আজকাল ওয়েবডেস্ক: দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে একটুর জন্য শতরান হাতছাড়া করেন সাই সুদর্শন। শতরানের মাত্র ১৩ রান দূরে থেমে যান। ম্যাচ শেষে তরুণ বাঁ হাতি ব্যাটার জানান, বড় রানের লক্ষ্যে এগোচ্ছিলেন তিনি। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন শতরানের দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছিলেন সাই। লাল বলের ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরির স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন। প্রথম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ইনিংস এবং ১৪০ রানে হারায় ভারত। তাই দ্বিতীয় টেস্টে কিছুটা চাপে ছিলেন। ইংল্যান্ড সফরে টেস্টে অভিষেক হয় সাইয়ের। সেখানেও বিশেষ রান পাননি। তিনটে টেস্টে খেলেন। ম্যাঞ্চেস্টারে প্রথম ইনিংসে ৬১ রান করেন। টেস্টে সেটাই তার প্রথম অর্ধশতরান। এখনও তিন অক্ষরের রানের সন্ধানে বাঁ হাতি।
সুদর্শন বলেন, 'আজকে যা করেছি, সেটা নিয়ে আমি নিশ্চয়ই সন্তুষ্ট। তবে আমি আরও বেশি চেয়েছিলাম। শতরানের আশায় ছিলাম। ভেবেছিলাম একশো পেয়ে যাব।' ম্যাচ শেষে জানান সাই। ১৬৫ বলে ৮৭ রান করেন। যশস্বী জয়েসওয়ালের সঙ্গে জুটি বেঁধে দ্বিতীয় উইকেটে ১৯৩ রান যোগ করেন। তরুণ বাঁ হাতি জানান, মন খুলে ব্যাট করার চেষ্টা করছিলেন তিনি। সুদর্শন বলেন, 'যশস্বীর সঙ্গে ভাল পার্টনারশিপ ছিল। আমি রান পাওয়া নিয়ে ভাবছিলাম না। মন খুলে ব্যাট করছিলাম। এই ইনিংসে নিজেকে ভালভাবে মেলে ধরতে পেরেছি। আমি জোর করে কিছু করার চেষ্টা করিনি। যেভাবে চলছিল, চলতে দিয়েছি। অন্যদিকে যশস্বীও অনবদ্য ছিল। অন্য প্রান্ত থেকে ওকে দেখা আনন্দের। ও প্রচুর ভাল শট মারে। প্রচুর ভাল বল বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে দেয়। তাই দেখতে ভাল লাগে।'
যশস্বীর থেকে যে তিনি শট বাছাই শিখছেন, সেটা বলতে কোনওরকম দ্বিধা করলেন না সাই। জানান, তাঁর সঙ্গে কোনও প্রতিযোগিতা নেই। সুদর্শন বলেন, 'আমি যশস্বীর থেকে শট বাছাই শিখছি। কী ধরনের শট খেলতে হবে সেই বিষয়ে আমার ধারণা বাড়ছে। এখানে কোনও প্রতিযোগিতা নেই। বরং, আমি অনেক কিছু শিখছি। ভাল বল রানে কনভার্ট করতে হলে, কী ধরনের শট খেলতে হবে, সেটা আমি যশস্বীর থেকে শিখছি।' জোমেল ওয়ারিকানের বলে আউট হন সাই। আহমেদাবাদ টেস্টেও প্রায় একইভাবে আউট হন। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামের পিচে প্রথম দিন থেকেই বল ঘুরছিল। বল ওপরে উঠছিল না। ব্যাটে আসছিল না। ভারতীয় ব্যাটারের ধারণা, দ্বিতীয় দিন থেকে বল আরও বেশি টার্ন করবে।
