আজকাল ওয়েবডেস্ক: ঘড়ির কাঁটায় তখন বিকেল সাড়ে চারটে। এক এক করে ইস্টবেঙ্গল মাঠে নেমে এলেন ফুটবলাররা। চোটের কারণে শুধু মহেশ নেই। বাকিরা সকলে ফিট, পুরোদমে অনুশীলন সারলেন বড় ম্যাচের আগে। দিয়ামানতাকোস, তালাল, ক্লেটনের দিকে নজর ছিল আলাদা করে। তবে শনিবার কলকাতা ডার্বির আগে দলকে চনমনে লাগলেও চাপা টেনশনে দেখা গেল সমর্থকদের।
বড় ম্যাচের আগে দলের প্র্যাকটিস দেখতে এলেও পরিবেশটা থমথমে। খুব একটা বেশি কথা কেউই বলছেন না। লাল হলুদ খেলোয়াড় সল ক্রেসপো সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়ে গেলেন, 'অতীতে কী হয়েছে তা মনে রাখতে চাই না। আমাদের এই ম্যাচে মন দিতে হবে। তিন পয়েন্ট চাই আমাদের। ড্রেসিংরুমে আমরা তৈরি, শুধু ম্যাচ নিয়ে ভাবছি। আমরা মোহনবাগানকে চিনি, আমাদের দলের অনেকেই ওদের বিরুদ্ধে এর আগে খেলেছে।'
তবে ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকারের গলায় এদিন আবারও শোনা গেল 'মস্তানির' বার্তা। বলে গেলেন, 'এটা কলিজার ম্যাচ। যে বেশি মস্তানি করতে পারবে সেই জিতবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে সারাদিন কাটিয়ে মাঠে নেমে যারা ৭০,০০০ সমর্থকের চাপ মাথায় নিতে পারবে তাঁরাই জিতবে। আমার বিশ্বাস দল ঘুরে দাঁড়াবে। এবার টিম ভাল।হয়েছে।'
অনুশীলনে এদিন দলকে বেশি চাপ দেননি বিনো। চেষ্টা করছেন ফুটবলারদের যাতে মানসিক ভাবে চাঙ্গা রাখা যায়। তবে এদিন যেটা বিশেষ করে চোখে পড়ল চুল কালো করে এসেছেন নান্ধা কুমার। এই একই চেহারায় গত বছর ডুরান্ড কাপের ডার্বি এবং সুপার কাপের ডার্বিতে নেমেছিলেন তিনি। চুলের রঙেই কি তাহলে খেলা ঘুরতে চলেছে? উত্তর পাওয়া যাবে রাত পোহালেই।
