয়েছে রং-তুলি-ভিজে মাটির। তাঁরা বাড়ি থেকে চলে আসেন মোটামুটি দুর্গাপুজোর মাসখানেক আগে। মাটি মাখা থেকে শুরু, ধীরে ধীরে কাঠামোয় মাটি পড়ে, শুকনো হয় প্রতিমা, কয়েক দফায় রঙ পড়ে তাতে। প্রসেনজিৎ গত ৮ বছর ধরে আসছেন কুমোরটুলিতে। আগে শুধু হাতে হাতে উপকরণ এগিয়ে দিতেন,এখন রঙ করেন। প্রসেনজিতের বাড়িতে এর আগে কেউ ঠাকুর গড়ার কাজ করেনি। তাহলে? জানা গেল, পাড়ার দাদা-ভাইয়েরা প্রতি বছর একটা বিশেষ সময়ে কুমোরটুলি আসত, তাদের সঙ্গেই একদিন জেদ করে বাড়ি থেকে চলে আসেন কুমোরটুলির এঁদো গলিতে। হাঁ করে প্রধান শিল্পীর কাজ বসে বসে দেখেছেন একটা সময়। চোখ বন্ধ করে ভেবেছেন একদিন তিনিও অনায়াসে গড়বেন প্রতিমার মুখ। এখন রঙ করার দায়িত্ব পেয়েই বর্তে গিয়েছেন। হাসিমুখে জানালেন, ‘কাজ শেখার কোনও বয়স নেই, নেই আমি শেষদিন পর্যন্ত শিখব।‘ দেখতে দেখতে ২৩ বছর হয়ে গেল। প্রতি বছর নির্দিষ্ট সময়ে কুমোরটুলিতে এসে দাঁড়ান হারাধন। করোনার পর শরীর ভেঙেছে, মনেও থাকে না ইদানিং অনেক কিছু। কিন্তু কুমোরটুলির পথ ভুল হয় না কিছুতেই। বললেন, ‘রোজগারের পরিমাণ খুব বেশি নয়, তবু আমি ঠাকুর গড়া ছাড়া অন্য কিছু ভাবিনি, এটাই করতে চাই।‘ প্রতি বছর এরকম হাজার হাজার মানুষ আসেন কুমোরটুলিতে, জীবিকার টানে, নেশার টানে, রং-মাটির গন্ধের টানে। বাড়িঘর ছেড়ে থাকেন। বায়না অনুযায়ী কাজ করেন মন দিয়ে, কথা পর্যন্ত বলেন না বাড়ির লোকজনের সঙ্গে সারাদিন। প্রতিমা মণ্ডপে গেলে অসামান্য সজ্জা আর আলোর রোশনাইয়ে চোখ ধাঁধিয়ে যায় মানুষের। সেই আলোয় আর জানা হয় না ওঁদের কথা। তাঁরা তখন নিশ্চিন্তে কুমোরটুলির পিছনের রেললাইন টপকে ঘাটে গিয়ে দাঁড়ান, কেউ কেউ পা ছড়িয়ে বসেন। কালীপুজোর পর তাঁরা ফিরে যান। কথা বলে যান, পরের বছর আবার আসার।




নানান খবর

কলকাতার এক ছোট্ট মেয়ের উপাখ্যান: অদম্য ইচ্ছের জোরে ক্যানসা জয়ের পর হিমালয় জয়!

শুরু পথচলা, আত্মপ্রকাশ করল পারফর্মিং আর্টস-এর পত্রিকা 'কথা সালংকারা'

কেনা জলে বিপদের আশঙ্কা কতটা, নিত্যপ্রয়োজনে ব্যবহৃত পানীয় জল সুরক্ষিত তো? দুরারোগ্য ব্যাধি হাতছানি দিচ্ছে কি

বেলগাছিয়ায় লাইনে ঝাঁপ যাত্রীর, কয়েক ঘণ্টার তফাতে ফের বন্ধ মেট্রো, ভোগান্তির চরমে নিত্যযাত্রীরা

জলে ডুবে গিয়েছে লাইন, অফিস টাইমে ফের মেট্রো বিভ্রাট, চরম ভোগান্তি নিত্যযাত্রীদের

ধর্ষণ কাণ্ডে সিপিএম-এর ‘নায়ক’ আসলে ‘খলনায়ক’? নারী কর্মীরাই বলছেন, “চুপ কর...”

স্বাস্থ্য পরিষেবা, চিকিৎসা গবেষণা এবং শিক্ষাক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ: শহর কলকাতায় আয়োজিত হল ‘হোপকন’

সল্টলেক জিডি ব্লকে আগমনীর আগমন : সপরিবারে মা আসছেন 'টানা রিক্সায়'!

কসবার ঘটনায় ‘অসংবেদনশীল’ মন্তব্য, মদন মিত্রকে শোকজ করল তৃণমূল কংগ্রেস

৫২ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে এই সেতু, ট্রেন বা বিমান ধরার তাড়া থাকলে এখনই জেনে নিন বিকল্প রাস্তা

কলকাতায় শুরু হল ‘রক্ষা পেনশন সমাধান আয়োজন’ – প্রাক্তন সেনাদের পাশে ভারতীয় সেনা ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রক

‘ঘটনার বিরোধিতা নয়, অনেকের লক্ষ্য তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করা’, কসবার ঘটনায় মুখ খুলল তৃণমূল

অবসরপ্রাপ্ত ভারতীয় সেনা কর্মীদের 'রক্ষা পেনশন সমাধান' অনুষ্ঠানে চাঁদের হাট

কলেজের মধ্যে ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ, খাস কলকাতায় শিউরে ওঠা ঘটনা!

আরও উন্নত হচ্ছে কলকাতা মেট্রোয় যাত্রী পরিষেবা, আসছে নয়া রেক, বাড়বে নিরাপত্তাও

মাদক কারবারিদের ওপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে, জানালেন কলকাতার নগরপাল

শেহনাজ গিলকে বাংলা শেখাচ্ছেন এই টলি নায়িকা? এসভিএফ-এর প্রযোজনায় ছবির শুটিং শুরু কলকাতায় 

হাসপাতালে ঢুকে প্রকাশ্য দিবালোকে এ কী করলেন প্রেমিক? হাড়হিম করা ভিডিও

সড়ক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ কীভাবে নির্ধারণ করা হয়? জেনে নিন বিস্তারিত

ছয় কোটিতে বিক্রি হয়ে গেল রবীন্দ্রনাথের চিঠি, কার জন্য লেখা ছিল সেগুলি?

চ্যাটজিপিটি বা মেটা এআই-কে এই দশটি প্রশ্ন ভুলেও করবেন না, হতে পারে সমূহ বিপদ

এজবাস্টন টেস্টের প্রথম একাদশ ঘোষণা করে দিল ইংল্যান্ড, খেলবেন আর্চার?‌ 

বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় শূণ্যে উড়লেন তরুণী, অফিস যাওয়ার পথেই সব শেষ

‘জেলির’ মতো বস্তুটিই শুষে নেবে পরিবেশের সব কার্বন ডাই অক্সাইড! অবাক করা আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের

দায় স্বীকার কার্ডোজোর, মোহনবাগানের বিরুদ্ধে গোলের আশা করেননি নেইমারের ভক্ত

রিলায়েন্সের শীর্ষ পদে বসলেন অনন্ত, বছরে কত টাকা বেতন পাবেন মুকেশের ছোট ছেলে

একবচন বহুবচন, আজকালের নতুন পডকাস্ট সিরিজের অতিথি চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এজবাস্টন টেস্টে খেলবেন বুমরা?‌ এল বড় আপডেট

প্রেমে ব্যাথা পেলে বাথরুমে ঢুকে এ কী করেন আদিত্য রায় কাপুর? ফাঁস অভিনেতার গোপন কীর্তি 

আশঙ্কাই সত্যি হল! ১ জুলাই থেকে বৃদ্ধি পাচ্ছে ট্রেনের ভাড়া, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানাল রেল মন্ত্রক

ট্রেনে এই ফল নিয়ে ভুলেও চড়বেন না, ধরা পড়লেই তিন বছর শ্রীঘরে ঠাঁই হবে! কোন ফল জানেন?

মুখে দিতেই বিপদ, গলা দিয়ে বেরিয়ে এল এ কী! তড়িঘড়ি হাসপাতালে যেতেই তাজ্জব চিকিৎসকরা

ছাদে হাঁটতে গিয়েছিলেন মা ও শিশু, আচমকা গাছের ডাল ভেঙে বিপত্তি 

সুপ্রিম কোর্টে বড় সড় ধাক্কা খেলেন ললিত মোদি, জরিমানার ১০ কোটি দিতে হবে তাঁকেই

সন্ধান চাই, খুঁজে দিলেই মিলবে ৫০০০ টাকা পুরষ্কার, দেওয়ালে দেওয়ালে পোস্টার

থুতু চাটানোর পর জোর করে মূত্র খাইয়ে দিল! যোগীরাজ্যে কিশোরের উপর নারকীয় অত্যাচার

সোশ্যাল মিডিয়া