আজকাল ওয়েবডেস্ক: উইম্বলডনে মহিলা সিঙ্গলসের সেমিফাইনালে হেরে গিয়েছেন এরিনা সাবালেঙ্কা। প্রসঙ্গত, দু’বার অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতেছেন তিনি। এক বার ইউএস ওপেন জিতেছেন। ফরাসি ওপেনের ফাইনাল খেলেছেন গত জুনে। কিন্তু উইম্বলডনে সেমিফাইনালে হেরে গেলেন এরিনা সাবালেঙ্কা। ২০২১ এবং ২০২৩ সালের মতো এবারও হেরে গেলেন সেমিফাইনালে।
 
 প্রতিযোগিতার ১৩ নম্বর বাছাই অ্যামান্ডা আনিসিমোভার কাছে অপ্রত্যাশিত হারার পর হতাশায় শীর্ষ বাছাই সাবালেঙ্কা বলেছেন, উইম্বলডনের সঙ্গে তাঁর ঘৃণার সম্পর্ক। উইম্বলডন সেমিফাইনালে হারের পর নিজেকে সামলানোর চেষ্টা করেন সাবালেঙ্কা। তবে হতাশা গোপন করতে পারেননি। তাঁর কথায় ফুটে উঠেছে, বার বার তীরে এসে তরী ডোবার আক্ষেপ। ২৭ বছরের খেলোয়াড় বলেছেন, ‘‘এই নিয়ে তিন বার সেমিফাইনালে হারলাম। এটা ভাবাও কঠিন। ২০২২ সালে আমাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তার পর চোট পেলাম। উইম্বলডনের সঙ্গে আমার সত্যিই ঘৃণার সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। আশা করি, এক দিন এই সম্পর্কটা বদলাতে পারব। ভালবাসার সম্পর্ক তৈরি করতে পারব।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘প্রতি বছর এই প্রতিযোগিতায় খেলছি। প্রায় শেষ পর্যন্ত পৌঁছোচ্ছি। মনে হচ্ছে, স্বপ্নের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছি। তখনই ছন্দপতন হচ্ছে। হেরে যাচ্ছি। তখন মনে হয়, এটাই শেষ। মনে হয়, মরে যাই। আর থাকতে চাই না। এখানেই বোধহয় জীবনের শেষ।’ 
 
 প্রথমে আনিসিমোভার প্রশংসা করে সাবালেঙ্কা বলেছেন, ‘খুব আগ্রাসী টেনিস খেলল। যোগ্য হিসাবেই সেমিফাইনাল ম্যাচটা জিতেছে।’ এর পরেই বিরক্তি প্রকাশ করেছেন প্রতিপক্ষের আচরণ নিয়ে। দ্বিতীয় সেটে একটি শট সাবালেঙ্কা মিস করার আগেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন আনিসিমোভা। তা নিয়ে শীর্ষ বাছাই বলেছেন, ‘ও আগেই উদযাপন শুরু করে দিল। আমার মনে হয়, একটু তাড়াতাড়িই প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে ফেলেছে। তার পর আমার বিরক্তি আরও বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য বলল, এ রকম নাকি প্রায়ই করে। সেই মুহূর্তে বিরক্ত লাগলেও আনিসিমোভাকে ধন্যবাদ। ওর ওই আচরণই আমাকে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। পিছিয়ে পড়েও ফিরে আসতে পেরেছি। যদিও সে সময় বেশ রেগে গিয়েছিলাম।’ 
 
 এটা ঘটনা উইম্বলডনে মহিলা সিঙ্গলসের ফাইনালে উঠেছেন ইগা স্বিয়নতেক। বৃহস্পতিবার সেমিফাইনালে অষ্টম বাছাই স্বিয়নতেক সরাসরি সেটে হারালেন সুইজারল্যান্ডের অবাছাই খেলোয়াড় বেলিন্ডা বেনসিসকে। ম্যাচের ফল স্বিয়নতেকের পক্ষে ৬–২, ৬–০। শনিবার ফাইনালে স্বিয়নতেকের প্রতিপক্ষ অ্যামান্ডা আনিসিমোভা। যিনি প্রথম সেমিফাইনালে হারিয়েছেন শীর্ষ বাছাই এরিনা সাবালেঙ্কাকে।
 
 এদিকে, শুক্রবার ছেলেদের সেমিফাইনালে আলকারাজ খেলবেন টেলর ফ্রিৎজের বিরুদ্ধে। আর অপর সেমিফাইনালে বড় লড়াই। জকোভিচ নামবেন জানিক সিনারের বিরুদ্ধে। যে ম্যাচ দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন টেনিসপ্রেমীরা। 
 
 এটা ঘটনা, শেষ চারে উঠতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছিল সার্বিয়ান তারকাকে। কিন্তু সিনার স্ট্রেট সেটে উড়িয়ে দেন প্রতিপক্ষকে। তবে শেষ চারে কিন্তু অন্য লড়াই।
 
 এটা ঘটনা একসময় ফেডেরার–নাদাল কিংবা জকোভিচ–ফেডেরার লড়াই দেখার জন্য টেনিস দুনিয়া মুখিয়ে থাকত। সে সব লড়াই এখন অতীত। এখন সবাই উইম্বলডন ফাইনালে আলকারাজ–জকোভিচ লড়াই দেখার প্রতীক্ষায় রয়েছেন। কিন্তু তার আগে জকোভিচকে টপকাতে হবে সিনার বাধা।
 
 সাবালেঙ্কার বক্তব্য, অনেকটা ইভান লেন্ডলের বিখ্যাত সেই উক্তির মতো। ১৯৮৬ এবং ১৯৮৭ সালে পর পর দু’বার ফাইনালে উঠেও উইম্বলডন জিততে পারেননি লেন্ডল। সেই হতাশা থেকে বলেছিলেন, ‘‘ঘাস গরুর খাদ্য।’’ সাবালেঙ্কার ‘ঘৃণার সম্পর্ক’ অনেকটা তেমনই।
