আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ বুচি বাবু ট্রফিতে শতরান করেছেন পৃথ্বী শ। এটা ঘটনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ারটা দুর্দান্তভাবে করেছিলেন পৃথ্বী। জীবনের প্রথম টেস্টেই করেছিলেন শতরান। কিন্তু বিশৃঙ্খলা এবং ফিটনেসের অভাবের জন্য ভারতীয় ক্রিকেটের মূলস্রোত থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন পৃথ্বী শ। আবার পুরনো জায়গায় ফিরতে চাইছেন তিনি। বুচি বাবু ট্রফিতে শতরান করে নজর কেড়েছেন। নতুন রাজ্য দল মহারাষ্ট্রের হয়ে আবির্ভাবেই চমকে দিয়েছেন পৃথ্বী। আবার জাতীয় দলে ফেরাই তাঁর লক্ষ্য।


শতরানের পর পৃথ্বী বলেছেন, ‘‌শূন্য থেকে আবার শুরু করতে আমার কোনও সমস্যা নেই। জীবনে অনেক উত্থান–পতন দেখেছি। কখনও উপরে উঠেছি, কখনও নীচে নেমেছি। তাই আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছি নিজের এবং কাজের প্রতি। আশা করি এই মরসুমটা ভালই যাবে।’‌ 

 

আরও পড়ুন:‌ ভাস্কোর কাছে ৬ গোল হজম, স্যান্টোস সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে নেইমাররা...


প্রসঙ্গত, মাঠের বাইরে পৃথ্বীর বিভিন্ন ঝামেলা এবং বিশৃঙ্খল আচরণ সামনে আসার পর অনেকেই তাঁর সমালোচনা করেছিলেন। তবে কেউ তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি বলে দাবি করেছেন পৃথ্বী। তাঁর কথায়, ‘‌আমি কারও করুণা চাই না। আগেও দেখেছি এই জিনিস। পরিবারের সমর্থন রয়েছে। যখন মানসিক অবস্থা ভাল ছিল না, বন্ধুবান্ধব পাশে ছিল। সকলেই নিজের জীবন নিয়ে ব্যস্ত। তাদেরও নিজেদের পরিবার আছে। তাই আমাকে সাহায্য করার কথা কারও মনে পড়েনি। আমি চিন্তিত নই। একা একা লড়তে শিখে গিয়েছি।’‌ 


সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকা এবং খাদ্যাভাসে বদল, এই দুইয়ের কারণেই নিজেকে বদলাতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন পৃথ্বী। তাঁর কথায়, ‘‌নিজের মতো থাকার চেষ্টা করেছি। সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য মন যে ভাবে বিক্ষিপ্ত হয় সেটা আর চাইছি না। বেশ শান্তিতে আছি। গত দু’তিন মাসে ট্রেনারের সঙ্গে অনেক পরিশ্রম করেছি। নিজস্ব পুষ্টিবিদ রেখেছি। উনিই আমার খাবারের পরিকল্পনা বানিয়ে দিচ্ছেন। এই তিন চার মাসে অনেক অনেক বদলে গিয়েছি।’‌

প্রসঙ্গত, কেরিয়ার বাঁচাতে মুম্বই ছেড়ে মহারাষ্ট্রের হয়ে খেলছেন ২৫ বছর বয়সি ক্রিকেটার। আর বুচি বাবু টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন পৃথ্বী।


চেন্নাইয়ে বুচি বাবু টুর্নামেন্টে মহারাষ্ট্রের ম্যাচ চলছে ছত্তিশগড়ের বিরুদ্ধে। সেখানে ১২২ বলে সেঞ্চুরি হাঁকান পৃথ্বী। পিচ কিন্তু যথেষ্ট কঠিন ছিল। অসমান বাউন্স ছিল, আবার স্পিনাররাও সাহায্য পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ব্যাট করা কঠিন কাজ ছিল। সেখানে মহারাষ্ট্রের টপ অর্ডারকে ভরসা দেন পৃথ্বী। দলের ৪৪ তম ওভারে সেঞ্চুরি সম্পূর্ণ করেন তিনি। তারপর ড্রেসিংরুমের দিকে ব্যাট তুলে সেলিব্রেট করেন। ১৪টি চারের পাশাপাশি একটি সেঞ্চুরিও এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। চেহারা দেখেও মনে হয়েছে ফিটনেস নিয়ে তিনি যথেষ্ট খাটছেন।

নতুন মরশুমে দলবদল করেই সাফল্য পেলেন পৃথ্বী শ। একসময় যাঁরা পৃথ্বীর সতীর্থ ছিলেন, তাঁদের অনেকেই সুপ্রতিষ্ঠিত। অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলে তাঁর সতীর্থ শুভমান গিল এখন টেস্ট দলের অধিনায়ক। অর্শদীপ সিং টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী ছিলেন। সেখানে পৃথ্বী আইপিএলেও দল পাননি। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে রান করে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন তিনি।