মঙ্গলবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পূর্ণ খবর

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ | EXCLUSIVE: ভোটের মধ্যে ধর্মকে টেনে এনেছেন মমতা, তাঁর অনুসারী আরএসএস: দীপ্সিতা

Pallabi Ghosh | ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ০১ : ৫৫Pallabi Ghosh
বিভাস ভট্টাচার্য: রাজনৈতিক পরিবার ও পরিবেশ থেকে উঠে এসেছেন শ্রীরামপুর লোকসভা নির্বাচনে বাম প্রার্থী সিপিএমের দীপ্সিতা ধর। ছাত্র আন্দোলন থেকে উঠে আসা জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রাক্তনী ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বালি কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান।


* একটা সময় ছিল যখন সিপিএমের মিছিল মানেই সামনের সারিতে শুধু পাকা মাথার লোকেদের ভিড়। আপনার মিছিলে সামনের সারিতে একেবারেই অল্প বয়সী তরুণ-তরুণীরা। দলে কি তারুণ্যের জোয়ার এসেছে?
দীপ্সিতা: সে তো বটেই। আমার মনে হয় এইমুহূর্তে আমার বয়সী ছেলেমেয়েরা আমাদের দলের রাজনীতি করছেন। সেটা করার কারণ হচ্ছে এখন একটা "ক্রাইসিস" চলছে। পড়াশোনা করেও কেউ চাকরি পাচ্ছে না বা বৃত্তি পাচ্ছে না। একজন গ্র্যাজুয়েট ছেলে কাজ করছেন একটা পেট্রল পাম্পে। যার পাওয়ার কথা ২০ হাজার টাকা সে হয়ত পাচ্ছে সাত হাজার টাকা। ফলে আমার প্রজন্মের যে ছেলেমেয়েরা আজ ক্রাইসিসে ভুগছেন তাঁরা দেখছেন সমাধানের কথা শুধু বামপন্থীরা বলছেন। তাঁরা একথা বলছেন না আমি তোমাকে ভাতা দেব বা গাড়িতে পেট্রল ভরার টাকা দেব। একটা দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের কথা শুধু আমরাই বলছি। সেই জন্যই তাঁরা আমাদের দিকে আসছেন।

* আজকে যারা সিপিএমের হয়ে সভা সমিতিতে মূল বক্তা হিসেবে মাইক ধরছেন তাঁরা প্রায় সকলেই তরুণ-তরুণী। বর্তমান পরিস্থিতিতে দল বাধ্য হয়েছে?
দীপ্সিতা: আমার মনে হয় এই বাধ্য করার বিষয়টি ঠিক নয়। যাঁদের কথা ভেবে এই কথাটা বলছেন সেটা মীনাক্ষী মুখার্জি, শতরূপ ঘোষ বা যদি আমার কথাও হয়, এটাও মাথায় রাখতে হবে যে আমরা কিন্তু যুব নেতা হিসেবে কেউ প্যারাসুটে করে নেমে আসিনি। আমরা সবাই আন্দোলন করেই উঠে এসেছি। সেই আন্দোলনের ধারাবাহিকতা থেকে আজকে এটাই স্বাভাবিক।

* কিন্তু এই স্বাভাবিক বা "ন্যাচারাল প্রসেসটা তো ১০ বছর বা তার আগে দেখা যায়নি। ব্যাপারটা কি এরকম যে মানুষ সিপিএম নেতাদের সেই পুরনো মুখ আর দেখতে চাইছেন না বা তাঁদের কথা শুনতে চাইছেন না?
দীপ্সিতা: না। আমি এই কথায় সহমত পোষণ করি না। তার কারণ, এখনও পর্যন্ত আমার দলের সবচেয়ে ভরসাযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য মুখটা হল বিমান বসু।

* সেটা তো দলের ভেতরে।
দীপ্সিতা: না। এই যে কে কোথায় প্রার্থী বা জোট সম্পর্কে আমাদের কী সিদ্ধান্ত, সেটা দল যাঁকে দিয়ে বলাচ্ছে, তাঁর নাম বিমান বসু। তিনি সর্বজন শ্রদ্ধেয়। যেহেতু লড়াই, আন্দোলনে আমরা সামনের সারিতে ছিলাম তাই স্বাভাবিকভাবেই দলের কথা বলার জন্যও আমরা সামনের সারিতে আছি। আমার এটা একেবারেই মনে হয় না আমার দল থেকে পরিকল্পনা করে কিছু লোককে পেছনে ঠেলার জন্য কিছু কালো চুলের লোককে এগিয়ে দিয়েছে।

* সম্প্রতি একটা ভিডিওতে দেখছিলাম, বিমান বসু বলছেন তাঁর ক্যাপ্টেনও মীনাক্ষী। এর অর্থ কি ব্যাটনের হাত বদল?
দীপ্সিতা: একটা প্রজন্ম থেকে আরেকটা প্রজন্মের কাছে যাওয়া। এই বিমান বসুদের মতো মানুষের জীবন আমাদের কাছে শিক্ষণীয়। এই প্রজন্মের যে লড়াই সেই লড়াইয়ের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মীনাক্ষী মুখার্জি। কত বড় মনের মানুষ বিমান বসু! তাঁর হাঁটুর বয়সী একজনকে বলছেন তাঁর ক্যাপ্টেন!এই লোকগুলো আমাদের অভিভাবক ছিলেন, আছেন ও থাকবেন। তাঁরা তাঁদের যৌবনটা দলের জন্য দিয়েছিলেন। এবার আমাদের দায়িত্ব।

* এটা কতটা চ্যালেঞ্জিং?
দীপ্সিতা: খুবই।

* সিপিএম বলছে এখন একটা বাইনারি পলিটিক্স চলছে।‌ হয় বিজেপি নয় তৃণমূল। এই ধারণাটা ভাঙার জন্য সিপিএম বা আপনারা কী ভাবছেন?
দীপ্সিতা: এই বাইনারি ধারণা খুব সুচতুরভাবে তৈরি করা হয়েছে। ২০১১ সালের পর থেকে ধর্ম নিয়ে রাজনীতির পরিসর পশ্চিমবঙ্গে তৈরি করা হল। এই ধর্মীয় পরিচয়ের ওপর ভিত্তি করে রাজনৈতিক পরিচয় নির্ধারিত করাটা পশ্চিমবঙ্গে শুরু করলেন মমতা ব্যানার্জি। রাজবংশী ভোট, মতুয়া ভোট বা মুসলিমদের কাছে গিয়ে তাঁদেরকে বলা তুমি মুসলমান তাই আমাকে ভোট দাও। এটা আরএসএস-এরও রাজনীতি। সবসময় লোককে উদ্বেগের মধ্যে রেখে দেওয়া। ঈদের দিন মুসলিমদের একটা ধর্মীয় মঞ্চকে মমতা রাজনৈতিক মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করলেন। কাল যদি শুভেন্দু অধিকারী দুর্গাপূজার ভাসানে গিয়ে একথা বলেন যে সমস্ত হিন্দুদের আমাদের ভোট দিতে হবে, তখন সেটার বিরুদ্ধে তিনি কী বলবেন? কারণ, তিনিই তো ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার পরিসর তৈরি করে দিয়েছেন। এবার প্রশ্ন হচ্ছে যে এটা কীভাবে ভাঙা হবে। আমরা চাইছি শ্রেণী সাম্যের কথা আরও বেশি করে বলতে। আমরা বলছি আপনি হিন্দু, মুসলমান যেই হোন না কেন বাজারে গিয়ে তো আপনাকেই বেশি টাকা খরচ করতে হচ্ছে বা আপনার বাড়ির ছেলেটা বা মেয়েটাই তো চাকরি পাচ্ছে না। যার জন্য সে হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা করছে। আপনার দু:খ, আপনার ইচ্ছায় বা আপনার ভালো থাকায় তো কোনও ধর্ম নেই। তাহলে কেন আপনি এর মধ্যে ধর্মকে আনতে দিচ্ছেন? সমস্ত আন্দোলনেই আমরা মানুষের রুটি, রুজির প্রশ্নটাকে মূল বিষয় হিসেবে তুলে আনছি। হয়তো এটা ভাঙতে আরও সময় লাগবে।‌

* সোমবার ১৫ এপ্রিল সিপিএমের পক্ষ থেকে একটা সাংবাদিক সম্মেলন করা হল। যেখানে যারা ছিলেন তাঁরা সবাই মহিলা এবং মহিলাদের কথাই সেখানে বলা হল। যদি রাস্তায় কোনও লোককে জিজ্ঞেস করা হয় একজন সিপিএম নেতার নাম বলতে তিনি পুরুষ কোনও নেতার নাম বলবেন। জ্যোতি বসু বা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য । কেন একজন নেত্রীর নাম পাশাপাশি উচ্চারিত হয় না? দলে কি মহিলারা এতদিন সেভাবে গুরুত্ব পাননি?
দীপ্সিতা: আমি এটার সঙ্গে একমত না। প্রথমদিকে কম্যুনিস্ট আন্দোলন দেখতে গেলে ইলা মিত্র, কল্পনা দত্ত বা গীতা মুখার্জি-সহ একঝাঁক মহিলার নাম উঠে আসবে। কম্যুনিস্ট পার্টির মুখ বলতে আমরা এঁদেরকেও বুঝতাম। এই মানুষগুলো যে সময় রাজনীতি করেছেন সেই সময় এঁরা অতটাই বড় লিডার যতটা আজকের যাঁরা লিডার। তবে হ্যাঁ, মাঝের সময়টায় নেতৃত্বের জায়গায় মহিলাদের যতটা উঠে আসা দরকার ছিল তা হয়নি। এতগুলো বছর ক্ষমতায় থাকার পর সেই সংখ্যা তো আরও বাড়া উচিত ছিল।‌ এটা যে ইচ্ছা করে করা হয়েছে সেটাও আমি বলব না।‌ আসলে আমাদের মধ্যে একটা "প্রোটোটাইপ" আছে। নেতা কেমন হওয়া উচিত? সেই নেতার প্রোটোটাইপটা পুরুষের সঙ্গে বেশি মেলে। তিনি সাদা ধুতি পরবেন, একটা গিলে করা পাঞ্জাবি পরবেন‌। নেতার একটা ইমেজ আছে। সেই প্রোটোটাইপটা ভাঙা যায়নি।

* আগেরদিন সাংবাদিক সম্মেলনে আপনারা মহিলাদের আত্মরক্ষা-সহ নানা বিষয়ের কথা বললেন।
দীপ্সিতা: আমরা বাধ্য হয়েছি। এই সন্দেশখালির ঘটনা বা উন্নাও বা হাথরসের ঘটনাগুলো আমাদের মহিলা হিসেবে বাধ্য করেছে। আমরা একটা "ইনস্টিটিউশনাল মেকানিজম"-এর কথা বলেছি। এমন নয় যে এগুলো আমরা প্রথম বলছি‌। যা যা ওখানে লেখা আছে সেই জিনিসগুলো নিয়ে কিন্তু লড়াই বা আন্দোলনে আমরা বরাবর ছিলাম।

* ২০১৪তে সিপিএম শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রে দ্বিতীয় স্থানে ছিল। ২০১৯য়ে তৃতীয় স্থানে চলে গেল। বিজেপি উঠে এল দ্বিতীয় স্থানে। এই বছর সিপিএম বা দীপ্সিতার কাছে এমন কী অস্ত্র আছে যেটার সাহায্যে দীপ্সিতা তৃণমূলের প্রার্থী কল্যাণ ব্যানার্জিকে টপকে যাবেন? কেন লোকে দীপ্সিতাকে ভোট দেবেন?
দীপ্সিতা: দীপ্সিতার কাছে কোনও অস্ত্র নেই। ২০২১ সালের পর যে নির্বাচনটা হয়েছে সেটা পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেই পঞ্চায়েত বা পুরসভা নির্বাচনের যদি হিসাবটা দেখা যায়, বেশিরেভাগ জায়গায় আমরা ১ বা ২ নম্বরে। বিজেপি তিন নম্বরে চলে এসেছে। যে সাথীরা তাঁদের জীবন দিয়ে বুথ বাঁচালেন বা ছাপ্পা রুখলেন বা যেসব মানুষ আমাদের ভোট দিলেন বা ২০২১ সালে শূন্য হয়ে যাওয়ার পরেও আমাদের ওপর ভরসা করলেন, তাঁরাই আমাদের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। দ্বিতীয়ত, যে ভোটাররা তৃণমূলকে হারাতে বিজেপিকে পছন্দ করেছিলেন, তাঁরা দেখেছেন তৃণমূলের যত লোক জেলে গেছেন তার চেয়ে বেশি লোক বিজেপিতে গেছেন। এই লোকগুলোর একটা বড় অংশ আমাদের দিকে ফিরতে শুরু করেছেন। ২১এও ফিরেছেন, পঞ্চায়েতেও ফিরেছেন এবং আমার বিশ্বাস এই নির্বাচনে পুরোটাই ফিরে আসবে।

* সিপিএম আসন সংখ্যাতে শূন্য। এই মহাশূন্য থেকে বেরিয়ে আসতে আপনারা কী কৌশল ভাবছেন?
দীপ্সিতা: প্রাথমিকভাবে আমাদের কাজ চুরি, ডাকাতি বা ইলেক্টোরাল বন্ডে যেন আমরা শূন্য থেকে একে না পৌঁছই, সেই কাজটা করা। তৃণমূলের ভোটার, বিজেপির ভোটার, আইএসএফ-এর ভোটার, সকলের কাছে গিয়ে বলছি, আপনারা ভোট দেওয়ার আগে ভাববেন আপনার ভবিষ্যৎ কাদের কাছে সুরক্ষিত। যারা চুরি করল, ডাকাতি করল, ইলেক্টোরাল বন্ড নিয়ে বিদ্যুতের দাম, ওষুধের দাম বাড়ালো তাদের কাছে নাকি যারা শূন্য হয়ে যাওয়ার পর ইলেক্টোরাল বন্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে এত কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি মানুষের সামনে আনল তাদের কাছে? কে আসল জনদরদী? কে আপনার মাথায় ছাতা ধরে দাঁড়াবে? আমার বিশ্বাস, মানুষ আমাদের কথা বুঝবেন, বিশ্বাস করবেন।

নানান খবর

কাজ পাওয়ার জন্য তাঁকে ফোন করেন শাহরুখ? একমাত্র কোন কারণে আলিয়াকে শ্রদ্ধা করেন তিনি? অকপট অনুরাগ কাশ্যপ!

অফিস টাইমে সন্তোষপুর স্টেশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, বজবজ শাখায় ব্যাহত ট্রেন চলাচল

বঙ্গোপসাগরে চোখ রাঙাচ্ছে নিম্নচাপ, বিশ্বকর্মা পুজোয় ভাসবে বাংলা? আবহাওয়ার লেটেস্ট আপডেট কী বলছে?

বড় স্বস্তি, শেষ মুহূর্তে বাড়ল আয়কর রিটার্ন জমার সময়সীমা, হাতে আর কতদিন? জানুন এখনই

খেলার মাঠ থেকে এবার ফ্যাশনের ব়্যাম্পে!বাঙালিয়ানাকে দেশে-বিদেশে পৌঁছে দিতে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নতুন ইনিংস 

১ টাকায় ১০৫০ একর জমি আদানি গোষ্ঠীকে? বিহারে বিজেপির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ কংগ্রেসের

আচমকা হার্ট অ্যাটাকের আগে জানান দেয় জিভ! কোন কোন লক্ষণ দেখলে বুঝবেন হৃদরোগের ঝুঁকি?

পুজোর আগে গায়েব দাগছোপ, হিরের মতো চমকাবে ত্বক! এই ঘরোয়া ক্রিমের ম্যাজিকেই তাক লাগাবে জেল্লা

ভারতীয় স্বামী চাই! প্রকাশ্যে প্ল্যাকার্ড হাতে তরুণীর চাঞ্চল্যকর দাবি, নেটিজেনরা বলছেন, "এই স্বপ্নের জন্য শাহরুখ খান দায়ী"

মাত্র ২৫ শতাংশ লিভার নিয়ে বেঁচে আছেন অমিতাভ, সঙ্গে যক্ষ্মার লড়াই! সুস্থ থাকতে কোন নিয়ম মেনে ৮২-তে ক্লান্তিহীন বিগ বি?

বাগান সমর্থকদের নিয়ে ভাবছেন না, পাল্টা হুঙ্কার তুর্কমেনিস্তানের ক্লাবের কোচের আজকাল ওয়েবডেস্ক: মোহনবাগানের বিরুদ্ধে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে নামার আগে হুঙ্কার আহাল এফকের কোচ এজিজ আন্নামুহামেদভের। সচরাচর কোনও অ্যাওয়ে দলের কোচ যা করেন না, তাই করে বসলেন তুর্কমেনিস্তানের ক্লাবের কোচ। কলকাতায় এসে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন মোলিনার দলকে। দলে তাবড় তাবড় বিদেশি ফুটবলার। তারমধ্যে রয়েছে তিনজন বিশ্বকাপার। তারওপর ৫০ হাজার মোহনবাগান সমর্থকদের সামনে খেলতে হবে তাঁদের। কিন্তু বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দিলেন না আহালের কোচ। বরং, পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। আন্নামুহামেদভ বলেন, 'আমরা মোহনবাগান দল সম্বন্ধে জানি। ভাল ফুটবলার আছে। আমরা ট্যাক্টিকাল ফুটবল খেলব। ওদের আমাদের ডিফেন্ডার এবং ফরোয়ার্ডদের নিয়ে ভাবতে দিন। আমরা প্রথমবার এই প্রতিযোগিতায় খেলছি না। আমরা জানি সমর্থকে ঠাসা থাকবে স্টেডিয়াম। আমাদের জন্য এটা প্রথম নয়। আমরা প্রস্তুত। এর আগেও আমরা ভাল দলের সঙ্গে খেলেছি। তাই সমর্থক নিয়ে আমরা ভাবছি না। আমরা এখানে খেলতে এসেছি। নিজেদের সেরাটা দেব।' দলে কোনও বিদেশি নেই। এগারোজন স্বদেশী ফুটবলার। অলিম্পিকে খেলা অনূর্ধ্ব-২৩ জাতীয় দল থেকে ৭-৮ জন প্লেয়ার রয়েছে দলে। তুর্কমেনিস্তানের জাতীয় দলের ৫-৬ জন ফুটবলার রয়েছে। সুতরাং, বিদেশিহীন হলেও, হেলাফেলা করার মতো দল নয়। আহালের কোচ জানিয়ে দিলেন, তিন পয়েন্ট নিয়ে দেশে ফেরার লক্ষ্যেই তাঁরা এসেছেন। বিদেশিহীন দল নিয়ে বাগানের তারকাখচিত দলের বিরুদ্ধে নামতে কোনও ভয়ডর নেই। আন্নামুহামেদভ বলেন, 'আমরা নিজেদের দেশের ফুটবলের উন্নতি চাই। তাই বিদেশি ফুটবলার আনার কোনও প্রয়োজন নেই। আমাদের দেশে অনেক প্রতিভাবান প্লেয়ার আছে। আমরা ওদের তৈরি করতে চাই।' দু'মাস আগে এএফসির প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে আহাল এফকে। প্রস্তুতিস্বরূপ ট্রেনিং ক্যাম্প হয়েছে। স্থানীয় দলের বিরুদ্ধে তিনটে ম্যাচ খেলেছে। মোহনবাগানের খেলা নিয়ে ভিডিও অ্যানালিসিস হয়েছে। সবরকম হোমওয়ার্ক সেরে এসেছে তুর্কমেনিস্তানের ক্লাব। দুই দেশের পরিবেশের মধ্যে বিশেষ পার্থক্য নেই। তবে কলকাতায় আর্দ্রতা বেশি। কিন্তু আহালের কোচের দাবি, এটা কোনও পার্থক্য গড়ে দেবে না। ১২ সেপ্টেম্বর কলকাতায় চলে এসেছে তুর্কমেনিস্তানের দল। মাঠ নিয়েও খুশি। এলমান তাগায়েভ বলেন, 'আমরা প্রস্তুত। সতীর্থরা তৈরি। আমরা জানি মোহনবাগান ভারতের চ্যাম্পিয়ন ক্লাব। শক্তিশালী দল। আমরা ওদের সম্বন্ধে হোমওয়ার্ক করেছি। আমরা নিজেদের সেরাটা দেওয়ার জন্য তৈরি।' মোহনবাগানকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত তুর্কমেনিস্তানের ক্লাব।

সারা দেহে ৪০ হাজার মৌমাছি বসে আছে, অথচ হুল ফোটাচ্ছে না! মধুকরদের 'বশ' করে বিশ্বকে চমকে দিলেন রাজেন্দ্র

নেহালের অভিযোগে ‘বিগ বস ১৯’-এ বিস্ফোরক আমাল! অনু মালিকের ‘মি টু’ বিতর্ক টেনে পরিবারের কোন গোপন কীর্তি ফাঁস করলেন?

এসি কামরায় দেদার ধূমপান! প্রতিবাদ করতেই মহিলা যা করলেন, ছিঃ ছিঃ পড়ল নেটপাড়ায়

আত্মবিশ্বাসী মোলিনা, এশিয়ায় নিজেদের প্রমাণ করার পালা 'ভারতসেরা' মোহনবাগানের

সুন্দরবন ঘুরতে যাবেন?‌ এবার থেকে মানতে হবে এই নির্দেশিকাগুলি

হার্টের বন্ধু! বশে রাখে প্রেশার-সুগার, এই চেনা সবজির রস খেলেই ওজন নিয়ে কমবে দুশ্চিন্তা

মণ্ডপে অন্য বর! ছবি মিলিয়ে পর্দাফাঁস, শেষ মুহূর্তে বিয়ে ভাঙল কনেপক্ষ

‘রক্তারক্তি’ কাণ্ড! আইনি লড়াইয়ের ঘোষণা জিতুর! কার বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ের ঘোষণা অভিনেতার??

'চলো বিয়ে করে নিই', প্রেমিককে রাজি করাতে ৬০০ কিলোমিটার পাড়ি, প্রেমিকাকে মেরে গাড়িতে ভরে দিলেন শিক্ষক

ভারতের শক্ত গাঁট তারা, এশিয়া কাপে বড় ধাক্কা খেল এই দল, কী হল?

হাতে কামড়ে দিয়েছিল চোর, 'ছোটখাটো' চোট বলেছিলেন চিকিৎসকরা, একবছর পর মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন বৃদ্ধ!

‘সূর্যকুমার সবকিছুর উত্তর দিয়ে দিয়েছে’, করমর্দন কাণ্ডে সাফ সাফ জানিয়ে দিলেন সৌরভ, কী বললেন প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক?

দেশের কোন জনপ্রিয় সুপারমডেল ইচ্ছামতো ‘ব্যবহৃত’ করেছিলেন বরুণ ধাওয়ানকে? গোপন অধ্যায় প্রকাশ্যে এই প্রথমবার খুললেন বলি-তারকা!

সোশ্যাল মিডিয়া