আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২০২২ সালে টি-২০ ক্রিকেট থেকে নেতৃত্ব ছাড়ার পর, বাকি দুই ফরম্যাট থেকেও অধিনায়কত্ব হারান বিরাট কোহলি। সেই সময় বিসিসিআইয়ের সভাপতি ছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি। এই ঘটনার পরই তাঁর সঙ্গে কোহলির দূরত্ব বাড়ে। চলে দোষারোপের পালা। এবার সেই 'অধিনায়ক পর্ব' নিয়ে বড় খোলসা সৌরভের। দুবাইয়ে ২০২১ টি-২০ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয় ভারত। তারপরই এই ফরম্যাট থেকে নেতৃত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন কোহলি। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের সরে যাওয়ার কথা জানান। টেস্ট সিরিজ খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকা যাওয়ার আগে সংবাদিক সম্মেলন করে কোহলি দাবি করেন, দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের জন্য দল ঘোষণার মাত্র দেড় ঘন্টা আগে নির্বাচকরা তাঁকে একদিনের অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা জানায়। প্রোটিয়াদের দেশে টেস্ট সিরিজ হারার পর লাল বলের ক্রিকেটের নেতৃত্ব থেকেও সরে দাঁড়ান কোহলি। 

ঘটনার তিন বছর পর মুখ খুললেন সৌরভ। জানান, বোর্ড বিরাটকেই টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে চেয়েছিল। রোহিতও প্রথমে দায়িত্ব নিতে চায়নি। সৌরভ বলেন, 'সাদা বলের জন্য একজন অধিনায়ক ছিল। আমরা টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে বিরাটকেই চেয়েছিলাম। কিন্তু ও চায়নি।রোহিত মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক ছিল। ৫০ ওভার এবং টি-২০ দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছিল। আমাদের একজন টেস্ট অধিনায়ক দরকার ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফেরার পর কোহলি সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আমি বিশ্বাস করতাম, রোহিত ভাল অধিনায়ক। তাই বোর্ড ওকে অনুরোধ করে। অতিরিক্ত ওয়ার্কলোডের জন্য প্রথমে রাজি ছিল না। তারপর আমি ওর সঙ্গে কথা বলি। বলেছিলাম, ভারতের হয়ে টেস্টে নেতৃত না দিয়েই কেরিয়ার শেষ করে দিতে চাও? ওর স্বভাব বন্ধুত্বপূর্ণ। ওর সঙ্গে কথা বললে, ও সবকিছু গ্রহণ করে নেয়। কে ভারতের টেস্ট অধিনায়ক হতে চাইবে না? রোহিতের সঙ্গে সামনাসামনি বসে এই আলোচনা হয়। আমি নিয়মিত প্লেয়ারদের সঙ্গে দেখা করতাম।' এই ঘটনার পর সৌরভের সঙ্গে কোহলির সম্পর্কে অবনতি হয়। একটা সময় প্রায় মুখ দেখাদেখি বন্ধ ছিল। তবে ঘটনাচক্রে পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক হয়েছে।