আজকাল ওয়েবডেস্ক: 'ইস্টবেঙ্গলকে পরোয়া করি না। আমরা নয় নম্বর দলকে নিয়ে ভাবি না'। ডার্বির আগের দিন মোহনবাগান তাঁবুতে বসে হুঙ্কার জেসন কামিন্সের। চলতি মরশুমের দ্বিতীয় ডার্বি। ০-১ এ পিছিয়ে সবুজ মেরুন। বিনো জর্জের ইস্টবেঙ্গল কলকাতা লিগের ডার্বি জেতে। এবার অস্কার ব্রুজোর পালা। গত কয়েক বছর খাতায় কলমে ফেভারিট ছিল মোহনবাগান। প্রত্যেক ম্যাচেই আন্ডারডগ হিসেবে শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু এবার সেয়ানে-সেয়ানে লড়াই। কেউ ফেভারিট নয়। পেন্ডুলামের মতো দুলছে ডার্বির ভাগ্য। কিন্তু তাসত্ত্বেও অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী মোলিনার ফুটবলাররা। কোনও রাখঢাক না করে অজি তারকা দাবি করলেন, ইস্টবেঙ্গলকে নিয়ে তাঁরা ভাবছেই না। কামিন্স বলেন, 'ইস্টবেঙ্গলকে আমরা পরোয়া করি না। আমরা নিজেদের খেলায় ফোকাস করছি। নতুন দল, নতুন প্লেয়ার, যাই হোক না কেন, মোহনবাগানকে হারানো সহজ নয়। আমরা তৈরি। আমরাই বেশিরভাগ ডার্বি জিতেছি। তাই আমরাই ফেভারিট।'
ডুরান্ড ডার্বির টিকিট নিয়ে হাহাকার। যা প্রায় প্রতিবারই হয়ে থাকে। এবার ডুরান্ড কাপের আনুষ্ঠানিক সাংবাদিক সম্মেলনে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস টিকিট বণ্টনের খতিয়ান দিয়েছিলেন। দাবি করেন, টিকিট সমস্যায় পড়বে না সমর্থকরা। কিন্তু এবারও সাধারণ দর্শকদের জন্য আর্মির পক্ষ থেকে খুব কম সংখ্যক টিকিট বাজারে ছাড়া হয়েছে। যার ফলে চাহিদা তুঙ্গে। প্রাক ডার্বি সাংবাদিক সম্মেলনে টিকিট প্রসঙ্গ উঠতেই মশকরা জেসন কামিন্সের। বড় ম্যাচের আগে খোশমেজাজে আছেন। নতুন মরশুমে মাঠে নেমেই পেয়েছেন গোল। যা আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ফুরফুরে মেজাজে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপার। ডার্বির টিকিট সংগ্রহ করার জন্য আগের দিন রাত থেকে হন্যে দিয়েছে সমর্থকরা। মোহনবাগান ক্লাবের বাইরে চাদর বিছিয়ে গোটা রাত অপেক্ষা করে সকালে টিকিট কাউন্টার খোলার। এমন চিত্র দেখলে মন ভরে যায়। আইএসএল নিয়ে দোলাচলের মাঝেও আশা জাগায়। মনে হয় ভারতীয় ফুটবল এখনও ফুরিয়ে যায়নি। টিকিট প্রসঙ্গ উঠতেই হাসিমুখে কামিন্স বলেন, 'সমর্থকদের মতো আমিও ডার্বির টিকিট খুঁজছি। আপনারা জানেন আমি কোথা থেকে টিকিট পাব?'
রবিবাসরীয় ডার্বি হাউজফুল থাকবে। ফলে দুই দলের ওপরই বাড়তি চাপ। অস্ট্রেলিয়ান তারকা মনে করেন, এই চাপই ফুটবলার তৈরি করে। কামিন্স বলেন, 'আমরা সমর্থকদের এই প্রত্যাশা ভালবাসি। আমরা চাপ নিয়ে খেলতে পছন্দ করি। চাপ হিরো তৈরি করে। ডার্বি মানেই আলাদা উন্মাদনা। এশিয়ার সবচেয়ে বড় ম্যাচ। ফ্যানদের সমর্থনের দিকে তাকিয়ে থাকি। এই ম্যাচ থেকে পয়েন্ট তুলে নিতে চাইব।' ডার্বিতে নেই মনবীর সিং। তবে সেই নিয়ে ভাবতে চান না কামিন্স। দাবি, পরিবর্ত ফুটবলার তৈরি আছে। কামিন্স বলেন, 'মনবীরের সঙ্গে খেলতে ভালবাসি। আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্লেয়ার। তবে আমাদের ওর পরিবর্ত ফুটবলার তৈরি আছে। আমাদের দল ভাল।' জেমি ম্যাকলারানের সঙ্গে একসঙ্গে সবুজ মেরুন জার্সিতে খেলার বর্ষপূর্তি হয়েছে। দু'জনের মধ্যে বোঝাপড়া ভাল। দু'জনেই সবে দলের সঙ্গে যোগ দেন। প্র্যাকটিসের বেশি সময় পাননি। তাসত্ত্বেও মরশুমের প্রথম ম্যাচে নেমেই গোল পান দুই অস্ট্রেলিয়ান। এই আত্মবিশ্বাস এবং মোটিভেশন ডার্বিতে কাজে লাগাতে চাইছেন। রবিবাসরীয় যুবভারতীতে অজি জুটি আবার বাগানে ফুল ফোটাবে কিনা সেটাই দেখার।
