Sampurna Chakraborty | ০৭ নভেম্বর ২০২৩ ১২ : ৪০

আজকাল ওয়েবডেস্ক: রেকর্ডবুকে ইব্রাহিম জাদরান। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান আফগানিস্তানের। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৫০ ওভারের শেষে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ২৯১ রান আফগানদের। দেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপে শতরান জাদরানের। ইনিংস শেষে ১৪৩ বলে ১২৯ রানে অপরাজিত। তাতে রয়েছে ৩টি ছয়, ৮টি চার। ১৩১ বলে একশোয় পৌঁছে যান আফগান ওপেনার। ইনিংসে ছিল ৭টি চার। ওপেনিংয়ে নেমে শিট অ্যাঙ্কারের ভূমিকা পালন করেন জাদরান। পরিণত ইনিংস খেলেন। উইকেট পড়তে থাকলেও একটা দিক আঁকড়ে রাখেন জাদরান। গোটা ইনিংসে বড় শট খেলার চেষ্টা করেননি। শতরানের পর হাত খোলেন। এর আগে আফগানিস্তানের কোনও ক্রিকেটারের বিশ্বকাপে সেঞ্চুরির নজির ছিল না। ওয়াংখেড়ের উইকেট ব্যাটিং সহায়ক। তাই টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান। শুরুটা ভালই করে আফগানিরা। ৩৮ রানে প্রথম উইকেট হারায়। দ্বিতীয় উইকেটে ৮৩ রান যোগ করেন জাদরান এবং রহমত শাহ। হাসমাতুল্লাহ শাহিদি শুরুটা ভাল করলেও বেশিক্ষণ উইকেটে টিকে থাকতে পারেননি। ২৬ রান করে আউট হন আফগানি অধিনায়ক।

একাই দলকে টেনে নিয়ে যান জাদরান। অনবদ্য ইনিংস। কেরিয়ারের সেরা। শেষদিকে তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দেন রশিদ খান। ষষ্ঠ উইকেটে দ্রুত ৫৮ রান যোগ করে এই জুটি। ৩টি ছয়, ২টি চারের সাহায্যে ১৮ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত রশিদ। শতরান পেয়ে উৎফুল্ল আফগানি ওপেনার। জাদরান বলেন, "দারুণ লাগছে আফগানিস্তানের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শতরান করে। আরও সেঞ্চুরি করতে চাই। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটুর জন্য একশো মিস করেছিলাম। কিন্তু আমার মনে হচ্ছিল, পরের তিন ম্যাচের মধ্যে আমার শতরান পাওয়া উচিত। আমি কোচিং স্টাফদের সেটাই বলেছিলাম। আমি গতকাল শচীনের সঙ্গে কথা বলেছি। এটাই আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। শচীন আমার সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছে। ক্রিকেটজীবন শুরুর অনেক গল্প বলেছে। তাতে আমার মনোবল দ্বিগুণ বেড়েছে। তাই আমি শচীনকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।" জয়ের জন্য ২৯২ রান প্রয়োজন অস্ট্রেলিয়ার। রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, মহম্মদ নবিদের বোলিংয়ের বিরুদ্ধে যা মোটেই সহজ হবে না।