আজকাল ওয়েবডেস্ক: রেলওয়েজের বিরুদ্ধে এক ইনিংস এবং ১২০ রানের বিশাল জয় তুলে নিয়ে মরশুমে প্রথমবার সাত পয়েন্ট সংগ্রহ করল বাংলা দল।
গোটা ম্যাচে একাই আট উইকেট তুলে নিয়ে বাংলার এই জয়কে স্মরণীয় করে তুললেন অলরাউন্ডার শাহবাজ আহমেদ। দ্বিতীয় ইনিংসে রেলওয়েজ অল আউট হয়ে যায় মাত্র ১৩২ রানে।
৩০ রানের গণ্ডি পেরোতে পারেননি রেলওয়েজের কেউই। দ্বিতীয় ইনিংসে রেলকে একা হাতে ধসিয়ে দেন শাহবাজ আহমেদ। ২২.৫ ওভার বল করে মাত্র ৫৬ রান দিয়ে তুলে নেন সাত উইকেট।
রাহুল প্রসাদ নেন দু’উইকেট, একটি উইকেট নেন মহম্মদ কাইফ। তৃতীয় দিনের শেষেই সাত পয়েন্টের স্বপ্ন দেখছিল বাংলা দল। ফলো অন করে ফের ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো ধুঁকছিল রেলওয়েজ।
তারা পিছিয়ে ছিল ১৬২ রানে। বাংলার ৪৭৪ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিনের শেষে রেলওয়েজের রান ছিল ৫ উইকেটে ৯৭। কিন্তু গুজরাটের লালভাই কনট্রাক্টর স্টেডিয়ামে তৃতীয় দিনে রুখে দাঁড়ান ভার্গব মেরাই ও উপেন্দ্র যাদব।
দু’জনের জুটিতে ২০০ রান পেরিয়ে যায় রেলওয়েজ। ফলে বাংলা বোনাস সহ পুরো পয়েন্ট আদৌ পাবে কি না, সেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। দ্বিতীয় দিনে বাংলার বোলিংয়ের নায়ক সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল তৃতীয় দিনে আর উইকেট পাননি।
কিন্তু মহম্মদ কাইফের বলে উপেন্দ্র (৭০) ফিরতেই ফের আশার সঞ্চার হয়। ২০৩ রানে ৫ উইকেট থেকে ২২২ রানে অলআউট হয়ে যায় রেলওয়েজ। ভার্গবকে (৯১) ফেরান রাহুল প্রসাদ। তিনি এবং মহম্মদ কাইফ দুটি করে উইকেট পান।
২৫২ রানে পিছিয়ে থাকা রেলওয়েজকে ফলো অন করায় বাংলা। তবে দ্বিতীয় ইনিংসেও সুবিধা করতে পারেনি রেলওয়েজ। শুরু থেকেই ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারাতে থাকে তারা। তবে ভার্গব (২০) ও উপেন্দ্র (১২) দু’জনেই চিন্তা ছিলেন বাংলার জন্য।
তৃতীয় দিনের শেষে রেলওয়েজের রান ছিল ৫ উইকেট হারিয়ে ৯০। অর্থাৎ তারা যদি ১৬২ রান না করতে পারত, তাহলেই ইনিংসে জিতে ৭ পয়েন্ট ঘরে তুলে নিত বাংলা। আর হলও সেটাই।
অন্যদিকে, রেলওয়েজ যদি অল্প রানের লক্ষ্য দিত, সেটা ১০ উইকেট হাতে নিয়ে তুলতে পারলেই ৭ পয়েন্ট পেয়ে যেত বাংলা। কিন্তু শাহবাজের ঘূর্ণিতে বোনাস পয়েন্ট পেয়ে বর্তমানে গ্রুপ শীর্ষে অনুষ্টুপ মজুমদাররা।
উল্লেখ্য, বাংলা প্রথমে ব্যাট করে ৪৭৪ রান করে। শূন্য রানে ফেরেন অধিনায়ক সুদীপ। অভিষেক হওয়া আদিত্য পুরোহিত করেন ৬ রান। ৬১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা বাংলাকে টেনে তোলেন অনুষ্টুপ ও শাহবাজ।
তাঁদের জুটিতে ওঠে ১৩৪ রান। ১০৬ বলে ৮৬ রানের ইনিংস খেলে আউট হন শাহবাজ। দ্বিতীয় দিনে সেঞ্চুরি করেন সুমন্ত গুপ্ত। তিনি ১২০ রান করেন। অন্যদিকে অনুষ্টুপ আউট হন ১৩৫ রানে। শেষের দিকে বিশাল ভাটির ৩৬ ও রাহুল প্রসাদের ৪০ রানের সুবাদে রানের পাহাড় খাড়া করে বাংলা।
