জঙ্গলের আইন বড় কঠিন। এখানে টিকে থাকতে গেলে শুধু গায়ের জোর নয়, চাই মারণ কামড়। বিজ্ঞানে এই কামড়ের শক্তি মাপা হয় ‘পিএসআই’ এককে। অর্থাৎ প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে কত পাউন্ড চাপ পড়ছে। এই শক্তির বিচারে কে রয়েছে তালিকার শীর্ষে?
2
7
১। নোনা জলের কুমির :কামড়ের জোর: প্রায় ৩,৭০০ - ৫,০০০ পিএসআই। এই তালিকার অবিসংবাদী রাজা হল নোনা জলের কুমির। বিশ্বের বৃহত্তম এই সরীসৃপের কামড়ের ধরে কাছে কেউ নেই। এদের জাঁতাকলের মতো চোয়াল একবার শিকারকে আঁকড়ে ধরলে, তার হাড়গোড় গুঁড়িয়ে যেতে সময় লাগে না।
3
7
২। নীল নদের কুমির: কামড়ের জোর: প্রায় ৩,০০০ - ৫,০০০ পিএসআই। আফ্রিকার ত্রাস নীল নদের কুমির। লবণাক্ত জলের কুমিরের মতোই এদের কামড়ের শক্তিও ভয়ঙ্কর। শিকারকে কামড়ে নিমেষে জলের তলায় টেনে নিয়ে যাওয়াই এদের শিকারের কৌশল।
4
7
৩। গ্রেট হোয়াইট শার্ক: কামড়ের জোর: প্রায় ৪,০০০ পিএসআই (আনুমানিক)। সমুদ্রের ‘ত্রাস’ এই সাদা হাঙরের কামড়ের শক্তি সরাসরি মাপা প্রায় অসম্ভব। তবে বিজ্ঞানীরা কম্পিউটার মডেলের সাহায্যে অনুমান করেছেন, এদের কামড়ের জোরও ৪,০০০ পিএসআই-এর আশেপাশে। কচ্ছপের শক্ত খোলস এদের ধারালো দাঁতের চাপে চিপসের মতো কুরমুড় করে ভেঙে যায়।
5
7
৪। আমেরিকান অ্যালিগেটর: কামড়ের জোর: প্রায় ২,১২৫ - ২,৯৮০ পিএসআই। কুমির পরিবারের আর এক সদস্য। এদের কামড়ের শক্তিও মারাত্মক, এরাও অনায়াসে কচ্ছপের খোলস ভেঙে ফেলে।
6
7
৫। জলহস্তী: কামড়ের জোর: প্রায় ১,৮০০ পিএসআই। অবাক হচ্ছেন? দেখতে নিরীহ, অলস তৃণভোজী মনে হলেও, জলহস্তী আফ্রিকার সবচেয়ে বিপজ্জনক প্রাণীদের মধ্যে অন্যতম। আত্মরক্ষা বা এলাকা দখলের লড়াইয়ে এদের বিশাল মুখগহ্বরই প্রধান মারণাস্ত্র হয়ে ওঠে।
7
7
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই তালিকাটি মোট শক্তির বিচারে তৈরি। কিন্তু যদি শরীরের ওজনের তুলনায় কামড়ের শক্তির কথা ধরা হয়, তবে আসল ‘হিরো’ হল জাগুয়ার বা চিতাবাঘ। জাগুয়ারের কামড়ের শক্তি প্রায় ১,৫০০ পিএসআই। এক কামড়ে শিকারের মাথার খুলি পর্যন্ত ফাটিয়ে ফেলতে পারে এরা!