আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রেম দিবসের দিন শহরে কপিল দেব। এই দিনটির সঙ্গে দেশের প্রথম বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের কল্লোলিনীতে পা রাখার একটি তাৎপর্য আছে। কলকাতাবাসীর ক্রিকেটের প্রতি প্রেম বাড়িয়েছিলেন কপিল। ১৯৮৩ বিশ্বকাপ জয়ের পর আট থেকে আশি তাঁর প্রেমে মজেছিলেন। সেই তারকাকে প্রেম দিবসে আবার হাতের নাগালে পেয়ে গেল কলকাতা। গলফের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শুক্রবার শহরের একটি অভিজাত ক্লাবে এসেছিলেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে ভারতের প্রথম বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ককে পেলে কি আর সেই প্রসঙ্গ না তুলে থাকা যায়! 

রোহিত শর্মা এবং তাঁর দলকে আইসিসির মার্কি টুর্নামেন্টের জন্য শুভেচ্ছা জানান কপিল। বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কোনও একজন প্লেয়ারের ওপর নির্ভর করা যাবে না, সবাই সমান গুরুত্বপূর্ণ। কপিল দেব বলেন, 'আমি ভারতীয় দলকে শুভেচ্ছা জানাতে চাই। দলের প্রত্যেক প্লেয়ার গুরুত্বপূর্ণ। তবে চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার ক্ষেত্রে মাত্র একজন প্লেয়ারের ওপর নির্ভর করা উচিত না। গোটা দলের ওপর নির্ভর করবে রেজাল্ট। সবাইকেই ভাল খেলতে হবে।' চোটের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে ছিটকে গিয়েছেন যশপ্রীত বুমরা। তাঁকে কতটা মিস করবে টিম ইন্ডিয়া? কপিল দেব বলেন, 'এমন একজনকে নিয়ে কেন কথা বলব যে দলে নেই? এটা টিমগেম। দলকে জিততে হবে, কোনও ব্যক্তি বিশেষকে নয়। এটা ব্যাডমিন্টন, টেনিস বা গলফ নয়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আমরা টিমগেম খেলব। দল হিসেবে খেলতে পারল আমরা অবশ্যই জিতব। দলের সেরা প্লেয়াররা চোট পাক, কেউ সেটা চায় না। কিন্তু সেটা হলে, কিছু করার নেই। ভারতীয় দলের জন্য শুভেচ্ছা রইল। ভাল খেলো।' 

প্লেয়ারদের নিয়মিত চোট পাওয়া নিয়ে চিন্তিত বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেটে অ্যাকাডেমি রিহ্যাব হাব হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি মনে করেন, অতিরিক্ত ক্রিকেটের ফলেই এমন হচ্ছে। কপিল বলেন, 'ক্রিকেটাররা আজকাল এক বছরের মধ্যে ১০ মাস ক্রিকেট খেলে। সেটাই চিন্তার বিষয়। যার ফলে চোট বাড়বেই।' তরুণদের খেলা দেখার অপেক্ষায় তিনি। তাঁদের আত্মবিশ্বাসের প্রশংসা করলেন। জানালেন, তাঁরা যখন শুরু করেছিলেন, তখন এতটা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন না। ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যাত্রা শুরু করবে ভারত। গোটা বিশ্বের নজর থাকবে ২৩ ফেব্রুয়ারি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের দিকে।