আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে। পেন্ডুলামের মতো দুলেছে সিরিজ। কখনও ভারতের দিকে। কখনও ইংল্যান্ডের দিকে। শেষ পর্যন্ত সিরিজের ফলাফল হয় ২-২। তুল্যমূল্য লড়াই উফভোগ করেছেন সবাই। উপভোগ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা স্টিভ স্মিথও। তিনি এবার মনে করছেন অ্যাশেজেও এরকমই একটা লড়াই হবে। 

টেস্ট ক্রিকেটের বড় বিজ্ঞাপন দেখিয়ে গিয়েছে ভারত-ইংল্যান্ড পাঁচ ম্যাচের সিরিজ। এই টি-টোয়েন্টির যুগেও টেস্ট ম্যাচ যে পাঁচ দিন গড়ায়, তাই দেখা গিয়েছে। পাঁচটি টেস্ট ম্যাচই পাঁচদিন পর্যন্ত গড়িয়েছে। ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ দেখে অস্ট্রেলিয়াও নিজেদের তরোয়ালে শান দিচ্ছে। স্মিথ মনে করছেন, আসন্ন অ্যাশেজও ভারত-ইংস্যান্ড সিরিজের মতোই হবে। 

অজি তারকা বলেছেন, ''ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজ আমি দেখেছি। আমার দেখা সেরা টেস্ট সিরিজগুলির মধ্যে এটি অন্যতম। দুটো দলই অসাধারণ ক্রিকেট খেলেছে। অসাধারণ কিছু মুহূর্ত তৈরি হয়েছে। ইংল্যান্ড দল হিসেবে বেশ শক্তিশালী। আগ্রাসী ক্রিকেট খেলেছে।'' 

আরও পড়ুন: জোতাকে স্মরণ করে ইপিএল অভিযান শুরু করল লিভারপুল, প্রথম ম্যাচেই সঙ্গী হল বিতর্কও

তবে স্যর ডনের দেশে খেলা কিন্তু রীতমতো চ্যালেঞ্জের ব্যাপার হবে ইংল্যান্ডের জন্য। এমনটাই মনে করছেন স্টিভ স্মিথ। তিনি বলেন, ''অস্ট্রেলিয়ায় খেসা ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যানদের জন্য চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার হবে। আমাদের বোলিং লাইন আপ বেশ অভিজ্ঞ। এই অ্যাশেজের অপেক্ষায় আমি। দারুণ একটা সিরিজ হবে।'' পারথে ২১ নভেম্বর থেকে বল গড়াবে অ্যাশেজের। ব্রিজবেনে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ৪ ডিসেম্বর। পরের তিনটি টেস্ট হবে অ্যাডিলেড, মেলবোর্ন ও সিডনিতে। তবে অস্ট্রেলিয়া নিজেদের ঘরের মাঠে যে অ্যাডভান্টেজে থাকবে, সে কথা বলাই বাহুল্য। 

ওভাল টেস্ট দারুণ উপভোগ্য হয়েছে। মহম্মদ সিরাজ ম্যাজিক দেখা গিয়েছে ওভালের শেষ দিনে। হায়দরাবাদির আগুনে স্পেলে ভারত সিরিজে সমতা ফেরায়। চারটি টেস্টের পরে ওবাল টেস্ট যেন সব অর্থেই ক্লাইম্যাক্সে পৌঁছেছিল।

চতুর্থ দিন হ্যারি ব্রুকের ক্যাচ ফেলেছিলেন সিরাজ। সমালোচনা ধেয়ে এসেছিল তাঁর দিকে। প্রাক্তনদের তীব্র সমালোচনায় ক্ষতবিক্ষত হয়েছিলেন সিরাজ। সেই সিরাজ প্রায়শ্চিত্ত করলেন। ক্রিকেট বারবার সুযোগ দেয় না। এক বলের খেলা ক্রিকেট। সেখানে ক্রিকেট আরও একটা সুযোগ দিয়েছিল সিরাজকে। হায়দরাবাদি তারকা সেই সুযোগ দু'হাতে লুফে নেন। ওভালে নিজেকে নিংড়ে দিলেন। তিরিশ ওভার হাত ঘুরিয়ে পাঁচ-পাঁচটি উইকেট নিলেন। পঞ্চম দিনের শুরুতে উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের সাজঘরে জোরালো ধাক্কা দিয়েছিলেন  তিনি। ইংল্যান্ডের শেষটাও হয় তাঁরই হাতে। এরকম এক সিরিজ রক্তের গতি বাড়িয়ে দেয়। সেটাই হয়েছে। তার পর থেকে ক্রিকেট খেলিয়ে দেশগুলো এরকমই উপভোগ্য সিরিজ খেলতে চায়। অ্যাশেজ কেমন হয়, তার অপেক্ষায় দিন গুনছেন ক্রিকেটভক্তরা। 

আরও পড়ুন: জীবনের প্রথম ডার্বি ছিল 'অভিশাপ', হারিয়েই গেলেন ইস্টবেঙ্গলের 'অমূল্য' ফুটবলার, কেউ কি মনে রেখেছেন তাঁকে?