আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ ৬ গোলে হার। মেনে নিতে পারছেন না স্যান্টোস সমর্থকরা। ভাস্কোর কাছে ০–৬ হেরেছেন নেইমাররা। আর তারপরেই সমর্থকদের ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙেছে। 


এটা ঘটনা, চোট আঘাত কাটিয়ে ছোটবেলার ক্লাব স্যান্টোসের হয়ে ফর্মে ফেরার চেষ্টা করছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। কিন্তু ভাস্কোর বিরুদ্ধে বিরাট ব্যবধানে হারের পর পরিস্থিতি একেবারে বদলে গিয়েছে। সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে নেইমারকে।


গত জুনে ব্রাজিলের ক্লাবের নতুন চুক্তিতে সই করেছিলেন নেইমার। সম্প্রতি স্যান্টোসকে ৬–০ গোলে ব্রাজিলিয়ান সিরি আ’তে বিধ্বস্ত করেছে ভাস্কো দা গামা। হাফডজন গোলে হেরে যাওয়ার পর আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি ব্রাজিলীয় ফুটবলার। মাঠেই হাউহাউ করে কাঁদতে দেখা যায় তাঁকে। এমন লজ্জার পরাজয়ের ঘণ্টাখানেকের মধ্যে বরখাস্ত করা হয়েছে স্যান্টোস কোচকে।


লিগ টেবিলে স্যান্টোস রয়েছে ১৫ নম্বর স্থানে। অবনমনের ভয় এখনও কাটেনি। একসময় ব্রাজিলের সেরা ক্লাবের এই হতাশাজনক অবস্থায় প্রবল ক্ষুব্ধ সমর্থকরা। নেইমারদের অনুশীলনের পরও আছড়ে পড়ল তাঁদের বিক্ষোভ। ক্লাবের গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়েন তাঁরা। ক্লাব কর্তাদের পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার হন সমর্থকরা। নেইমার ও অন্যান্য প্লেয়াররাও তাঁদের মুখোমুখি হন। ৩৩ বছর বয়সি তারকাকে উদ্দেশ্য করে তারা বলেন, ‘‌আপনি কাঁদলে দলের মনোবল কোথায় থাকবে?’‌ সব প্লেয়ারদের তাঁরা বলেন, ‘‌আপনাদের গালে চড় মারা উচিত।’‌

 

আরও পড়ুন:‌ ডেপুটি হিসেবে প্রথম পছন্দ ছিলেন না গিল, ম্যারাথন বৈঠকে উঠেছিল এই তারকার নামও


যদিও নেইমাররা ঠান্ডা মাথাতেই সমর্থকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। ব্রাজিলীয় তারকা বলেন, ‘‌আমি খুব হতাশ। আপনাদের প্রতিবাদ করার পূর্ণ অধিকার হয়েছে। কিন্তু হিংসাত্মক কিছু করবেন না। আমাদের অপমান করুন। আমরা নিজেরাও লজ্জিত। কেরিয়ারে এত খারাপ অবস্থার মধ্যে দিয়ে কখনও যাইনি।’‌ 

প্রসঙ্গত, মরসুমের শুরু থেকেই খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে সাও পাওলোর ক্লাব। ১৯ ম্যাচ খেলে জয় এসেছে মাত্র ৬টাতে। ৩টে ড্র। ১০টা হার। পয়েন্ট টেবলের তলানিতে থাকা স্যান্টোস এখন ভুগছে অবনমনের আতঙ্কে। তা যদি হয়, স্যান্টোসের ইতিহাসে সবচেয়ে লজ্জার দিক হয়ে থাকবে। ক্লাবের তরফে এক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, জেভিয়ার গত এপ্রিলে দায়িত্বে নিয়েছিলেন দলের। দলকে সাহায্য করার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ।


বার্সেলোনাতে মেসির পাশে খেলা নেইমার একসময় পিএসজিতে চলে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে সই করেন সৌদি প্রো লিগের নামী ক্লাব আল হিলালে। কিন্তু চোটের কারণে খেলতেই পারেননি। সেখান থেকে স্যান্টোসে ফেরেন নেইমার। ছেলেবেলার ক্লাবে তাঁর ফিরে আসা নিয়ে উৎসব পালন হয়েছে একসময়। এখন সেই তাঁকে নিয়েই চলছে চরম বিতর্ক ও সমালোচনা। ভাস্কোর ফিলিপ কুটিনহো জোড়া গোল করেন।


ম্যাচে এইভাবে এমন লজ্জার হারের পর আর চুপ করে থাকতে পারেননি নেইমার। তিনি বলেন, ‘জঘন্য ফুটবল খেলেছি আমরা। বিরাট অসম্মান। সমর্থকদের আমাদের ধিক্কার জানানোর অধিকার রয়েছে। আর সেটা হলে আমাদের গ্রহণ করতেই হবে। এই হার কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারছি না। লজ্জাজনক। এমন হার আমার ফুটবল জীবনে কখনও হয়নি।’