আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ ২০১৫ সালের পর ২০২৫। দশ বছর পর উইম্বলডনের ম্যাচ দেখতে এলেন বিরাট কোহলি। সোমবার স্ত্রী অনুষ্কা শর্মাকে নিয়ে নোভাক জকোভিচ বনাম অ্যালেক্স ডি মিনাউরের খেলা দেখলেন তিনি। পরে কোহলি জানালেন, উইম্বলডনের সেন্টার কোর্টে খেলার চাপ অনেকটা ভারত–পাকিস্তান ম্যাচের মতোই। তিনি এটাও জানিয়েছেন, ফাইনালে জকোভিচের বিরুদ্ধে কার্লোস আলকারাজকে দেখতে চান।


লর্ডস আর উইম্বলডন। খেলার শেষে বিজয় অমৃতরাজের প্রশ্নের জবাবে বিরাট বলেন, ‘‌দু’জায়গাতেই চাপ থাকে। কারণ প্রচুর মানুষ স্টেডিয়ামে থাকে। তবে সেন্টার কোর্টের মতো চাপ আর কোথাও থাকে না। লোকে আপনার কত কাছে বসে থাকে। সব কথা শোনা যায়।’‌ এরপরই কোহলি যোগ করেন, ‘‌ধরুন আমি ব্যাট করতে নেমেছি। সমর্থকরা তখন আমার থেকে অনেকটা দূরে। তাই নিজের ভাবনাতে ডুবে থাকার এবং নিজের কাজ করার সুযোগ থাকে। কারও কোনও কথা কানে আসে না। শুধু আপনি বাউন্ডারির ধারে ফিল্ডিং করার সময় সেগুলো শুনতে পান। তবু ব্যক্তিগত দক্ষতায় হার–জিতের ব্যাপার সেখানে থাকে না।’‌

এখানেই টেনিসের গুরুত্ব বেশি বলে মনে করেন কোহলি। তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‌সেন্টার কোর্টে খেলা খুব কঠিন। সকলে আপনার পাশেই বসে রয়েছে। কথা বলছে, সমালোচনা করছে, আওয়াজ দিচ্ছে। এই কারণেই টেনিস খেলোয়াড়দের এত সমীহ করি। ওরা যে মানসিকতা, ফিটনেস দেখায় তা অসামান্য। এ রকম অভিজ্ঞতা দেখা যায় বিশ্বকাপে ভারত–পাকিস্তান ম্যাচে বা সেমিফাইনাল–ফাইনাল ম্যাচে। তখন পা দিয়ে ঠান্ডা স্রোত বইতে থাকে। টেনিস খেলোয়াড়রা বোধহয় কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই সে রকম চাপের মধ্যে থাকে।’‌ 


কোহলিকে অমৃতরাজ প্রশ্ন করেন, ছেলেদের ফাইনালে তিনি কাদের চান? একটু ভেবে কোহলির উত্তর, ‘‌আসলে নোভাকের সঙ্গে কিছু দিন ধরেই কথা হচ্ছে। ওর সঙ্গে মেসেজে কথা বলি। ও নিজেও যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করে। আমি চাই নোভাকের বিরুদ্ধে কার্লোস (আলকারাজ) খেলুক ফাইনালে। ট্রফি উঠুক নোভাকের হাতেই। কেরিয়ারের এই সময়ে দারুণ ব্যাপার হবে। সর্বকালের সেরা হওয়ার ব্যাপারে যে আলোচনা চলছে, সেটাও থেমে যাবে।’‌ 


এদিকে জকোভিচ বলেছেন, ‘‌গত কয়েক বছর ধরেই কোহলির সঙ্গে কথা বলছি। তবে সামনাসামনি দেখা হওয়ার সুযোগ হয়নি। আমার ব্যাপারে এত ভাল ভাল কথা বলার জন্য ওকে ধন্যবাদ। কেরিয়ারে ও যা অর্জন করেছে সেটাও আমি সমীহ করি। আমি ক্রিকেট খুব ভাল খেলতে পারি না। অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতে ক্রিকেট খুবই জনপ্রিয় খেলা। তাই ভারতে যাওয়ার আগে নিজের ক্রিকেটীয় দক্ষতা ঝালাই করে নিতে হবে, যাতে অস্বস্তিতে না পড়ি।’‌